— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হল দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি স্কুলের প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য কৃষ্ণ দামানিকে। শুক্রবার তাঁকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। সেখানে পুলিশ তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায়। পুলিশের অভিযোগ, নিজের সংস্থার লোককে স্কুলে নিয়োগ করতেন দামানি। কম কর্মী দিয়ে কাজ করিয়ে বেশি কর্মী দেখিয়ে স্কুলের টাকা আত্মসাৎ করতেন। পুলিশের আবেদন মেনে ১০ দিনের হেফজতে পাঠিয়েছেন বিচারক।
শুক্রবার আদালতে বেশ কিছু রিপোর্ট পেশ করেছে পুলিশ। তাতে রয়েছে ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট। পুলিশের দাবি, আত্মসাৎ করে কৃষ্ণের আত্মীয়দের অ্যাকাউন্টেও টাকা পাঠানো হয়েছে। প্রায় আড়াই কোটি টাকা পরিবারের সদস্যদের দেওয়া হয়েছে। যে সংস্থার সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন, সেখানেও টাকা পাঠানো হয়েছে। ওই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত তাঁর পরিবারের সদস্যেরাও। পুলিশের দাবি, টাকা পাচার করতে নিজের পরিবারকেও ব্যবহার করেছেন কৃষ্ণ। ভুয়ো ভাউচারের মাধ্যমেও টাকা দিয়েছেন তিনি।
কৃষ্ণের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগে এইআইআর দায়ের করেছিলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। তার ভিত্তিতেই তাঁকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করে হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ। ২০২০ সালের এপ্রিল মাস থেকে ২০২৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত স্কুলের ১০ কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার কলকাতার একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। খতিয়ে দেখা হয় কৃষ্ণের ওই সংস্থাটির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি এবং লেনদেনের তথ্য। সেটির মালিকানা কার, কী সংক্রান্ত সংস্থা— সব কিছুই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ব্যাঙ্ক এবং কয়েকটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার হাজার হাজার পাতার নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তছরুপের ঘটনায় আর কারা জড়িত, তা-ও দেখছে পুলিশ।