Kolkatar Korcha

কলকাতার কড়চা: দুশো বছরের জয়যাত্রা

রবীন্দ্র-অনুষঙ্গের উল্লেখ থেকে বিখ্যাত প্রাক্তনীদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্যেও ঋদ্ধ এ বই।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০২১ ০৫:১০
Share:

উত্তরে রামকৃষ্ণপুর, দক্ষিণে সাঁকরাইল ও আন্দুল। পশ্চিমে সাঁতরাগাছি, পুবে বহতা ভাগীরথী-হুগলি। মাঝখানে বেতোড় মৌজার ছোট্ট গ্রাম শিবপুর। মোগল বাদশা ইংরেজদের ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে সেই ১৭১৭ সালে বেতোড়-সহ পাঁচখানা গ্রাম কিনে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন, বেতোড় তার আগে থেকেই ব্যবসাকেন্দ্র, দেশি কারবারিদের সঙ্গে সেখানে পর্তুগিজ, ফরাসি, দিনেমার, ওলন্দাজ, ইংরেজ বণিকদের আনাগোনা। নদী বাঁক পাল্টায়, ক্রমে ফোর্ট উইলিয়ামের উল্টো দিকে শিবপুর গ্রাম বেড়ে ওঠে পলি-বালিতে। ১৭৬৫-র মধ্যে বঙ্গে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসন পাকা, শিবপুরেরও বাড়বাড়ন্ত— সাহেবি বাংলোয়, কিড সাহেবের বাগানে— যে বাগান পরে, ১৭৮৬-৮৭ সালে হয়ে উঠবে রয়্যাল বটানিক গার্ডেন। এই বাগানেরই উত্তরাংশ ১৮২০ সালে বেছে নেওয়া হয় বিশপ’স কলেজ তৈরির জন্য। অনেক পরে, ১৮৮০-তে কলেজ চলে যায় কলকাতায়, আর ফেলে-যাওয়া সুদৃশ্য গথিক স্থাপত্যের ভবনেই পরে শুরু হয় বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ।

Advertisement

১৮১৪ সালে কলকাতার বিশপ পদে বৃত টমাস মিডলটন চেয়েছিলেন, ইংরেজ শাসকদের সুবিধার্থেই ‘নেটিভ’দের জন্য কলকাতায় বা কলকাতার কাছে একটা কলেজ গড়া দরকার। সেই কলেজই বিশপ’স কলেজ, ১৮২০-র ১৫ ডিসেম্বর যার গোড়াপত্তন। পরবর্তী কালের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ক্যালকাটা, বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটি হয়ে আজকের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (আইআইইএসটি)-র জয়যাত্রা দুশো পেরোল, বিশপ’স কলেজের শেকড় ছুঁয়ে। এ শুধু বিখ্যাত এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরই অভিযাত্রা নয়, বাংলার শিক্ষা-সমাজ-সংস্কৃতি-ইতিহাসেরও দুশো বছরের চালচিত্র— কোম্পানি আমল, ব্রিটিশ রাজ, পরাধীনতা পেরিয়ে স্বাধীনতা-উত্তর ভারতের সাক্ষী। এই গুরুত্বপূর্ণ কালখণ্ডকে দু’মলাটে ধরা সহজ কাজ নয়, তা-ই সম্ভব করেছেন আইআইইএসটি-র সহকারী রেজিস্ট্রার বিভোর দাস। টু হানড্রেড ইয়ারস অব শিবপুর ক্যাম্পাস: আ হিস্টোরিক্যাল জার্নি ফ্রম বিশপ’স কলেজ (রুবরিক পাবলিশিং) নিছক এক কফিটেবল বুক নয়, ঐতিহাসিক তথ্য, নথির প্রতিলিপি, ছবি ও লেখার সম্মিলনে এক অতি জরুরি গ্রন্থন। আঠেরো শতকের শিবপুর, কোম্পানি বাগান, বিশপ’স কলেজ থেকে শুরু করে ক্রমে এই ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুবৃদ্ধি, স্বাধীনতার পর জাতি গঠনে ভূমিকা, তার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ধরা আছে এ বইয়ে। মিডলটনের চিঠি, কোম্পানির ডিড অব গিফ্ট, বিশপ’স কলেজ প্রেসে ছাপা বইয়ের প্রচ্ছদচিত্র, বন্ধু গৌরদাসকে লেখা মাইকেল মধুসূদন দত্তের চিঠি, কলেজ অধ্যক্ষের ১৮৫৬ সালে লেখা চিঠির প্রতিলিপি, সকল অধ্যক্ষ, উপাচার্য ও ডিরেক্টরদের প্রতিকৃতি— কী নেই! রবীন্দ্র-অনুষঙ্গের উল্লেখ থেকে বিখ্যাত প্রাক্তনীদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্যেও ঋদ্ধ এ বই। ছবি বই থেকে, শিল্পী চার্লস ডয়লি-র আঁকা বিশপ’স কলেজ।

প্রথমা

Advertisement

‘এদিন আজি কোন ঘরে গো খুলে দিল দ্বার’... ১৯৬৫ সালের ২৮ জুন তাঁর কণ্ঠে এই গান দিয়েই যাত্রা শুরু করেছিল পাঠভবন স্কুল। রবীন্দ্রনাথের শিক্ষাদর্শে, সত্যজিৎ রায়ের হাত ধরে যে ইস্কুলের গোড়াপত্তন, তার প্রথম দিনের প্রথম ক্লাসটিও নিয়েছিলেন সুপূর্ণা চৌধুরী (১৯৩৪-২০২১) (ছবিতে)। অবসর পর্যন্ত কাটিয়েছেন এই স্কুলেই, পাঠভবন সোসাইটিকে সঙ্গী করে গড়ে তোলেন সঙ্গীত শিক্ষায়তন ‘ইন্দিরা’। ঠাকুরবাড়ির কন্যা তিনি, বাবা সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাতি সুবীরেন্দ্রনাথ, মা পূর্ণিমা ঠাকুর, দুজনের নামের আদ্যক্ষর মিলিয়ে নাম রাখা হয় সুপূর্ণা, অনুমোদন ছিল রবীন্দ্রনাথের। জীবনটাই বাঁধা ছিল রবীন্দ্রসঙ্গীতে। ইন্দিরা দেবী চৌধুরানী, অমিয়া ঠাকুর, অশেষ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখের কাছে গান শেখা, সঙ্গীত ভবনের ছাত্রী হিসেবে নানা প্রযোজনায় অংশগ্রহণ, বেরোয় একাধিক রেকর্ডও। গত ১৬ অগস্ট তাঁর প্রয়াণে ইস্কুল ঘিরেছে স্মৃতিতে।

সম্মিলনী

বিশাল কলেজ। বড় বড় থাম, কাঠের সিঁড়ি। ছাত্রীরা মগ্ন অধ্যয়ন-সংস্কৃতি-জীবনপাঠে। অতিমারির আগে, ১৪১ বছর ধরে তা-ই ছিল বেথুন কলেজের দিনলিপি। কলেজ-জীবন পেরিয়েও যোগ অটুট রাখতে, ১৯২১-এর ৩ সেপ্টেম্বর তৎকালীন অধ্যক্ষা মিস গার্ট্রুড মেরিয়ান রাইট-এর তত্ত্বাবধানে যাত্রা শুরু ‘বেথুন কলেজ সম্মিলনী’-র। তখন নাম ছিল ‘ওল্ড স্টুডেন্টস গিল্ড’। শতবর্ষ পূর্তির মুখে ভারতের প্রাচীনতম মহিলা কলেজের প্রাক্তনী সংসদ। প্রাক্তনী-তালিকায় চন্দ্রমুখী বসু, কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায়, সরলা দেবী চৌধুরানী, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার প্রমুখ। ৩ ও ৪ সেপ্টেম্বর বৃক্ষরোপণ, বিদ্যাসাগর-নিবেদিতার মূর্তিস্থাপন, স্মরণিকা প্রকাশ, আন্তর্জাল বৈঠক, বক্তৃতা।

নব পরিচয়

জ্যোতির্বিজ্ঞানী রাধাগোবিন্দ চন্দ্রকে ক’জন চেনেন? প্রাতিষ্ঠানিক জ্যোতির্বিজ্ঞান শিক্ষা ছিল না, কিন্তু এ দেশের পর্যবেক্ষণ জ্যোতির্বিদ্যার পুরোধা তিনি। তিন ইঞ্চি লেন্সের দূরবিনে দেখেছিলেন প্রায় ৫০ হাজার তারা, ‘নোভা অ্যাকুইলা-৩’ পর্যবেক্ষণ করেছিলেন ১৯১৮-তে। পর্যবেক্ষণ পাঠাতেন লন্ডন, হার্ভার্ড, প্যারিসের মানমন্দিরে। তাঁর জন্মের সার্ধশতবর্ষের (১৮৭৮-১৯৭৫) এখনও ক’বছর দেরি, তবু তাঁর স্মরণেই ‘কলকাতা বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থা’ আয়োজন করেছে বিশেষ অনুষ্ঠান, আজ বিকেল ৫টায়, সুজাতা সদনে। প্রকাশিত হবে রবীন্দ্রনাথের বিশ্ববিজ্ঞান বিষয়ক গ্রন্থ বিশ্বপরিচয়-এর নতুন সটীক সংস্করণ, তথ্য, নথি ও ছবিতে এই নবগ্রন্থন করেছেন চন্দনসুরভি দাস। আছে বঙ্গে মহামারির ইতিহাস নিয়ে আলোচনাও।

সমাপ্তিপর্ব

অতিমারিকালে সংস্কৃতি চর্চা, আবার সঙ্কটগ্রস্ত শিল্পীদের সহায়তা— দুই-ই করছে ‘আনন্দধারা আর্টস ইউকে’। দুই বাংলার শিল্পীদের নিয়ে নিয়মিত হয়েছে বিষয়ভিত্তিক আন্তর্জাল-অনুষ্ঠান, কর্ণধার শিল্পী ইমতিয়াজ আহমেদের নেতৃত্বে। কাজি নজরুল ইসলামের স্মরণে তাঁদের সাম্প্রতিক নিবেদন ‘নজরুলের খোঁজে’, নজরুল-সাহিত্যের আলোচনা, গান, আবৃত্তি, পাঠে সাজানো। পনেরো পর্বের এই ধারাবাহিক আয়োজনের সমাপ্তিপর্ব আগামী কাল, ২৯ অগস্ট, নজরুলের প্রয়াণদিনে, ভারতীয় সময় সন্ধে সাড়ে ৭টা থেকে। থাকবেন লেখক-গবেষক ও নজরুল-জীবনীকার গোলাম মুরশিদ, সঙ্গীতশিল্পী হৈমন্তী শুক্ল ও আবৃত্তিকার ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুষ্ঠান আনন্দধারা আর্টস-এর ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে।

ফিরে দেখা

শিক্ষাবিদ, ইতিহাসবিদ, মন্ত্রী, রাজ্যপাল, সাংসদ, রাষ্ট্রদূত, প্রশাসক, কূটনীতিক। এই সবই, এবং আরও অনেক পরিচয় অধ্যাপক সৈয়দ নুরুল হাসানের (১৯২১-১৯৯৩)। মধ্যযুগের ভারত-ইতিহাস চর্চায় তাঁর বিশেষ অবদান, বহু গবেষণা প্রতিষ্ঠান তাঁর হাতে ও ভাবনায় গড়া। এ বছর তাঁর জন্মশতবর্ষ, ‘সোসাইটি ফর আন্ডারস্ট্যান্ডিং কালচার অ্যান্ড হিস্ট্রি ইন ইন্ডিয়া (শুচি)’ তাদের ইউটিউব চ্যানেলে সে উপলক্ষে করছে অনুষ্ঠান, আগামী কাল, ২৯ অগস্ট, বিকেল সোয়া ৩টে থেকে। তিন বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ একত্র হবেন শুচি-র ‘ঊর্ণাময়িক’ পরিসরে, সভা পরিচালনা করবেন অধ্যাপক দীপেশ চক্রবর্তী, ‘জন্মশতবর্ষ স্মারক বক্তৃতা’য় কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন নুরুল হাসান চেয়ার অধ্যাপক অরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়, অন্যতম আলোচক অধ্যাপক শেখর বন্দ্যোপাধ্যায়। বিষয় ‘ইতিহাস রচনার তাত্ত্বিক বিশ্ব ও ভারত ইতিহাসের ফটক: রূপরেখায় পঞ্চাশ বছর (১৯৭০-২০২০)’।

ইতিহাসের ছবি

আর্ট কলেজে পড়ার সময় একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল ফিগার স্কেচ করা, জনাকীর্ণ রেলস্টেশনে গিয়ে। কিন্তু সেই স্কেচের বিষয় যদি হয়ে ওঠে ও পার বাংলার উদ্বাস্তুস্রোতের নানা মুখ, সময়টা যদি হয় স্বাধীনতার পরের দশক, আর শিল্পীর নাম যদি হয় যোগেন চৌধুরী, আজকের সময়ে দাঁড়িয়ে সে তা হলে এক ইতিহাসকেই ফিরে দেখা। ১৯৫৮ থেকে ১৯৬৮, শিয়ালদহ স্টেশনে তখনও শরণার্থীর ভিড়। কলেজে পড়ার সময় তো বটেই, হাওড়া জেলা স্কুলে শিক্ষকতার সময়েও স্কুল ছুটির পর সোজা স্টেশন, কাগজ, পেনসিল, কালিকলম, চারকোল নিয়ে— বসে পড়তেন সেই সব অনিকেত মানুষের ভিড়ে। ছবিতে ফুটে উঠত সন্তান কোলে মা, ঘুমন্ত শিশুর পাশে জেগে থাকা মা (ছবিতে), অগণিত ছেলে-বুড়ো-কিশোরীর আশা-হতাশার দোলাচল, শেকড় ছেড়ে এসে নতুন ঠাঁই পাতার স্বপ্ন আর স্বপ্নভঙ্গের রোজনামচা। ষাট বছর বা তারও আগে আঁকা এই সব স্কেচের প্রায় সবগুলিই এখনও আছে শিল্পীর ব্যক্তিগত সংগ্রহে, নীচে ডান দিকের ছবিটি আছে অমৃতসরে পার্টিশন মিউজ়িয়ামে। স্বাধীনতার ৭৫ বছরে বাংলার বরেণ্য শিল্পীর চোখে দেখা দেশভাগের এই বাস্তবতা শৈল্পিক তো বটেই, ঐতিহাসিকও। ছবি সৌজন্য: যোগেন চৌধুরী

সুপ্রয়াস

এর আগে বিশেষ সংখ্যা বেরিয়েছে নৌকা, বাংলার কুটির শিল্প, গোপাল ভাঁড়কে নিয়ে, এ বার জন্মশতবর্ষের ‘ব্যক্তি সত্যজিৎ রায়কে পাশে রেখে সৃষ্টিশীল সত্যজিৎ রায়ের খোঁজ’ করেছে তবুও প্রয়াস পত্রিকা (সম্পাদক: সেলিম মণ্ডল)। ঋত্বিক ঘটক-উৎপল দত্ত-পূর্ণেন্দু পত্রী-অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত-সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়-সুধীর চক্রবর্তী প্রমুখের ভাবনা উস্কে দেওয়া এক গুচ্ছ লেখার পুনর্মুদ্রণের পাশেই জ্বলজ্বল করছে এই সময়ের ও প্রজন্মের সত্যজিৎ-অনুসন্ধান, বিষয় বহুবিধ: সন্দেশ থেকে কল্পবিজ্ঞান, আঁকিয়ে সত্যজিৎ থেকে সঙ্গীতপ্রাণ সত্যজিৎ, তাঁর ছবিতে চিত্রনাট্য ও সংলাপের রসায়ন, তাঁর গল্পে পাশ্চাত্য প্রভাব ও ঔপনিবেশিক বিরোধিতার সহাবস্থান। অনুবাদে মৃণাল সেনের স্মৃতিচারণ মেমরিজ় অব রে কিংবা জেমস ব্লু-র নেওয়া সত্যজিৎ-সাক্ষাৎকার এ পত্রিকার বিশেষ আকর্ষণ, আর অবশ্যই সৌম্যেন্দু রায় ও সন্দীপ রায়ের মনখোলা সাক্ষাৎকার দু’টিও।

তাল গোল

ভাদ্রে পুজো বা শুভকর্ম নেই তেমন, ব্রাহ্মণের রোজগার মন্দা, তদুপরি কুটুমবাড়ি তত্ত্বরক্ষার দায়। রসরাজ অমৃতলাল বসু সে মনে করেই বুঝি লিখেছিলেন, ‘তাল ফুলুরির তত্ত্বে করিয়া জমক/ ধার্য হল লোক মাঝে লাগাবে চমক।’ শ্রাবণে ইলিশ আর আশ্বিনে পুজো, মাঝে ভাদ্রমাসটি বাঙালি গৃহস্থের কাছে তালময়। দু’দিন পরেই জন্মাষ্টমী, সন্ধেয় শিশুকৃষ্ণের পুজোয়, পর দিন নন্দোৎসবেও তালের বড়া, ক্ষীর, লুচির জয়জয়কার। সত্যিই কি হবে সে সব, না কি এই বেতাল দিনকাল তালগোল পাকাবে তাতেও?

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement