লালবাজার। —ফাইল চিত্র।
শহরের কোথাও কিছু ঘটলে গড়িমসি না করে থানা বা বাহিনীর আধিকারিকদের দ্রুত তা জানাতে হবে লালবাজার কন্ট্রোল রুমে। মঙ্গলবার এই নির্দেশ জারি করেছে লালবাজার। যুগ্ম নগরপালের (সদর) জারি করা ওই নির্দেশ অমান্য করলে সংশ্লিষ্ট আধিকারিককে শাস্তির সামনে পড়তে হবে বলে জানানো হয়েছে। লালবাজারের তরফে এ দিনই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে থানা ও ডিভিশনের অফিসে।
সূত্রের খবর, গত শুক্রবার সকালে বেহালা চৌরাস্তায় স্কুলের সামনে লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল আট বছরের সৌরনীল সরকারের। ওই ঘটনায় অভিভাবক ও স্থানীয় বাসিন্দারা উত্তেজিত হয়ে দেহ আটকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। অভিযোগ, কয়েক জন পুলিশকর্মী সৌরনীলের দেহ উদ্ধার করতে গেলে বিক্ষোভকারীদের হাতে প্রহৃত হতে হয় তাঁদের। ঘটনার প্রায় আড়াই ঘণ্টা পরে অতিরিক্ত বাহিনী জোগাড় করে কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাঠি দিয়ে বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে অবস্থা সামাল দেন।
অভিযোগ উঠেছে, প্রথমে পরিস্থিতি সামলানোর জন্য প্রয়োজনীয় বাহিনী যেমন পাওয়া যায়নি, তেমনই আরও একটি সমস্যা হয়েছিল। তা হল, লালবাজার কন্ট্রোল রুমে ওই ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়নি। তার ফলেই পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়, অভিযোগ পুলিশের একাংশের। তাই এ দিনের নির্দেশ জারি হয়েছে বলে খবর। অথচ, কলকাতা পুলিশ এলাকার যে কোনও ঘটনাই দ্রুত লালবাজার কন্ট্রোল রুমে জানানোটাই দস্তুর।
জরুরি প্রয়োজনে যাতে বাহিনী পাওয়া যায়, সে জন্য কলকাতা পুলিশের প্রতিটি থানা, ব্যাটালিয়ন ও সমস্ত ইউনিটের ব্যারাকে ২৫ শতাংশ পুলিশকর্মীর উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক করেছে লালবাজার। একই সঙ্গে প্রতিটি থানার ওসি অথবা অতিরিক্ত ওসিকে ২৪ ঘণ্টা থানায় থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।