লালবাজার। —ফাইল চিত্র।
আগেই বেছে নেওয়া হয়েছে শহরের দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকাগুলি। এ বার পথ দুর্ঘটনা এবং তার জেরে মৃত্যু কমাতে ‘ট্র্যাফিক সেফটি কমিটি’ তৈরি করে মাঠে নামল লালবাজার। ওই কমিটিতে আছেন কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের চার জন ওসি। কমিটির সদস্যেরা দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকায় পৌঁছে সেখানকার ট্র্যাফিক গার্ডের ওসির সঙ্গে দুর্ঘটনার কারণ খুঁজবেন এবং দুর্ঘটনা ঠেকাতে কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়, সেই সুপারিশও করবেন। সোমবার থেকেই তাঁরা কাজ শুরু করেছেন বলে খবর।
লালবাজার জানিয়েছে, মাসকয়েক আগে কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের ২৬টি ট্র্যাফিক গার্ডকে বলা হয়েছিল, তাদের এলাকার কোথায় কোথায় দুর্ঘটনা বেশি ঘটেছে বা দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা কোনগুলি, তার তালিকা পাঠাতে। সেই তালিকায় দেখা যায়, শহরের ১০৪টি রাস্তা দুর্ঘটনাপ্রবণ। ট্র্যাফিক পুলিশের এক কর্তা জানান, সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলিতে যাবেন ট্র্যাফিক সেফটি কমিটির সদস্যেরা। এ দিন তাঁরা যান হাওড়া সেতু ট্র্যাফিক গার্ড এলাকার মহাত্মা গান্ধী রোড, স্ট্র্যান্ড রোড এবং ব্রেবোর্ন রোডের দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকায়। কমিটির সদস্যদের সঙ্গে ছিলেন সংশ্লিষ্ট ট্র্যাফিক গার্ডের আধিকারিকেরা। আগামী কাল, বুধবার ওই দলটির ঘুরে দেখার কথা রয়েছে হেডকোয়াটার্স ট্র্যাফিক গার্ডের অধীনস্থ দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকাগুলি। আগামী এক মাসেরও বেশি সময় ধরে এই কমিটি ২৬টি ট্র্যাফিক গার্ডের ১০৪টি দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা পরিদর্শন করবে।
পুলিশ সূত্রের খবর, লালবাজারের ট্র্যাফিক বিভাগের ফেটাল স্কোয়াড, রোড মার্কিং স্কোয়াডের মতো বিভাগের ওসিদের নিয়ে গড়া হয়েছে এই কমিটি। কমিটির সদস্যেরা দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকাগুলি তো ঘুরে দেখবেনই। সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এলাকায় রাস্তার কোনও সমস্যা আছে কি না, পর্যাপ্ত আলো আছে কি না কিংবা দিক-নির্দেশক (সাইনেজ) বোর্ডের প্রয়োজন আছে কি না— সব কিছুই খতিয়ে দেখে রিপোর্ট তৈরি করবেন তাঁরা। পরে সেই রিপোর্ট তুলে দেওয়া হবে কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তাদের হাতে। মনে করা হচ্ছে, ওই কমিটির সুপারিশ মেনে দুর্ঘটনা কমাতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ট্র্যাফিক পুলিশের একাংশ জানিয়েছে, গত কয়েক বছরে শহরে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা ধারাবাহিক ভাবে কমলেও চলতি বছরে তুলনামূলক ভাবে তা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। এর আগে কলকাতা পুলিশের মাসিক ট্র্যাফিক পর্যালোচনা বৈঠকে দুর্ঘটনা কমানোর জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বলেছিলেন পুলিশের শীর্ষ কর্তারা।