Kolkata

রঙে চিহ্নিত বিভিন্ন রুটের ট্রাম আগামী মাসেই পথে

সব ঠিক থাকলে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহেই বিশেষ রঙে চিহ্নিত ট্রাম চোখে পড়বে শহরের রাস্তায়।

Advertisement

ফিরোজ ইসলাম 

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০২১ ০৬:৩২
Share:

প্রতীকী ছবি।

রুট চেনাতে ট্রামে বিশেষ রং ব্যবহার করার কথা আগেই জানিয়েছিল রাজ্য পরিবহণ নিগম। সব ঠিক থাকলে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহেই বিশেষ রঙে চিহ্নিত ট্রাম চোখে পড়বে শহরের রাস্তায়। ইতিমধ্যেই ‘কালার কোড’ বা রঙের সঙ্কেত অনুযায়ী ট্রামের মাথায় রং লাগানোর কাজ শুরু হয়েছে নোনাপুকুর ডিপোয়। বেশ কিছু ট্রামে ওই কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে।

Advertisement

ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এবং লন্ডনের মেট্রো রেলে বিভিন্ন রুটকে রং দিয়ে পৃথক করার চল বহু দিনের। এ দেশে দিল্লি মেট্রোয় বিভিন্ন রুটকে পৃথক রং দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে। অনেকটা সেই ধারণা থেকেই ট্রামের রঙিন
মানচিত্র তৈরিতে উদ্যোগী হয়েছে পরিবহণ নিগম। ট্রামে ওই মানচিত্র লাগানোর পাশাপাশি তা সরকারি পরিবহণ-অ্যাপ এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও তুলে ধরা হবে। নিগমের কর্তাদের আশা, ট্রামের মাথায় রং দেখে যাত্রীরা সহজেই বিভিন্ন রুট চিনে নিতে পারবেন।

নিগমের পরিকল্পনা অনুযায়ী, টালিগঞ্জ থেকে বালিগঞ্জ পর্যন্ত রুটকে ‘পিঙ্ক লাইন’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। টলি ক্লাব, ভবানী সিনেমা, দেশপ্রিয় পার্ক, হিন্দুস্থান পার্ক, গড়িয়াহাট ছুঁয়ে যাবে ওই রুটের ট্রাম। গড়িয়াহাট থেকে এসপ্লানেড রুট চিহ্নিত করা হয়েছে হলুদ বা ‘ইয়েলো লাইন’ হিসেবে। ওই রুটের বিভিন্ন ট্রামের মাথায় হলুদ রং লাগানোর কাজ ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ। কোয়েস্ট মল, পার্ক সার্কাস সাত মাথার মোড়, মল্লিকবাজার, রিপন স্ট্রিট হয়ে চাঁদনি চক ছুঁয়ে যাবে ওই রুটের ট্রাম।
এসপ্লানেড থেকে বইপাড়ার ট্রাম রুটের রং লাল। সেটিকে বলা হচ্ছে ‘রেড লাইন’। পুরনো কলকাতার রাস্তাঘাট ছুঁয়ে বিধাননগরগামী রুটের একাংশকে ‘ভায়োলেট লাইন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। হাওড়া ব্রিজ থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত রুটের নামকরণ হয়েছে ‘গ্রিন লাইন’। ওই রুটের একটি অংশ রেড এবং অন্যটি ভায়োলেট লাইনের মধ্যে পড়ছে।
এসপ্লানেড থেকে খিদিরপুর পর্যন্ত বিস্তৃত রুটকে নীল রং (ব্লু লাইন) দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে। ময়দান ছুঁয়ে চলা ওই রুট এখনও চালু হয়নি। এক সময়ে ওই রুটটি টালিগঞ্জ পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। তবে মাঝেরহাট সেতু বিপর্যয়ের পরে কলকাতা পুলিশের আপত্তিতে টালিগঞ্জের দিকে ট্রাম চলাচল বন্ধ রাখা হয়। সম্পূর্ণ রুটটির কতটা চালু করা যাবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ট্রামপ্রেমীদের অনেকেই চান, দীর্ঘতম ওই রুটে দ্রুত পরিষেবা শুরু হোক। প্রাক্ করোনা পরিস্থিতিতে এসপ্লানেড থেকে শ্যামবাজার এবং খিদিরপুর রুটের ট্রামেই সব চেয়ে বেশি যাত্রী মিলত।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement