— প্রতীকী চিত্র।
নদিয়ার রানাঘাট এবং পুরুলিয়ায় সোনার দোকানে ডাকাতির পর সতর্ক কলকাতা পুলিশও। আগামী সপ্তাহে কলকাতার স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে তারা। পাশাপাশি, একটি নির্দেশিকাও প্রস্তুত করা হয়েছে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের জন্য। সেখানে দোকানের ভিতরে এবং বাইরে সিসি ক্যামেরা বসানো বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি বেশ কিছু নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনকি, হেলমেট বা মাস্ক পরে দোকানে প্রবেশের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
সোনার দোকানগুলিকে সতর্ক করে একগুচ্ছ নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। সিসি ক্যামেরা বসানোর পাশাপাশি তাতে নজর রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সোনার দোকানের যেখানে সিসি ক্যামেরা বসানো রয়েছে, তার পাশের ঘরে বসে নজর রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। তা হলে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে দেখলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানাতে পারবেন সেই ব্যক্তি। সিসি টিভির ফুটেজগুলি ক্লাউড স্টোরেজ বা গোপন জায়গায় রাখতে হবে। যাতে ডিজিটাল ভিডিয়ো রেকর্ডার নষ্ট করা হলেও সেই ফুটেজ পাওয়া যায়। সারা দিন সিসি ক্যামেরা চালু রাখতে হবে।
সিসি ক্যামেরা কোথায় বসাতে হবে, তা-ও বিশদে বলা রয়েছে ওই নির্দেশিকায়। দোকানে এমন জায়গায় (স্ট্র্যাটেজিক লোকেশন) সিসি ক্যামেরা বসাতে হবে, যাতে প্রবেশ-প্রস্থান এবং যেখানে লকার, ক্যাশ কাউন্টার রয়েছে, সেখানে সব সময় নজর রাখা যায়। উৎসব বা অন্য কোনও সময় দোকান এক দিনের বেশি সময় বন্ধ থাকলেও সেখানে নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন রাখতে হবে। বৈধ অস্ত্রের লাইসেন্স রয়েছে, এমন রক্ষীদের মোতায়েন রাখতে হবে দোকানে। সঙ্গে থাকবে অস্ত্র। সব গয়নার দোকানে দ্বিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখতে হবে। গেটের ভিতরে থাকবেন এক জন সশস্ত্র রক্ষী। আর বাইরে থাকবেন আরও এক জন রক্ষী, যিনি নজরে রাখবেন দোকানে যাতে অস্ত্র নিয়ে কেউ প্রবেশ করতে না পারে। বাইরে থেকে ওই রক্ষী সঙ্কেত দিলে তবেই ভিতর থেকে দরজা খুলবেন দ্বিতীয় সশস্ত্র রক্ষী। কোনও কর্মীদের পরিচয় খতিয়ে তবেই নিয়োগ করতে হবে। অনভিপ্রেত ঘটনা হচ্ছে দেখলে ১০০-তে ফোন করতে হবে। মাথায় হেলমেট বা মুখে মাস্ক পরা কাউকে দোকানে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। প্রসঙ্গত, অতিমারির সময় মাস্ক ছাড়া দোকানে প্রবেশ ছিল নিষিদ্ধ। এখন তার উল্টো নির্দেশই দিল কলকাতা পুলিশ। যদিও রাজ্যে এখন আর অতিমারি কালের কোনও বিধিনিষেধই চালু নেই।