—প্রতীকী চিত্র।
রাস্তা পার হতে গিয়ে বেসরকারি বাসের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছিল এক পথচারী বৃদ্ধার। সেই ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসে, দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসের সামনে দিয়ে রাস্তা পেরোচ্ছিলেন ওই বৃদ্ধা। আচমকাই চালক বাসটি ছেড়ে দেন। আর তাতেই ঘটে দুর্ঘটনা। অভিযোগ, বাস বা গাড়িচালক তাঁর আসনে বসলে গাড়ির ঠিক সামনের এবং দু’পাশের কিছু জায়গা গাড়ি চালানোর সময়ে দেখতে পান না। ফলে, ওই ‘ব্লাইন্ড স্পট’-এ আচমকা কোনও মোটরবাইক বা পথচারী এসে পড়লে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে।
চলতি সপ্তাহে বৃদ্ধার মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটেছে প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডে। পুলিশের দাবি, শহরে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনার নেপথ্যে কাজ করেছে এই ‘ব্লাইন্ড স্পট’। এ বার তা নিয়ে চালকদের সতর্ক করার জন্য ট্র্যাফিক গার্ডগুলিকে নির্দেশ দিলেন কলকাতা পুলিশের ট্র্যাফিক বিভাগের কর্তারা। ওই নির্দেশে বলা হয়েছে, ব্লাইন্ড স্পট কী, তা প্রয়োজনে হাতেকলমে দেখাতে হবে বাসের চালক এবং কন্ডাক্টরদের। এক পুলিশকর্তা জানান, ব্লাইন্ড স্পটে কেউ নেই, সেই সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তবেই যাতে চালকেরা গাড়ি ছাড়েন, তা নিয়েও তাঁদের সচেতন করার কথা বলা হয়েছে।
এর পাশাপাশি, পথ-নিরাপত্তায় নাগরিকদের আরও সচেতন করতে স্কুলপড়ুয়াদের উপরে নির্ভর করছেন কলকাতা পুলিশের ট্র্যাফিক বিভাগের কর্তারা। এর জন্য প্রায় প্রতি সপ্তাহে বিভিন্ন ট্র্যাফিক গার্ডের তরফে তাদের এলাকার স্কুলগুলির ছাত্রছাত্রীদের এই সংক্রান্ত পাঠ দেওয়া হচ্ছে। বুধবার ইএম বাইপাস সংলগ্ন আনন্দপুরের ভিআইপি নগর হাইস্কুলের ছাত্রছাত্রীদের পথ নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতন করল তিলজলা ট্র্যাফিক গার্ড। উপস্থিত ছিলেন ট্র্যাফিক বিভাগের উপ-নগরপাল (দক্ষিণ) অমিতকুমার সাউ এবং তিলজলা ট্র্যাফিক গার্ডের ওসি সুরজিৎ পাল।
সূত্রের খবর, এ দিনের কর্মসূচিতে পুলিশ আধিকারিকেরা বিশেষ ভাবে জোর দেন পড়ুয়াদের হেলমেট পরার উপরে। বিশেষত, মোটরবাইক বা স্কুটারে চেপে আসার সময়ে যাতে প্রত্যেক পড়ুয়া হেলমেট পরে, তা তাদের বলা হয়। সেই সঙ্গে কেন ট্র্যাফিক সিগন্যাল মেনে এবং জ়েব্রা ক্রসিং দিয়ে রাস্তা পারাপার করা জরুরি, সেটাও বোঝানো হয়। গাড়িতে যাতায়াতের সময়ে সিট বেল্ট বাঁধার উপরেও জোর দেন পুলিশকর্তারা।