প্রতীকী ছবি
রাস্তায় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল বড় ও উঁচু পণ্যবাহী গাড়ি। দাঁড় করানো হচ্ছিল বেপরোয়া ভাবে চলা মোটরবাইকও। তার পরে বাইক থেকে নামিয়ে চালকদের বসিয়ে দেওয়া হচ্ছিল পণ্যবাহী গাড়ির চালকের উঁচু আসনে। সেখানে বসে তাঁরা বুঝতে পারলেন, গাড়ির দু’পাশে রাস্তার বেশ কিছুটা অংশ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে ওই ‘ব্লাইন্ড স্পট’-এ কোনও বাইক এসে পড়লে গাড়িচালকের পক্ষেও তা দেখা সম্ভব হয় না। তার জেরেই ঘটে দুর্ঘটনা। শুক্রবার দুপুরে বন্দর এলাকার হাইড রোডে জৈন কুঞ্জে দাঁড়িয়ে বেপরোয়া বাইকচালকদের এ ভাবেই সচেতন করল কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের দক্ষিণ-পশ্চিম শাখা।
পুলিশ সূত্রের খবর, বন্দর এলাকায় প্রায়ই পণ্যবাহী গাড়ির ধাক্কায় মোটরবাইক দুর্ঘটনা হচ্ছে। বেপরোয়া ভাবে বাঁক নেওয়ার সময়ে মোটরবাইকগুলি পণ্যবাহী ট্রাকের খুব কাছে চলে যাচ্ছে। কিন্তু ট্রাকচালক বাইক দেখতে পাচ্ছেন না। ওই এলাকাটিকে গাড়ির চালকের আসনের নিরিখে ‘ব্লাইন্ড স্পট’ বলছে পুলিশ। এ দিন তাই সেই সমস্যা হাতেকলমে চিনিয়ে দিয়েই বাইকচালকদের সচেতন করল পুলিশ।
হাওড়ার সালকিয়ার বাসিন্দা তথা পেশায় মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ মনোজিৎ ঘোষাল হাইড রোড দিয়ে যাচ্ছিলেন। তাঁকেও এ দিন নিরাপত্তার পাঠ পড়িয়েছে পুলিশ। পরে মনোজিৎ বলেন, ‘‘আমাকে গাড়ির চালকের আসনে বসানো হয়েছিল। দেখলাম, ওই আসন থেকে সামনে ও দু’পাশের কিছুটা অংশ দেখা যায় না। ভবিষ্যতে গাড়ি চালানোর সময়ে এই শিক্ষা
কাজে লাগবে।’’
এক পুলিশকর্তার কথায়, ‘‘ওই বিরাট পণ্যবাহী গাড়ির উঁচু আসনে বাইকচালকদের বসিয়ে বোঝানো হয়েছে, সব সময়ে গাড়িচালকের দোষ থাকে না। বাইকচালকদেরও তাই সচেতন হতে হবে। এ ভাবে শহরের অন্য রাস্তাতেও আরও নানা ধরনের সচেতনতা অভিযান চালানো হবে।’’