কলকাতার কড়চা

কেমন হত গোড়ার দিকের বইয়ের প্রচ্ছদ? আমরা খুব কমই জানি সে কথা। তবে এটুকু বোঝা যায়, সে কালে নামপৃষ্ঠার সঙ্গে প্রচ্ছদের বিশেষ ফারাক ছিল না। বিশ শতকে এসে প্রচ্ছদেও নানা বৈচিত্র এল।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০১৭ ০০:০০
Share:

বাংলা বইয়ের প্রচ্ছদকাহিনি

Advertisement

হ্যালহেডের ব্যাকরণ থেকে ধরলে বাংলা ছাপা বইয়ের ইতিহাস আড়াইশো বছর ছুঁতে আর মাত্র এক দশক। কেমন হত গোড়ার দিকের বইয়ের প্রচ্ছদ? আমরা খুব কমই জানি সে কথা। তবে এটুকু বোঝা যায়, সে কালে নামপৃষ্ঠার সঙ্গে প্রচ্ছদের বিশেষ ফারাক ছিল না। বিশ শতকে এসে প্রচ্ছদেও নানা বৈচিত্র এল। বিশ্বভারতীই প্রথম পরিকল্পিত ভাবে তাদের বইয়ে বিষয়ভিত্তিক প্রচ্ছদচিত্র ব্যবহার করে। কালক্রমে বাংলা বইয়ের প্রচ্ছদে বিপ্লব ঘটেছে। প্রচ্ছদের দীর্ঘ বিবর্তনের ইতিহাসে নানা ধারার দেখা মেলে। কাঠখোদাই থেকে লেটারপ্রেস হয়ে অফসেটের যুগ কত শিল্পীর কত অভিজ্ঞতার ইতিবৃত্ত। আজকের ডিজিটাল প্রযুক্তির চাপে শিল্পীর আঁকা প্রচ্ছদ হারিয়ে যেতে বসেছে। গ্রন্থনির্মাণে প্রচ্ছদের ভূমিকা অনেকখানি, কারণ নামপত্র ও অলংকরণ অন্তঃপুরবাসী কিন্তু প্রচ্ছদ সদা-উন্মুক্ত। পাঠক প্রচ্ছদ-পরিকল্পনা থেকেই বিষয়বস্তুর ইঙ্গিত পেয়ে যান। কত না শিল্পী বাংলা বইয়ের প্রচ্ছদকে সমৃদ্ধ করেছেন: পূর্ণ চক্রবর্তী প্রতুল বন্দ্যোপাধ্যায় আশু বন্দ্যোপাধ্যায় (সঙ্গে তাঁরই আঁকা তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কালিন্দী’-র প্রচ্ছদচিত্র, ১৯৪০) অজিত গুপ্ত থেকে সত্যজিৎ রায় পূর্ণেন্দু পত্রী খালেদ চৌধুরী। শিল্পী প্রণবেশ মাইতি বহু দিন ধরেই এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহে ব্যস্ত, এ বার তিনি পরিচালনা করেছেন ‘ভিশন ইমেজারি’ শীর্ষক ৪৫ মিনিটের একটি তথ্যচিত্র। ধীমান দাশগুপ্তের চিত্রনাট্য, ভাষ্যে শমীক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রণবরঞ্জন রায় ও মৃণাল ঘোষ প্রচ্ছদের ইতিবৃত্ত তুলে ধরেছেন। ২ সেপ্টেম্বর সন্ধে ছটায় বিড়লা তারামণ্ডলের সেমিনার কক্ষে এটি দেখানো হবে। প্রকাশিত হবে একটি রঙিন ফোল্ডারও। উদ্যোগে থার্ড আই। সে দিনই দেখানো হবে শিশু মনস্তত্ত্ব নিয়ে অতনু পালের ‘ছেলেবেলা ছেলেবেলা’ ও ধীমান দাশগুপ্তকে নিয়ে বিভাস মুখোপাধ্যায়ের ‘দ্য রাইটার অ্যাজ টিচার’ তথ্যচিত্র দুটিও।

Advertisement

তথ্যচিত্র

‘কলকাতায় নাকি টাকা হাওয়ায় উড়ে বেড়ায়। এমন ভাবনা থেকেই সেই কোন কালে আশপাশের রাজ্য থেকে অনেক মানুষ এসেছিলেন এই শহরে জীবিকার আশায়,’ বলছিলেন দিলীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘এই সমস্ত মানুষদের অনেকেই সেদিন রিকশা চালকের পেশা বেছে নেন। ক্রমে শহরের সঙ্গেই সমার্থক হয়ে গিয়েছে এই হাতে টানা রিকশার চালকের হাতের ঘণ্টার টুং-টুং শব্দ।’ ২০০৬-তে সরকারি নির্দেশনামা জারি হয় এঁদের বিকল্প পেশায় নিয়ে যেতে। কিন্তু সেই নির্দেশ প্রহেলিকাই রয়ে গিয়েছে। বরং ওঁরা সামাজিক অবহেলার শিকার হয়েছেন। এই বিষয়টি তুলে ধরতেই পরিচালক দিলীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ঘুরেছিলেন ওয়েলিংটন থেকে শ্যামবাজার, ওদিকে দক্ষিণ কলকাতার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। তৈরি হয়েছে অন হিজ লাস্ট লেগ শীর্ষকে ২৬ মিনিটের একটি তথ্যচিত্র। সম্প্রতি নন্দন ৩-এ দেখানো হল ছবিটি। সঙ্গের ছবি তথ্যচিত্র থেকে।

শারদোৎসব

বাংলার লৌকিক শিল্পধারায় সরা-র স্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। লোকশিল্পীরা লক্ষ্মীপুজোর সময় সরা আঁকেন পুজোর উপচার হিসাবে। সেই লোক-ঐতিহ্য ও পরম্পরাকে শ্রদ্ধা জানাতেই এ বার বিশিষ্ট শিল্পীদের আঁকা সরা নিয়ে শারদোৎসবের পরিকল্পনা করেছে ‘দেবভাষা বই ও শিল্পের আবাস’ (৬বি যতীন দাস রোড)। রবীন মণ্ডল সনৎ কর গণেশ হালুই লালুপ্রসাদ সাউ (সঙ্গে তাঁর আঁকা সরা) জনক ঝংকার নার্জারি আদিত্য বসাকের মতো ১১ জন শিল্পীর আঁকা ২২টি সরার প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে ৩১ অগস্ট, চলবে ২৭ সেপ্টেম্বর মহাসপ্তমী পর্যন্ত। প্রদর্শনী উপলক্ষে প্রকাশিত হবে সৌমিক নন্দী মজুমদারের লেখা
কে জি সুব্রহ্মণ্যমের সরা শীর্ষক পুস্তিকা। সুব্রহ্মণ্যম শিল্পজীবনে বহু সরা এঁকেছেন। প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন রামানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়।

স্বপ্নভোর

বয়স্ক নাগরিকদের জন্য অনেক ভাবনা থাকে বিদেশে। আমাদের এখানেও সম্প্রতি তেমন কিছু উদ্যোগ নজরে পড়ছে। হিডকোর উদ্যোগে নিউটাউনের বি এফ ব্লকে গড়ে তোলা হয়েছে বরিষ্ঠ নাগরিকদের জন্য একটি পার্ক। ইতিমধ্যেই চারিদিকে শুরু হয়েছে পুজোর সাজ, শুরু হয়েছে কেনাকাটাও। কিন্তু এই ভিড়ে বয়স্ক নাগরিকেরা কি স্বচ্ছন্দ হতে পারবেন! এমত ভাবনা থেকে ওঁদের একটু স্বাচ্ছন্দ্য দিতেই ১-৩ সেপ্টেম্বর এই স্বপ্নভোর সিনিয়র’স পার্কে শুরু হচ্ছে একটি প্রাক পুজো মেলা। ঘর সাজাবার সামগ্রী থেকে পোশাক বা চটজলদি খাবারের সঙ্গে ইচ্ছে করলে এখানেই কিনে নিতে পারবেন নানাবিধ হস্তশিল্প সামগ্রী, গয়না বা পছন্দের বইপত্র। তিন দিনের এই মেলা চলবে প্রতিদিন ১২-৭ টা পর্যন্ত।

ফরাসি ভারত

ব্রিটিশ ভারতের কথা তো সকলেরই জানা। ফরাসি ভারত, সে আবার কী! ঘরের কাছে চন্দননগর, দক্ষিণে পন্ডিচেরি। একদা ফ্রান্স-শাসিত ভারতের পাঁচটা ছোট মাঝারি শহর, কেমন আছে তারা আজ? সুদূর ফ্রান্স থেকে সেটাই সরেজমিনে দেখতে হাজির হয়েছিলেন সাহিত্যিক জাঁ-ক্লদ পেরিয়ে। কয়েক বছর আগের ভ্রমণকথা লিখেছেন তাঁর সদ্য প্রকাশিত বই ট্রাভলস ইন ফ্রেঞ্চ ইন্ডিয়া-য় (সম্পর্ক)। প্রথমে চন্দননগর ও পরে পন্ডিচেরিতে ঋষি অরবিন্দের কথা, আজকের পন্ডিচেরি বা মাহেতে (কেরল) কচিকাঁচাদের ফরাসি ভাষা শেখার উৎসাহ, চন্দননগর ও পন্ডিচেরিতে উনিশ শতকের ফরাসি স্থাপত্য, এমন বহু কথাই সেখানে ধরা পড়েছে। সম্প্রতি পেরিয়ে এসেছিলেন এই শহরে তাঁর সদ্যপ্রকাশিত বইয়ের উদ্বোধনে। প্রায় প্রত্যেক পাতায় ছবি ও মানচিত্রে ভরা বইটি ভারতের ইতিহাসে অল্প-চর্চিত এক অধ্যায়ের দলিল।

নতুন পড়া

‘এবার হবে নতুন পড়া’... সিলেবাসের বাইরে বেরিয়ে এ-নাটক অভিনয় করবে চল্লিশ জন ছাত্রী। বিজয়ভূমির শিশু আবাসের এই বালিকাদের নিয়ে নাটক মঞ্চস্থ করার অনুশীলন চলেছে কয়েক মাস ধরে, তাদের অভিনয়যোগ্য করে নাটকটি লিখে দিয়েছেন শেখরনাথ মুখোপাধ্যায়, নির্দেশনাও তাঁর। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জোকায় বিজয়ভূমির শিশু আবাসটি সোসাইটি ফর দ্য প্রোটেকশন অব চিলড্রেন ইন ইন্ডিয়া-র। শতাধিক বছরের এ প্রতিষ্ঠানে আজ প্রায় আড়াইশো দরিদ্র বালিকা মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলো গানবাজনা করে, হাতের কাজ শেখে ভবিষ্যতে কর্মপটু হয়ে ওঠার জন্যে। সহজ পদ্যছন্দে লেখা নাটকটিও তাদের নাচগানে ভরপুর, অজস্র দরিদ্র শিশুর শিক্ষার অধিকারের কথাও থাকছে এই নাটকে। প্রথম অভিনয় সিএলটি-র অবন মহলে ৩১ অগস্ট সন্ধে সাড়ে ৬টায়।

সুখচর পঞ্চম

সুখচর পঞ্চম রেপার্টরি থিয়েটার তাদের নতুন প্রযোজনা সম্পর্কে ‘আমাদের কথা’য় বলেছে, ‘ভাল কথা, ন্যায়ের কথা, নীতির কথা বলে চলাই যে কাজ। কেউ শুনুক আর না শুনুক। ক্ষমতাশীল আত্মীয় বন্ধুরা শোনেন, কিন্তু শোনেন না। সেই ধৃতরাষ্ট্র বিদুরের মতোই। তবে বলে চলাটা থামে না। যেমন সুতো না থাকলেও মদন তাঁতির তাঁত থামে না। চাঁদ বণিকের পাড়ি বন্ধ হয় না। তেমনই নাটকের বলা বা বলার নাটকটা চলতেই থাকে। সেই বলাবলির কথকতার কেন্দ্রেই এ বার বিদুর।’ মলয় মিত্রের নাটক ও নির্দেশনায় ‘বিদুর ধর্মযাত্রা’ নাটকটি ৩ সেপ্টেম্বর, সন্ধে সাড়ে ৬টায় গিরিশ মঞ্চে মঞ্চস্থ হবে।

কল্পবিশ্ব

‘সায়েন্স ফিকশন’-এর বাংলা প্রতিশব্দ ‘কল্পবিজ্ঞান’ তাঁর মাথা থেকেই বেরিয়েছিল। ভারতের প্রথম সায়েন্স ফিকশন পত্রিকা ‘আশ্চর্য!’ তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় ১৯৬৩ সালে। তিনি অদ্রীশ বর্ধন। প্রফেসর নাটবল্টু চক্র ও গোয়েন্দা ইন্দ্রনাথ রুদ্রের মতো চরিত্রের স্রষ্টাকে নিয়ে বাংলার প্রথম সায়েন্স ফিকশন ও ফ্যান্টাসি ওয়েবজিন ‘কল্পবিশ্ব’ বের করেছে বিশেষ সংখ্যা। যাতে রয়েছে প্রবীণ সাহিত্যিকের পুরনো সাক্ষাৎকার, তাঁর পুরনো গল্প, প্রবন্ধ ও তাঁকে নিয়ে একাধিক রচনা। লেখককে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়েছেন অনীশ দেব, অভিজ্ঞান রায়চৌধুরীর মতো কল্পবিজ্ঞান লেখকরা। রয়েছে তাঁর সম্পাদিত পত্রিকা ও লেখা অসংখ্য বইয়ের প্রচ্ছদ। এ ছাড়া তাঁর সুহৃদ ও একদা প্রধান সহযোগী সাহিত্যিক রণেন ঘোষকে লেখা তাঁর একগুচ্ছ চিঠি এই সংখ্যার অন্যতম আকর্ষণ। বাংলা কল্পবিজ্ঞান আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎকে নিয়ে এমন বিস্তারিত কাজ এই প্রথম।

অভির নাটক

অশোকনগর নাট্যমুখের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য অভি চক্রবর্তী নির্দেশিত ছ’টি নাটক নিয়ে ১ সেপ্টেম্বর, দুপুর আড়াইটেয় আকাদেমি অব ফাইন আর্টসে শুরু হচ্ছে ‘ছয় অভিনয়’ শীর্ষক নাট্যোৎসব। ব্রাত্য বসুর উৎসব উদ্বোধনের পর অভিনীত হবে অশোকনগর নাট্যমুখের প্রযোজনা ‘রাতবিরেতের রক্তপিশাচ’ (সঙ্গের ছবি)। সন্ধে ৬টায় তৃপ্তি মিত্র নাট্যগৃহে আসানসোল চর্যাপদের নাটক ‘বিষ ছায়া’। সন্ধে ৭টায় ‘নবীন প্রজন্মের থিয়েটার মেধাহীন’ বিষয়ে এক বিতর্ক সভা। ২ সেপ্টেম্বর দুপুর ৩টেয় তপন থিয়েটারে অশোকনগর ব্রাত্যজন-এর ‘মৃত্যু ঈশ্বর যৌনতা’। এবং ৩ সেপ্টেম্বর দুপুর ৩টেয় তপন থিয়েটারে সাঁইথিয়া ওয়েক আপ বিজন ভট্টাচার্যের ‘মরাচাঁদ’ নাটকটি পরিবেশন করবে। বিকেল ৫টায় তপন থিয়েটারের সেমিনার হলে ‘নভেন্দু সেন স্মারক বক্তৃতা’। বলবেন শেখর সমাদ্দার, অরিন্দম ঘোষ। সন্ধে ৬টায় তপন থিয়েটারেই বালুরঘাট নাট্যকর্মীর ‘আজির আজও’ এবং সন্ধে ৭টায় অশোকনগর অভিযাত্রীর ‘লুব্ধক’। প্রকাশিত হবে অভি চক্রবর্তীর থিয়েটার সম্পর্কিত নতুন বই আমার সময় আমার বই (মৌহারি)।

সংকলন

স্বামী অখণ্ডানন্দ (১৮৬৪-১৯৩৭) ছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণের ষোড়শ পার্ষদের অন্যতম। উনিশ শতকের শেষ পাদে ভ্রমণ সূত্রে মুর্শিদাবাদের পথে দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন হয়ে মহুলা-সারগাছি এলাকায় ‘শিবজ্ঞানে জীব সেবা’র সূচনা করে রামকৃষ্ণ পরিমণ্ডলে তিনিই প্রথম শাখা রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেন। প্রচারবিমুখ এই সন্ন্যাসীর সার্ধশতবর্ষপূর্তি স্মরণে রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম সারগাছি এক মূল্যবান সংকলন প্রকাশ করতে চলেছে। সহস্রাধিক পাতার এই সংকলনে থাকছে স্বামী অখণ্ডানন্দের দুটি গ্রন্থের পুনর্মুদ্রণ, দুর্ভিক্ষ বন্যা মহামারীতে তাঁর দুঃসাহসিক সেবার স্বহস্তলিখিত বিবরণ, তাঁর লেখা ৬৫০ চিঠি, আশ্রম বালকদের পরিচয় ও বহু অপ্রকাশিত সটীক তথ্য। ৫ সেপ্টেম্বর গোলপার্কে রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অব কালচারের বিবেকানন্দ হল-এ বিকেল ৫টায় এটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন।

শিক্ষকের শখ

শখ তো মানুষের কতই থাকে! জ্যাংড়া আদর্শ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চন্দনময় ভট্টাচার্যের শখ খবরের কাগজ থেকে গুরুত্বপূর্ণ খবর কেটে রাখা। ১৯৬৫-র ৭ ফেব্রুয়ারি ব্যায়ামবীর বিষ্ণুচরণ (বিষ্টু) ঘোষের পুরনো আখড়ায় একটি অংশে এই স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। রাজ্যস্তরে এই স্কুলটি সাফল্যের পরিচয় রেখেছে। তবে তিনি শুধু খবরের কাটিং করেই থেমে থাকেন না। বরং তা থেকে কিছু শিক্ষণীয় খবর প্রতিদিন তিনি ফটোকপি করে বড় করে বোর্ডে লাগিয়ে দেন তাঁর ছাত্রছাত্রীদের জন্য। এই মুহূর্তে ওঁর সংগ্রহে রয়েছে প্রায় সত্তর হাজার খবরের কর্তিকা। এই বিদ্যালয়ের চারটি বাড়িতে রয়েছে বিশিষ্ট মানুষজনের ১০০টি প্রতিকৃতি এবং অসংখ্য উক্তির সংগ্রহ। সমাজে উল্লেখযোগ্য কাজ কিছু করলে এবং কাগজে সে খবর প্রকাশ পেলে সেই বিশিষ্ট ব্যক্তিদের একটি পত্র পাঠানো হয় বিদ্যালয়ের তরফে। সঙ্গে সেই উদাহরণ তুলে ধরা হয় শিক্ষার্থীদের কাছে। চন্দনময়বাবু এ বার উদ্যোগী স্কুলের ছোটদের সংগ্রাহক হিসেবে উৎসাহী করে তুলতে। ওঁরই আমন্ত্রণে সংগ্রাহক সৌভিক রায় স্কুলের শিক্ষার্থীদের জানিয়ে এলেন সংগ্রাহকের কর্তব্য এবং সংগ্রহ সংরক্ষণ বিষয়েও।

আন্তর্জাতিক

স্বদেশকে তিনি দেখেছিলেন নানা ভাবে। নিজের দেশ এবং এখানকার মানুষজন, এমনকি নানাবিধ অনুষঙ্গের দিকেও গভীর নজর ছিল তাঁর। আর সে কারণেই তিনি আন্তর্জাতিক মর্যাদা পেয়েছিলেন। মকবুল ফিদা হুসেন প্রসঙ্গে বলছিলেন মধুবন্তী ঘোষ। ভারতীয় চিত্রকলার সঙ্গে সুদীর্ঘ সখ্য মধুবন্তী দেবীর। তিনি শিকাগো আর্ট ইনস্টিটিউটের ভারত, দক্ষিণ এশিয়া, হিমালয় এবং ইসলামিক আর্টের অ্যালসডর্ফ অ্যাসোসিয়েট কিউরেটর পদে বৃত। সম্প্রতি ভারতীয় সংগ্রহালয়ে ‘ইন্ডিয়া’জ গ্রেটেস্ট আর্টিস্ট এম এফ হুসেন অ্যান্ড হিজ ইন্ডিয়ান সিভিলাইজেশন সিরিজ’ নিয়ে বললেন তিনি। মৃত্যুর কিছুকাল আগে ঊষা এবং লক্ষ্মী মিত্তলের অনুরোধে হুসেন শুরু করেছিলেন এই চিত্রকলা সিরিজটি। ভারতীয় সভ্যতা শীর্ষকে এই সিরিজে তিনি ৯৬টি প্যানেল আঁকবেন ভেবেছিলেন। মাত্র ২৪ টি প্যানেল শেষ করতে পেরেছিলেন। সিরিজের প্রতিটি ছবি দেখিয়ে তার অনুপুঙ্খ বিবরণ তুলে ধরেন মধুবন্তী ঘোষ। তিনি জানান, ১৪ জুলাই থেকে শিকাগো আর্ট ইনস্টিটিউটে শুরু হয়েছে এই সিরিজটি নিয়ে একটি প্রদর্শনী, চলবে ৪ মার্চ পর্যন্ত। ভারতীয় ভাস্কর্যের ধ্রুপদী শৈলী অনেকাংশেই ছবিতে ব্যবহার করেছেন শিল্পী, অতএব মধুবন্তীর কথায়, ‘এখানে ভাস্কর্যের সঙ্গে শিল্পীর ছবি যেন নিভৃতে কথা বলছে!’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement