ভাসানের চেনা ছবি — ফাইল চিত্র।
রাস্তা জুড়ে চলছে বিসর্জনের শোভাযাত্রা। আবার কখনও থেমেও যাচ্ছে। সেই সময়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে শোভাযাত্রার সঙ্গে থাকা লোকজন দেদার বাজি ফাটাচ্ছেন। আর এ সবের জেরে ওই রাস্তায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে যান চলাচল।
এই ছবি দেখা গিয়েছিল গত বছর কালীপুজোর ভাসানের সময়ে দক্ষিণ শহরতলির এন এস সি বসু রোডে। শুধু ওই রাস্তাই নয়। অভিযোগ, শহরের অনেক রাস্তাতেই কালীপুজোর বিসর্জনের শোভাযাত্রায় বাজি ফাটানোর কারণে সাময়িক ভাবে বন্ধ হয়ে যায় গাড়ি চলাচল। একের পর এক শোভাযাত্রার জেরে ব্যাহত হয় রাস্তার গতি। তার জেরে ভুগতে হয় সাধারণ মানুষকে।
লালবাজার জানিয়েছে, এ বার কালীপুজোর বিসর্জনের শোভাযাত্রার সময়ে ওই পরিস্থিতির যাতে কিছুটা উন্নতি হয়, তার জন্য ভাসানের দিনগুলিতে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী রাস্তায় মোতায়েন করা হবে। শহরের বড় বড় কয়েকটি পুজোকে বেছে নিয়ে তাদের শোভাযাত্রা পাহারা দিয়ে নিয়ে যাবে পুলিশ। যার নেতৃত্বে থাকবেন এক জন করে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার বা এসি পদমর্যাদার অফিসার। তাঁর অধীনে থাকবেন এক জন ইন্সপেক্টর-সহ কম করে পনেরো জনের একটি পুলিশের দল। যাঁরা ওই শোভাযাত্রাকে নির্দিষ্ট স্থানে পৌছে দেবেন।
পুলিশের নজরে থাকা পুজোকমিটিগুলির মধ্যে রয়েছে রসা শক্তি সঙ্ঘ, পূর্ব পুটিয়ারি যুবক সঙ্ঘ, কাশ্যপপাড়ার মতো কালীপুজো।
কলকাতা পুলিশের এক কর্তা বলেন,‘‘ওই বিশেষ দল শোভাযাত্রার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত থাকবে। শোভাযাত্রাকে রাস্তার এক পাশ দিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তাঁদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাতে অন্য পাশ দিয়ে গাড়ি চলাচল করতে পারে।’’ তবে পুলিশের একটি অংশ আবার জানিয়েছে, পুজো কমিটিগুলির সদিচ্ছা না থাকলে তাদের জোর করে রাস্তার এক পাশ দিয়ে নিয়ে যাওয়া কষ্টকর ব্যাপার। আর পুলিশ জোর করলে আইনশৃঙ্খলার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
সূত্রের দাবি, ওই রকম পরিস্থিতি যাতে না হয়, তার জন্য ইতিমধ্যেই ওই পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। তাদের অনুরোধ করা হয়েছে পুলিশের ওই নির্দেশ মেনে চলতে। এ ছাড়া কোন কোন রাস্তা দিয়ে শোভাযাত্রা যাবে পুজো কমিটিগুলিকে আগেই তা স্থানীয় থানাকে জানিয়ে দিতে বলা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, এ বার কালীপুজোর বিসর্জনের শেষ দিন নির্দিষ্ট হয়েছে ৩১ অক্টোবর। ওই দিন বাজে কদমতলা ঘাটে কোনও বিসর্জন করা যাবে না। তবে বাকি ঘাটগুলিতে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া যাবে। একই সঙ্গে লালবাজার জানিয়েছে, নিমতলা ঘাটে সোমবার থেকে দু’জন করে ডেপুটি কমিশনার থাকবেন সুষ্ঠু ভাবে বিসর্জন পরিচালনা করার জন্য। অন্য ঘাটগুলিতে অবশ্য এক জন করেই ডেপুটি কমিশনারের অধীনে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন থাকবে।