ফাইল চিত্র।
গত দু’মাসে শহরে একাধিক দুর্ঘটনার কারণ কী এবং তা ঠেকাতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন, তা চিহ্নিত করে জানাতে ট্র্যাফিক গার্ডগুলিকে নির্দেশ দিয়েছিল লালবাজার। গত বৃহস্পতিবারের মধ্যে নিজের নিজের এলাকার বিগত দু’মাসের দুর্ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে বলা হয়েছিল ট্র্যাফিক গার্ডের ওসিদের। শনিবার আরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে ট্র্যাফিক গার্ডের ওসিদের সঙ্গে সঙ্গে থানার ওসিরাও যেন সেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। যাতে দুর্ঘটনার কারণ কী, তা খুঁজে বার করে সেই মতো ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করতে পারেন তাঁরা।
পুলিশ সূত্রের খবর, গত সপ্তাহে কলকাতা পুলিশের বিভিন্ন ট্র্যাফিক গার্ডের ওসি এবং এসিদের সঙ্গে ট্র্যাফিক পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তাদের ভার্চুয়াল বৈঠকে দুর্ঘটনা কী ভাবে কমানো যায়, প্রাথমিক ভাবে গাফিলতি কোথায়— তা নিয়ে আলোচনা হয়। গত এপ্রিল ও মে মাসে শহরের কোথায় দুর্ঘটনা বেশি ঘটেছে এবং তার কারণ কী, সে সব চিহ্নিত করতে বুধবার ট্র্যাফিক গার্ডের ওসিদের নির্দেশ দেয় লালবাজার। দুর্ঘটনার পিছনে ট্র্যাফিক সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে কি না, দুর্ঘটনা রুখতে কী কী করণীয়, তা নিয়ে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তৈরি করতেও বলা হয় ওসিদের।
ট্র্যাফিক পুলিশের একাংশের মতে, বর্ষা এবং পুজোর সময়ে শহরে দুর্ঘটনা ঘটা ও তার জেরে মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধির প্রবণতা রয়েছে। তাই আগাম ব্যবস্থা গ্রহণ করলে সেই প্রবণতায় রাশ টানা সম্ভব হবে বলেই মত অনেকের।
এক পুলিশকর্তার কথায়, ‘‘শহরে দুর্ঘটনা ও তার জেরে মৃত্যু কী ভাবে কমানো যায়, তা নিয়ে ভাবছেন বর্তমান পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। তাই দুর্ঘটনা কমাতে ব্যবস্থা নিতে চাইছে ট্র্যাফিক পুলিশ বিভাগ। যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার সঙ্গে সঙ্গে দুর্ঘটনা রুখতে আর কী কী করা যেতে পারে, আপাতত সেটাই ভাবছেন তাঁরা।’’