কলকাতার কড়চা: প্রভাবতীর দুই গোয়েন্দা

দু’টি সিরিজের প্রায় কুড়িটি বই সে কালে প্রবল জনপ্রিয়তা পেলেও বহু দিন অপ্রকাশিত ছিল। অথচ বাংলা সাহিত্য, বিশেষত গোয়েন্দা সাহিত্যের গবেষণার ক্ষেত্রে বইগুলির গুরুত্ব অনস্বীকার্য। পাঠকের কাছেও এর স্বাদ অন্য।

Advertisement
শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০১৯ ০৫:০৬
Share:

ন’বছর বয়সে বিয়ে এবং বিচ্ছেদ, স্কুলের গণ্ডিও পেরোতে না-পারা মেয়েটি লিখেছিলেন তিনশোরও বেশি বই। তাঁর বই রঙ্গমঞ্চ আর চলচ্চিত্রেও রূপায়িত হয়। যোগাযোগ ছিল ঠাকুরবাড়ির সঙ্গে, নবদ্বীপের বিদ্বজ্জন সভা থেকে পেয়েছিলেন ‘সরস্বতী’ উপাধি, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘লীলা পুরস্কার’। জীবদ্দশায় এতটাই জনপ্রিয় ছিলেন প্রভাবতী দেবী সরস্বতী, যে তাঁর নাম নকল করে বাজারে প্রচলিত উপন্যাসের বাড়াবাড়ি রুখতে তাঁকে বিজ্ঞপ্তি পর্যন্ত দিতে হয়েছিল। ‘ভারতবর্ষ’ পত্রিকায় তাঁর লেখা উপন্যাসের এমনই চাহিদা ছিল, একটি উপন্যাস শেষ হতে না হতেই প্রকাশ করতে হত পরবর্তী উপন্যাসের বিজ্ঞাপন। সেই জনপ্রিয়তার কারণেই দেব সাহিত্য কুটীরের বিখ্যাত দু’টি সিরিজ ‘প্রহেলিকা’ ও ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা’-তে তাঁর সৃষ্ট কৃষ্ণা চরিত্রের সাফল্য, প্রকাশককে একখানা সম্পূর্ণ ‘কৃষ্ণা’ সিরিজ প্রকাশে প্ররোচিত করেছিল। ‘শুকতারা’-র বৈশাখ, ১৩৫৯ সংখ্যায় ‘কৃষ্ণা’ সিরিজ প্রবর্তনের বিজ্ঞাপনে বলা হয়, আকস্মিক বিপদে পড়ে শুধু উপস্থিত বুদ্ধির জোরে কেমন করে উদ্ধার পেতে পারেন মেয়েরা, তার আভাস ইঙ্গিত দেওয়া এ বইয়ের অন্যতম উদ্দেশ্য। উনিশ শতকের প্রৌঢ়ত্বে বাংলা সাহিত্যে গোয়েন্দাকাহিনি বলে একটি নতুন ধারার জন্ম হলেও রীতিমতো গোয়েন্দার ভূমিকার মেয়েদের অবতীর্ণ হওয়ার ঘটনা এই প্রথম। কৃষ্ণা-ই বাংলা সাহিত্যের প্রথম মেয়ে গোয়েন্দা চরিত্র হিসেবে স্বীকৃত। কে জানে, নিজের জীবন-অভিজ্ঞতায় মেয়েদের প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গিকে যে ভাবে চিনেছিলেন তিনি, তা-ই অবচেতনে তাঁকে সাহস জুগিয়েছিল কি না কৃষ্ণার মতো আত্মপ্রত্যয়ী একটি নারীচরিত্র সৃষ্টি করতে! ‘মহিলা গোয়েন্দা’ বিষয়টিই যখন প্রায় অচেনা, সে কালে এই ঝুঁকি নেওয়া যে বিফল হয়নি, তা বোঝা যায় অব্যবহিত পরেই মেয়ে গোয়েন্দা অগ্নিশিখা রায়কে নিয়ে প্রভাবতী দেবীর আরও একটি সিরিজ প্রবর্তনে। লেখিকা জানান— “শুধু ছেলেদের ছাড়া মেয়েদের ‘অ্যাডভেঞ্চারে’র বই এ পর্য্যন্ত কেউ লেখেন নি। এই কারণেই ‘কুমারিকা সিরিজের’ আবির্ভাব। কোন আকস্মিক বিপদ এলে কলেজের মেয়েদের যা করা প্রয়োজন, ‘কুমারিকা সিরিজ’ পড়লেই তার ইঙ্গিত পেয়ে যাবে।” (সঙ্গে দু’টি সিরিজের একটি করে প্রচ্ছদ)।

Advertisement

দু’টি সিরিজের প্রায় কুড়িটি বই সে কালে প্রবল জনপ্রিয়তা পেলেও বহু দিন অপ্রকাশিত ছিল। অথচ বাংলা সাহিত্য, বিশেষত গোয়েন্দা সাহিত্যের গবেষণার ক্ষেত্রে বইগুলির গুরুত্ব অনস্বীকার্য। পাঠকের কাছেও এর স্বাদ অন্য। বলা যায়, জনচাহিদাই আর এক বার ফিরিয়ে আনছে অধুনা বিস্মৃত এই সাহিত্যিককে। ‘কৃষ্ণা’ ও ‘কুমারিকা’ সিরিজের প্রকাশক দেব সাহিত্য কুটীর আগামী কলকাতা বইমেলায় নবকলেবরে প্রকাশ করতে চলেছে এই দুই সিরিজের লেখাগুলি এবং শুকতারায় প্রকাশিত প্রভাবতী দেবীর কিশোর গল্পগুলির সমগ্র সঙ্কলন। সম্পাদনার দায়িত্বে গোয়েন্দাসাহিত্যের গবেষক রণিতা চট্টোপাধ্যায়।

Advertisement

মৃত্যুহীন প্রাণ

১৯২০ সালে ‘মিউনিশনস বোর্ড’ মামলায় ব্রিটিশ শাসক শ্বেতাঙ্গ কৌঁসুলির প্রথা ভেঙে, অধিক পারিশ্রমিকে নিয়োগ করতে চেয়েছিলেন এক জনপ্রিয় বাঙালি আইনজীবীকে। কিন্তু তিনি ফিরিয়ে দিলেন প্রস্তাব। কারণ তিনি তখন জালিয়ানওয়ালা বাগ কাণ্ডের প্রচণ্ড সমালোচক, অসহযোগ আন্দোলনে যুক্ত। এর পরই ভারতবাসী সেই ব্যারিস্টারকে ‘দেশবন্ধু’ আখ্যা দেন। ১৮৭০-এর ৫ নভেম্বর প্রখ্যাত অ্যাটর্নি ভুবনমোহন দাশ ও নিস্তারিণী দেবীর পুত্র চিত্তরঞ্জন দাশের জন্ম। ছাত্রাবস্থা থেকেই সুবক্তা। লন্ডনে পড়তে গিয়ে ভারতীয় ছাত্রদের সঙ্ঘবদ্ধ করে প্রতিবাদ করেছিলেন। ব্যারিস্টারি পাশ করে দেশে ফিরে হলেন প্রবাদপ্রতিম আইনজ্ঞ। বিপ্লবীদের আইনি সহযোগিতা করতেন বিনা খরচে। আলিপুর ষড়যন্ত্র মামলায় সিংহের মতো লড়াই করে শ্রীঅরবিন্দ ও বারীন ঘোষকে ছাড়িয়ে আনলেন। কবি, নাট্যকর্মী, ‘নারায়ণ’ পত্রিকার সম্পাদক মানুষটি দুঃস্থদের সহায়তায় ধনসম্পদ, এমনকি নিজের বাড়িটিও বিলিয়ে দিয়েছেন। কংগ্রেসের এই নেতা ব্যারিস্টারি ছেড়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন চরমপন্থী আন্দোলনে, কারাবন্দি হন, স্বরাজ্য দল গড়েন। কলকাতার মেয়র হয়ে উন্নয়নেও রেখেছেন স্বাক্ষর। মাত্র ৫৫ বছর বয়সে প্রয়াণের পর রবীন্দ্রনাথ তাঁকে বলেছিলেন ‘মৃত্যুহীন প্রাণ’। আগামী কাল, ৫ নভেম্বর সার্ধশতবর্ষে উপনীত হবেন দেশবন্ধু।

স্বল্পায়ু

‘‘দৃঢ় সংকল্প পূর্ব্বক ধৈর্য্য রক্ষা করে শান্ত অবিচলিত চিত্তে আপনার কাজ করে যাও— কারো আঘাত গ্রহণ কোরো না, কাউকে আঘাত দেবার চেষ্টাও কোরো না।’’ ভ্রাতুষ্পুত্র বলেন্দ্রনাথ ঠাকুরকে (৬ নভেম্বর ১৮৭০-২০ অগস্ট ১৮৯৯) ‘সাধনা’ কার্যাধ্যক্ষ-কর্মে পরামর্শটি দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। মাত্র উনত্রিশ বছর বয়সে প্রয়াত হন ‘বলু’। স্বল্পায়ু জীবনে তিনটি গ্রন্থ ছাড়াও প্রকাশিত হয়েছে শতাধিক রচনা যার অধিকাংশই প্রবন্ধ। শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মবিদ্যালয় স্থাপনের মূল পরিকল্পক তিনিই। একেশ্বরবাদী ধর্মীয় সংগঠনগুলির মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠার কাজে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন। ব্রহ্মসঙ্গীত রচনা, চিত্রশিল্প, সংস্কৃত সাহিত্য, অপরাধী-মানবতত্ত্ব, জ্যোতিষ শাস্ত্র প্রভৃতি বিচিত্র বিষয়ে আগ্রহী ছিলেন। ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সজনীকান্ত দাস সম্পাদিত বলেন্দ্র-গ্রন্থাবলী (বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ), শোভন সোম-এর বলেন্দ্রনাথ ও রবীন্দ্রনাথ (আনন্দ), বলেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাব্য সংগ্রহ (ভারবি), সুব্রত রায়চৌধুরী সম্পাদিত ঠাকুরবাড়ির বলেন্দ্রনাথ (তথ্যসূত্র) বলেন্দ্র-চর্চাকে সমৃদ্ধ করেছে। ৬ নভেম্বর শুরু হচ্ছে তাঁর জন্মের সার্ধশতবর্ষ।

বিশুদ্ধ রূপ

ও পার বাংলার চট্টগ্রাম জেলার একটি প্রত্যন্ত গ্রাম আনোয়ারা। ওই গ্রামেরই আকাশ বাতাস জলমাটির সঙ্গে কৈশোর কেটেছিল এক স্বপ্ন-দেখা বালকের। কিন্তু সেখানে প্রথাগত শিক্ষার কোনও ব্যবস্থা ছিল না বলে সর্বক্ষণই ছিল গান শেখার জন্য আকুলতা। ১৯৬২-তে কলকাতায় এসেই গীতবিতান সঙ্গীত শিক্ষায়তনে রবীন্দ্রগানে প্রশিক্ষণ পর্ব চলাকালীনই আচার্য শৈলজারঞ্জন মজুমদারের সান্নিধ্যে আসা। সেই থেকে তন্নিষ্ঠ সাধনায় রত আশিস ভট্টাচার্য তাঁর গুরু শৈলজারঞ্জনের কাছে রবীন্দ্রগানের বিশুদ্ধ রূপটি অনুশীলন করেছেন নিয়ত, এবং সেই ধারাটিকেই আজও বহন করে চলেছেন বহু যত্নে। তাঁর ৭৫ বছর পূর্তি ও সঙ্গীতজীবনের ৫০ বছর উদ্‌যাপন উপলক্ষে শিল্পী একক রবীন্দ্রগান পরিবেশন করবেন ১০ নভেম্বর সন্ধে সাড়ে ৫টায় বিড়লা সভাঘরে এবং ১৭ নভেম্বর সন্ধে ৬টায় নিউটাউনের স্বপ্নভোর-এ।

ঐতিহ্যের ধারা

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাতটি দেশের জীবনচর্যায় রামায়ণের গুরুত্ব বড় কম নয়। সনাতন ভারতের ঐতিহ্য এই রামায়ণের মধ্যে দিয়েই সেখানে সঞ্চারিত হয়েছে। ব্যাঙ্কক ন্যাশনাল মিউজ়িয়ামের একমাত্র বাঙালি গাইড অনিতা বসু বিষয়টি নিয়ে অনেক দিন ধরেই চর্চা করছেন, এ নিয়ে তাঁর লেখা বই রামায়ণ/ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের পদচিহ্ন (পত্রভারতী) প্রকাশিত হবে ৬ নভেম্বর অক্সফোর্ড বুকস্টোরে। ৯ নভেম্বর সন্ধে সাড়ে ৬টায় কলকাতা কথকতার সহযোগিতায় শ্রীঅরবিন্দ ভবনের নিবেদনে অনিতার গবেষণাধর্মী উপস্থাপনা, ৮ শেক্সপিয়র সরণিতে।

পিতা-পুত্রী

জীবনের প্রথম চার দশক পেরিয়ে তবে রং-তুলির সংস্পর্শে এসেছিলেন বাবা। তার পরের তিন দশক মজে আছেন ছবি আঁকায়। রঙের দুনিয়ার আসতে কন্যার অবশ্য অত সময় লাগেনি। বাবা পেশায় চিকিৎসক। এক অর্থে কন্যাও— তাঁর পেশাই হল আর্ট থেরাপির মাধ্যমে মানুষের অসুখ সারানো। এ-হেন বাবা-মেয়ের জুড়ি ডাক্তার শঙ্কর চট্টোপাধ্যায় ও রীতি চট্টোপাধ্যায় বসুর। রং-তুলিতে অবশ্য ভিন্ন ভাষায় কথা বলেন তাঁরা। অ্যাকাডেমি ওয়েস্ট গ্যালারিতে তাঁদের যৌথ প্রদর্শনী, ৮-১৪ নভেম্বর।

বিজ্ঞান-দর্শন

বিজ্ঞানের সাধক না হয়েও রবীন্দ্রনাথ বিজ্ঞানকে নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গিতে বুঝতে ও বোঝাতে চেয়েছেন। মৌলানা আবুল কালাম আজ়াদ ইনস্টিটিউট অব এশিয়ান স্টাডিজ়ের সহযোগিতায় টেগোর সেন্টার ফর ন্যাচারাল সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিলজ়ফি আয়োজন করেছে আন্তর্জাতিক আলোচনাচক্র: ‘বিজ্ঞান ও দর্শনের অচিন রহস্য এবং রবীন্দ্রনাথের আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি’। ৬ নভেম্বর সকাল ১০টা থেকে নিউটাউনের রবীন্দ্রতীর্থে এই আলোচনায় টেগোর সেন্টারের সভাপতি বিকাশ সিংহ ছাড়া থাকবেন মার্টিন কেম্পশেন, গুস্তাভো কানসোব্রে ও দীপক ঘোষ। থাকছে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থাপনায় ‘দ্য টু পোয়েটস’।

জনহিতৈষী

১৮৮৪ সালের ডিসেম্বরের শেষ দিক। মাদ্রাজে দেওয়ান বাহাদুর রঘুনাথ রাওয়ের বাড়িতে আলোচনায় বসলেন দেশের নানা প্রান্তের ১৭জন প্রতিনিধি। ভারতের জাতীয় কংগ্রেস গড়ার সেটাই সূচনা। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চারুচন্দ্র মিত্র (১৮৫০-১৯১৪), ইলাহাবাদের বিখ্যাত সমাজহিতৈষী বাবু নীলকমল মিত্রের পুত্র। আসলে তাঁরা হুগলির মানুষ, পরে কলকাতার বাসিন্দা। কংগ্রেসের প্রথম দু’দশকের সংগঠনে চারুচন্দ্রের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। বিশেষ করে ইলাহাবাদ ও কলকাতার অধিবেশনগুলিতে তিনি কার্যকর ভূমিকা নেন। যুক্তপ্রদেশের আইনসভাতেও নির্বাচিত হন, দ্বিতীয় দফায় মদনমোহন মালবীয়ের সমর্থনে সরে দাঁড়ান। ইলাহাবাদের ‘কায়স্থ পাঠশালা’, কলকাতার ‘কায়স্থ সমাজ’-এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা চারুচন্দ্র। বেঙ্গল ন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্সেরও তিনি প্রতিষ্ঠাতা-সদস্য। ইলাহাবাদে তৈরি করেন ইন্ডিয়ান গার্লস স্কুল (১৮৮৮)। বহু জনহিতকর কাজে যুক্ত মানুষটির (সঙ্গের ছবি) ১৭০তম জন্মবর্ষ কেটে গেল নীরবেই।

সম্পূর্ণার খাতা

লেখার জন্য সম্পূর্ণা দেবীকে খাতা উপহার দিয়েছিলেন তাঁর দিদি— আশাপূর্ণা দেবী, লেখা পড়ে বলেছিলেন ‘তোমার কলম যে অন্তরালে বসে অন্য এক মাধ্যমে এত ‘‘সিদ্ধ’’ হয়ে উঠেছে তা তো এতোদিন বলনি।’ সম্পূর্ণা-র যে পাণ্ডুলিপি দু’টি একত্রে গ্রন্থিত করেছে থীমা, তাতে আত্মজৈবনিক ছোট-বড় আখ্যানের ভিতর দিয়ে এগোতে-এগোতে এক জীবনকাহিনিই যেন উন্মোচিত হয়। প্রকাশকের পক্ষে জানিয়েছেন শমীক বন্দ্যোপাধ্যায়, ‘‘এতই বিশেষ ও ব্যক্তিগত সেই ইতিহাস যে আমরা সেই বৃত্তান্ত প্রকাশ করতে গিয়ে... তাঁর বিন্যাসও সসম্ভ্রমে রক্ষা করেছি।’’ আগেই সম্পূর্ণা দেবী শতবর্ষ স্মারক সমিতি-র তরফে প্রকাশ পেয়েছিল নির্বাচিত সম্পূর্ণা। থীমা-র এই বই আশাদির দেওয়া খাতাখানি-র সঙ্গে প্রকাশিত হচ্ছে রত্না বন্দ্যোপাধ্যায়ের অজিতেশের শেষ ঠিকানা ও কল্যাণী দত্তের গত দিনের যত কথা। ৯ নভেম্বর থীমা-র বইঘরে সন্ধে সাড়ে ৬টায়। বই তিনটি নিয়ে বলবেন রুশতী সেন ও অনিতা অগ্নিহোত্রী।

শতবর্ষে

একশো বছরে পড়ল রাজ্য সরকারে কর্মরত পূর্ত এবং সেচ ও জলপথ বিভাগের ইঞ্জিনিয়ারদের সংগঠন, স্টেট ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী ভারতে এই সংস্থার জন্ম। শুরুর দিনেই ব্রিটিশ প্রভুর ইউরোপীয় ও দেশি কর্মচারীদের মধ্যে বৈষম্যনীতির প্রতিবাদ করে সংগ্রামী অভিষেক। সেই আপসহীন মনোভাব সঞ্চারিত হয়েছিল সংস্থার স্বাধীনতা-পরবর্তী কার্যকলাপের মধ্যেও। সত্তরের দশকে ফেটো নামের মঞ্চ গড়ে সংগঠনটি কারিগরি বিভাগের বেশ কিছু পরিবর্তনের পক্ষে লড়েছিল। সারা দেশের বিশিষ্ট মানুষ ও প্রযুক্তিবিদদের উপস্থিতিতে শতবর্ষ পালনের সূচনা ৯ ও ১০ নভেম্বর, সায়েন্স সিটিতে। উদ্‌যাপনে থাকবে কারিগরি ও সামাজিক কর্মসূচি, মেলা, প্রদর্শনী, সেমিনার ইত্যাদি।

চল্লিশে গণকৃষ্টি

১৯৭৯-র ৭ নভেম্বর তেলেঙ্গাবাগানের ক’জন নাট্যপ্রেমী যুবক শুরু করেছিলেন ‘গণকৃষ্টি’ থিয়েটার দল। তাঁদের মন আজও তরতাজা, তাই অবিরত নাট্যচর্চা। এ বার ৪০ পূর্ণ করল গণকৃষ্টি। দীর্ঘ পথে মঞ্চস্থ হয়েছে ৩৪টি নাটক। এই উপলক্ষে ৬ নভেম্বর অ্যাকাডেমিতে ৬টা থেকে সেমিনার— বিষয় ‘থিয়েটার: অন্য পরিসরে’। আলোচনায় প্রবীর গুহ, দেবাশিস চক্রবর্তী, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ও জিন্না আহমেদ। ৭ নভেম্বর সন্ধে ৬টা থেকে অ্যাকাডেমি মঞ্চে বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান। প্রথমে ধরণী ঘোষ স্মৃতি সম্মাননা, সংবর্ধিত হবেন আনন্দ লাল। তীর্থঙ্কর মুখোপাধ্যায় স্মারক ভাষণে আশিস গোস্বামী আলোচনা করবেন ‘থিয়েটারের দর্শক, দর্শকের থিয়েটার’ বিষয়ে। শেষে আন্তন চেকভ অবলম্বনে নাটক ‘কিরীটীর নোটবুক’।

স্বাধীন মন

স্বাধীনচেতা তিনি বরাবরই, শিল্প-সাহিত্য-দর্শনের যে শাখাতেই বিচরণ করেন, সৃষ্টির ধরন চিনিয়ে দেয় তাঁর স্বাধীন মনটিকে, সমাজ এফোঁড়-ওফোঁড়-করা তাঁর রাজনৈতিক দর্শন-ও। আলেকজান্ডার ক্লুগে (জ. ১৯৩২), জার্মান এই অশীতিপর মনস্বী তাঁর সৃষ্টির প্রকাশে এখনও সমান সক্রিয়। এ বার কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ‘ফোকাস’ দেশটি জার্মানি, তাতে আসার ইচ্ছা থাকলেও পারলেন না আসতে, ছবি তৈরির কাজে ব্যস্ত থাকায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মধ্যে বড়-হয়ে-ওঠা ক্লুগে ফ্র্যাঙ্কফুর্টে পড়াশোনা করার সময় থিয়োডোর অ্যাডর্নো-র সংস্পর্শে আসেন, তাঁর পরামর্শেই কিংবদন্তি ছবি-করিয়ে ফ্রিৎজ় ল্যাঙ্গ-এর কাজের সঙ্গী হয়ে ওঠেন। নিজের প্রথম ছবি ‘ব্রুটালিটি ইন স্টোন’, বারো মিনিটের সেই সাদাকালো ছবি উন্মোচন করেছিল তাঁদের নাৎসি-অতীতকে। নিউ জার্মান সিনেমা-র অন্যতম নান্দনিক প্রবক্তা ক্লুগে যশস্বী সাহিত্যিক ও টেলিভিশন অনুষ্ঠানেরও স্রষ্টা। ম্যাক্সমুলার ভবন গ্যোটে ইনস্টিটিউটের ব্যবস্থাপনায় তাঁর ছবির রেট্রো কলকাতা চলচ্চিত্রোৎসবে, উপস্থিত থাকবেন তাঁর পুত্র লিয়োনার্ড আর তাঁর নামাঙ্কিত ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টর স্টেফান হল।

প্রতিবাদী স্বর

কথাকলির সঙ্গে ক্যাবারে মিলিয়েই তিনি মঞ্চস্থ করেন তাঁর অভূতপূর্ব প্রতিবাদী থিয়েটার, যেখানে ব্যক্তির অস্তিত্ব-সত্তা মেশে রাজনীতিতে, শ্লেষবিদ্ধ স্যাটায়ারে উগরে দেন প্রত্যহের যন্ত্রণা, ক্ষোভ আর হতাশা। একই শরীরী উচ্চারণে ভিন্ন ভিন্ন গল্প শোনান শিল্পী মায়া কৃষ্ণরাও। সত্তর দশকের শেষ থেকে পথ নাটিকা ‘ওম স্বাহা’ কিংবা ‘দফা নম্বর ১৮০’র সঙ্গেই প্রকট হয়েছিল তাঁর নারীবাদী রাজনৈতিক অবস্থান, তার পর একের পর এক মঞ্চস্থ করেছেন ‘খোল দো’, ‘আ ডিপ ফ্রায়েড জ্যাম’, ‘রাবনামা’ এবং সাম্প্রতিকতম প্রযোজনা, ‘লুজ় উওম্যান’। নির্ভয়া কাণ্ডের পরে মায়ার ‘ওয়াক’ প্রতিষ্ঠা করেছিল একলা মেয়ের একা পথ চলবার অধিকার। আবার ২০১৫ সালে দেশ জুড়ে অসহিষ্ণুতার প্রতিবাদে ফিরিয়ে দেন সঙ্গীত নাটক অকাদেমি সম্মান। মায়ার এ বারের কলকাতা সফরের আয়োজক যাদবপুর স্কুল অব উইমেন’স স্টাডিজ়, পিক্‌ল ফ্যাক্টরি এবং ডান্সার্স গিল্ড। ৪-১১ নভেম্বর রয়েছে একাধিক কর্মশালা, আলাপচারিতা, রঞ্জাবতী সরকার স্মারক বক্তৃতা (৭ নভেম্বর), এবং অবশ্যই ‘লুজ় উওম্যান’ (জেম সিনেমা, ৬ নভেম্বর)।

কর্মযোগী

ভারতের অন্তরাত্মা গ্রামে বাস করে। এ কথা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতেন বলে ১৯২২ সালে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে স্বর্ণপদক নিয়ে ডাক্তারি পাশ করা এক যুবক অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলায় খেজুরি থানার বিরবন্দ গ্রামের এক দাতব্য চিকিৎসালয়ে চাকরি নেন। ক্রমে ডাক্তার হিসেবে তাঁর খ্যাতি কিংবদন্তিতে পরিণত হয়। প্রতিষ্ঠা করেন বালক ও বালিকা বিদ্যালয়। তার পর একে একে বয়স্ক শিক্ষাকেন্দ্র, পাঠাগার, স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্র, আধুনিক কৃষিকেন্দ্র, বয়নশিল্পকেন্দ্র ইত্যাদি। জনচেতনা বাড়াতে তিনি পক্ষকাল ব্যাপী এক মেলার আয়োজন করতেন। মুগবেড়িয়া ও কল্যাণচক, যথাক্রমে পশ্চিম ও পূর্ব মেদিনীপুরের এই দু’টি গ্রামে ছড়িয়ে আছে তাঁর কর্মযজ্ঞের স্বাক্ষর। স্বল্পায়ু মানুষটি হলেন ডা. শরৎচন্দ্র মিশ্র। ১ নভেম্বর তাঁর ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গোলপার্ক রামকৃষ্ণ মিশনে আয়োজিত হল স্মারক বক্তৃতা। ডা. কুণাল সরকার বললেন ‘গ্রামে চিকিৎসা’, নলিনী বেরা বললেন ‘গ্রামে শিক্ষা’ বিষয়ে।

বই-উৎসব

‘প্রত্যেকের জন্যই একটা কিছু’— ‘পেঙ্গুইন ক্লাসিকস ফেস্টিভ্যাল’-এর স্লোগান এটাই। আবির্ভাবেই দেশ জুড়ে সাড়া ফেলেছিল পেঙ্গুইন র‌্যান্ডম হাউস ইন্ডিয়া প্রকাশনা সংস্থা আয়োজিত এই বই-উৎসব। নভেম্বর জুড়ে সাউথ সিটি মল-এর স্টারমার্ক-এ চলছে ধ্রুপদী সাহিত্যের এই পার্বণ। পেঙ্গুইন মডার্ন ক্লাসিকস, ইন্ডিয়ান ক্লাসিকস-এর বিপুল সম্ভারের পাশেই থাকছে নজরকাড়া ভিন্টেজ ক্লাসিকস, কাপড়ে আর চামড়ায় বাঁধানো দুর্দান্ত প্রিমিয়াম ক্লাসিকস। আছে দু’টি বিশেষ বিন্যাস—আমেরিকান ও ব্রিটিশ ব্ল্যাক ক্লাসিকস। দু’টি বিভাগেই বহু লেখক স্বল্প বা অ-পরিচিত, এমনকি অনেকের বই এই প্রথম আসছে কলকাতা তথা ভারতে। প্রতি বছরের মতো এ বারও মোহর কুঞ্জে চলছে বাংলাদেশ বইমেলা (১০ নভেম্বর পর্যন্ত), আয়োজনে বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি। থাকছে পড়শি দেশের ষাটেরও বেশি প্রকাশনা স্টল থেকে বই বেছে নেওয়ার সুযোগ।

তুমি তো মানুষ

দাদামশায় বিখ্যাত বহুরূপী কালীপদ পালের আগ্রহে ও অনুপ্রেরণায় রং মেখে সং ‘বহুরূপী’ সাজার কাজে যুক্ত কুড়ি বছরেরও বেশি সময়। তাঁর ডাকে মাত্র বারো বছর বয়সেই ডায়মন্ড হারবারের পাতরা থেকে হুগলি তারকেশ্বরের জোড়শম্ভু গ্রামে আসা। পরে দাদামশায়ের বাড়িই স্থায়ী ঠিকানা, বলছিলেন বহুরূপী দীপঙ্কর হালদার। নিত্য দিন শিব কালী কৃষ্ণ সেজে তারকেশ্বর থেকে হাওড়া হয়ে এই মহানগরের অলিগলিতে ঘোরাঘুরি করতেই অভ্যস্ত তিনি। তবে বিশেষ কোনও কারণে রকমফের হয়। যেমন এ বারের কালীপুজোর কলকাতায় বাঘাযতীন এলাকায় একটি ক্লাবের পুজোয় দিন তিনেক কালী (উপরের ছবি) রাক্ষস কঙ্কাল সব সাজেই দেখা গেল, সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন আরও জনা কয়েক তারকেশ্বরের বহুরূপী। কঙ্কালকে দেখে ছোট্ট মেয়ের চিল চিৎকার, শেষে কঙ্কাল যখন হাত মিলিয়ে বলল, আমি তোমার বন্ধু হই, তখন খুদের উত্তর, আমি তোমায় ভয় পাইনি, তুমি তো মানুষ!

স্মরণাঞ্জলি

বৈষ্ণবাচার্য রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ তাঁর পুত্রকে শান্তিনিকেতনে পড়াতে নিয়ে আসায় ক্ষিতিমোহন সেন কারণ জিজ্ঞেস করেছিলেন, বিদ্যাভূষণ উত্তরে বলেছিলেন, রবীন্দ্রনাথের গানে-কবিতায় বা জীবনে-কথাবার্তায় আপনজন মনে হয়েছে তাঁকে, তাই... রবীন্দ্রনাথকেও বলেছিলেন ‘‘দেখুন, আপনি আমাদেরই মানুষ... বিশেষতঃ আপনার গীতাঞ্জলি পড়িয়া ইহা আরও বুঝিয়াছি।’’ বৈষ্ণবাচার্য গৌরমোহন চট্টরাজ ও হরসুন্দরী দেবীর সন্তান রসিকমোহন তাঁর সন্ন্যাসীসম নির্লিপ্ত জীবন সাহিত্য-দর্শন-শাস্ত্রাদি অধ্যয়নেই অতিবাহিত করেছেন। তখনকার কালে কলকাতার কৃষ্টি-ধর্ম-সমাজ সংস্কারের নিত্যনতুন আন্দোলনে শামিল হয়েছেন। বাগ্মী এই মানুষটি তাঁর নির্ভীক লেখনীতে তুলে আনতেন প্রাচ্য-পাশ্চাত্যের তুলনামূলক আলোচনা ও স্বাজাত্যবোধ। বৈষ্ণবতত্ত্বের অন্যতম এই পুরোধার ১৮০ বছর পূর্তি উদ্‌যাপনের আয়োজন করেছে সূত্রধর— ‘রসিক-স্মরণাঞ্জলি’। ১০ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৫টায় বৈষ্ণব প্রতিষ্ঠান বাগবাজার গঙ্গাতীর ভাগবত সভায়। বলবেন কাননবিহারী গোস্বামী ও সুমন ভট্টাচার্য। কীর্তনাঙ্গের রবীন্দ্রগান গাইবেন ঈশিতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুমন ভৌমিকের সম্পাদনায় প্রকাশ পাবে শ্রীমৎ রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ: স্মরণাঞ্জলি।

নতুন নাটক

অনভিপ্রেত গর্ভসঞ্চারের আখ্যান ও তা থেকে জন্ম নেওয়া অনিবার্য স্ববিরোধ ঘিরে ধরে যে উপন্যাসকে, ওরিয়ানা ফালাচি-র সেই উপন্যাস ‘লেটার টু আ চাইল্ড নেভার বর্ন’-এর অনুপ্রেরণায় নির্মিত হল কসবা অর্ঘ্য-র নতুন নাটক ‘কুহোর’। ওরিয়ানা ছিলেন এক জন ইটালীয় সাংবাদিক ও লেখক। নাটকটিতে একক অভিনয়ে আছেন সীমা ঘোষ, যিনি তীজন বাই-এর প্রধান শিষ্য হিসেবে ভারতীয় নাট্য মহলে ‘ছোটা তীজন’ নামে খ্যাত। এই নাট্যসৃষ্টিতে নির্দেশক মণীশ মিত্র আশ্রয় নিয়েছেন শঙ্খ ঘোষ, প্রবাল চক্রবর্তী ও নীলাঞ্জন মিশ্র’র কবিতার। অর্ঘ্য-র এই নবতম প্রযোজনা দেখা যাবে তাদের নাট্যোৎসব লোকরঙ্গ ২০১৯-এ। উৎসব চলবে ৮-১৩ নভেম্বর, অ্যাকাডেমি ও জানুস-এ।

স্বতঃস্ফূর্ত

জাপান থেকে শিক্ষামূলক ভ্রমণে এই প্রথম কলকাতা এসেছেন টোসি ও থারুনা। শোভাবাজার মেট্রোর এক নম্বর গেটের সামনে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে থারুনা এগিয়ে গিয়ে স্বেচ্ছায় আর পাঁচ জনের সঙ্গে মাতলেন বিদ্যাসাগরের ছবিতে ফোঁটা দিতে। ফি বছরের মতোই পথশিশু, প্রান্তিক ও পথচলতি মানুষের উপস্থিতিতে আয়োজিত হয় ডি আশিসের মেডিক্যাল ব্যাঙ্কের উদ্যোগে বিদ্যাসাগরের জন্মের দ্বিশতবার্ষিকীকে মনে রেখে এক অভিনব ভ্রাতৃদ্বিতীয়া।

জাপান থেকে এল যোগেন চৌধুরীর ছবি

জাপানের সঙ্গে শিল্পী যোগেন চৌধুরীর সুনিবিড় সম্পর্ক। সে দেশের সঙ্গে শিল্পী অংশ নিয়েছেন অনেক শিল্প শিবিরে। সত্তরের দশকে জাপান থেকে বুদ্ধ চর্চার জন্য ভারতে এসেছিলেন মাসানোরি ফুকুয়োকা। পরে তিনি এখানকার শিল্পকলার ভালবাসায় পড়ে যান এবং ধীরে ধীরে সংগ্রহ করতে থাকেন এখানকার শিল্পীদের নানা ধরনের কাজ। তায়েব মেটা, শক্তি বর্মণ থেকে যোগেন চৌধুরী— কে নেই তাঁর সংগ্রহের তালিকায়! ফুকুয়োকার সংগ্রহে এখন কেবল যোগেন চৌধুরীর ছবিই আছে চার শতাধিক। ওঁকে এই সংগ্রহের কাজে সহায়তা করেছেন মুম্বইয়ের পান্ডোলে আর্ট গ্যালারির প্রতিষ্ঠাতা দাদিবা পান্ডোলে। দক্ষিণ জাপানের হিমেজিতে ১৯৯৩ সালে ফুকুয়োকা প্রতিষ্ঠা করেন গ্লেনবারা আর্ট মিউজ়িয়াম। তাঁর নিয়মিত সংগ্রহের সুবাদে এটি এখন ভারতীয় শিল্পের একটি স্বর্ণখনি। এ বার এই শিল্প সংগ্রহশালা থেকে বাছাই করা ছবি নিয়ে ৭ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টেয় আইসিসিআর-এর নন্দলাল বসু গ্যালারিতে শুরু হচ্ছে যোগেন চৌধুরীর একক বর্ণময় প্রদর্শনী। চিত্রকূট আর্ট গ্যালারির উদ্যোগে এবং আইসিসিআর, পান্ডোলে ও দিল্লির ভাদেরা আর্ট গ্যালারির সহায়তায় এই প্রদর্শনীটি চলবে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত, রোজ ৩-৮টা। আগামী বছর জানুয়ারি মাসে মুম্বইয়ে (পান্ডোলে আর্ট গ্যালারি) এবং মার্চ মাসে দিল্লিতেও (ভাদেরা আর্ট গ্যালারি) যাবে এই ভ্রাম্যমাণ প্রদর্শনী। সঙ্গের ছবি প্রদর্শনী থেকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement