—ফাইল চিত্র।
রাতের শহরে বেপরোয়া যান চলাচল ঠেকাতে এবং তার উপরে নজরদারি চালানোর জন্য এখন থেকে লালবাজার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল রুমের ঠিক করে দেওয়া নির্দিষ্ট জায়গাতেই কাজ করতে হবে রাস্তায় কর্মরত সার্জেন্টদের। এর জন্য রাতের ডিউটিতে থাকা প্রতিটি ট্র্যাফিক গার্ডের দু’জন করে অফিসারের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানেই তাঁদের ডিউটি করতে হবে রাতভর। লালবাজার জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে এই মর্মে কলকাতা পুলিশের ২৫টি ট্র্যাফিক গার্ডে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে ট্র্যাফিক কন্ট্রোল রুমের তরফে। শনিবার থেকেই ওই নির্দেশ কার্যকর হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
পুলিশ জানিয়েছে, শহরের ৪৯টি জায়গাকে বেছে নেওয়া হয়েছে রাতের শহরে সার্জেন্টদের কাজ করার জন্য। প্রতিটি এলাকাতেই সিসি ক্যামেরা রয়েছে। ফলে রাতে ডিউটিতে অফিসার রাস্তায় থাকছেন কি না, তা লালবাজার থেকে দেখে নিতে পারবেন কন্ট্রোল রুমে থাকা আধিকারিকেরা। বর্তমানে প্রতিটি গার্ড থেকে দু’জন করে সার্জেন্ট প্রতিদিন রাতে ডিউটিতে থাকেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, কয়েক বছর আগে এই ব্যবস্থা চালু ছিল শহরে। কিন্তু ধীরে ধীরে সব বন্ধ হয়ে যায়। এ দিকে অভিযোগ উঠতে শুরু করে, রাতে ট্র্যাফিক সার্জেন্টদের দেখা যায় না রাস্তায়। সার্জেন্টের নজরদারি এড়িয়ে কলকাতার পুলিশ কমিশনারের কনভয়কে ওভারটেক করে বেপরোয়া গতিতে বাইকের যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটছে। শুক্রবারই ট্র্যাফিক পুলিশের রিভিউ মিটিংয়ে ট্র্যাফিক ব্যবস্থায় ক্ষুব্ধ কমিশনার জানিয়েছেন, গত কয়েক মাস ট্র্যাফিক পুলিশ কার্যত ছুটিতে রয়েছে।
আরও পড়ুন: আইপিএস বদলির নিন্দায় বিরোধীরা
আরও পড়ুন: ফারুকের ১২ কোটির সম্পত্তি ইডি-র দখলে
পুলিশ জানায়, ওই নির্দেশিকা মোতাবেক রাতে কোথাও কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে সার্জেন্টকে সেখানে দ্রুত পৌঁছে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অফিসারের পোশাকে যে বডি ক্যামেরা রয়েছে তা চালু রাখতে বলা হয়েছে সাধারণের সঙ্গে কথা বলার সময়ে। এক পুলিশকর্তা জানান, রাতে পথচারীদের এবং যাত্রীদের সুরক্ষার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিতে বলা হয়েছে কর্তব্যরত রাতের সার্জেন্টকে।
এ দিকে শুক্রবার পথচারী ও বাইক চালককে বাসের চালকের আসনে বসিয়ে পথ নিরাপত্তার পাঠ দেয় জোড়াবাগান ট্র্যাফিক গার্ড। কর্মসূচিতে উপস্থিত ডিসি (ট্র্যাফিক) রূপেশ কুমার নিজে হাতে-কলমে সচেতনতার পাঠ দেন পথচারীদের। লালবাজার জানায়, গত বছর শহরে পথ দুর্ঘটনায় ৮০ জন পথচারীর মৃত্যু হয়েছিল। তাই শুক্রবার ওই কর্মসূচি নেওয়া হয়। এম জি রোড এবং চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ের সংযোগস্থলে ওই কর্মসূচি চলে। ৪০ জন পথচারী এবং মোটরবাইক চালককে কর্মসূচিতে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছিল।