অনিয়ম: মহেশতলা এলাকায় ফাটানো হচ্ছে নিষিদ্ধ চকলেট বোমা। ছবি: অরুণ লোধ
নিয়ম ভেঙে শব্দবাজি ফাটানোর জন্য শহর ও শহর সংলগ্ন এলাকায় একাধিক আবাসনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিল রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। সেই এফআইআরের ভিত্তিতে এ বার মহেশতলার এক আবাসনের প্রতিনিধিদের ডেকে পাঠাল পুলিশ। তিন দিনের মধ্যে ওই আবাসনের প্রতিনিধিদের মহেশতলা থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। নির্দেশ অমান্য করলে তাঁদের গ্রেফতার করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে পুলিশ।
শব্দবিধি ভাঙলে কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর করার জন্য এই প্রথম আধিকারিকদের ক্ষমতা দিয়েছিল পর্ষদ। সেইমতো এ বারের কালীপুজো ও দীপাবলি উপলক্ষে পর্ষদের তরফে ১২টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। তার মধ্যে মহেশতলার ওই আবাসনের প্রতিনিধিদেরই প্রথম সমন পাঠানো হয়েছে বলে পর্ষদ সূত্রের খবর। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের এক কর্তার কথায়, ‘‘সাম্প্রতিক কালে এরকম ঘটনা ঘটেনি। বহু আগে পর্ষদের তরফে এফআইআর দায়ের করা হত। তার পরে ফের এ বছর তা করা হয়েছে।’’
নিয়ম ভেঙে শহর ও শহরতলির বহু আবাসনেই দেদার শব্দবাজি ফাটানো হয়ে থাকে। সেই কারণে এ বার কালীপুজোর আগে শহর ও সংলগ্ন এলাকার আবাসনের প্রতিনিধিদের ডেকে সতর্ক করা হয়েছিল। নিয়ম ভেঙে শব্দবাজি ফাটালে সংশ্লিষ্ট আবাসনের সেক্রেটারি বা প্রেসিডেন্টকে দায়ী করা হবে বলাও হয়েছিল। কিন্তু এতো কিছুর পরেও লেক টাউন, বাঙুর, মহেশতলা-সহ একাধিক জায়গার আবাসনগুলিতে দেদার ফেটেছে শব্দবাজি। তাদের বিরুদ্ধে আইপিসি ১৮৮ ধারা ও ‘এনভায়রনমেন্টাল প্রোটেকশন অ্যাক্ট’-এর ১৫ ধারায় অভিযোগও দায়ের করেছে পর্ষদ।
তবে মহেশতলা আবাসনের বিরুদ্ধে পুলিশের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে পর্ষদের কর্তারা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, এখনও বহু জায়গাতেই নিয়মভঙ্গকারীদের পুলিশ ডেকে পাঠায়নি। পর্ষদের এক কর্তার কথায়, ‘‘শাস্তি না হলে শব্দবাজির উপদ্রব যে ঠেকানো যাবে না, তা পরিষ্কার। সেই মতোই আমাদের তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এ বার পুলিশের দায়িত্ব।’’