মিমি চক্রবর্তী। ফাইল চিত্র।
ঘটনার দু’সপ্তাহের মধ্যে সাংসদ-অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীর হেনস্থার ঘটনায় চার্জশিট জমা দিল গড়িয়াহাট থানার পুলিশ। সোমবার আলিপুর আদালতে চার্জশিট পেশ করেন তদন্তকারী আধিকারিক প্রেমজিৎ বিশ্বাস। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ডি (কোনও মহিলাকে অনুসরণ করা বা অমতে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা), ৩৫৪এ (কোনও মহিলার সম্মানহানি করা) এবং ৫০৯ (কটু মন্তব্য) ধারায় হেনস্থাকারী ট্যাক্সিচালক দেবা যাদবকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে মিমি চক্রবর্তী জিম থেকে বাড়ি ফেরার সময় ঘটনাটি ঘটে। ওই দিন বেলা দে়ড়টা নাগাদ বালিগঞ্জ এবং গড়িয়াহাটের মাঝামাঝি রাস্তায় ট্রাফিক সিগন্যালে মিমির গাড়ি থামে। অভিযোগ, ওই সময়ে একটি হলুদ ট্যাক্সি তাঁর গাড়ি টপকে দাঁড়ায়। মিমি ওই সময়ে গাড়ির কাচ নামিয়েছিলেন। সেই সময় ট্যাক্সিচালক তাঁর উদ্দেশে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি-সহ কটূক্তি করেন বলে অভিযোগ। সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি থেকে নেমে পড়েন মিমি। ট্যাক্সির পথ আটকে চালককে টেনে নামান। এর পরেই পুলিশে খবর দেন। কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্ট ঘটনাস্থলে আসেন এবং তাঁর সাহায্যে গড়িয়াহাট থানার পুলিশের হাতে অভিযুক্তকে তুলে দেওয়া হয়।
ঘটনার পর পরই আদালতের নির্দেশে মিমি অভিযুক্তকে শনাক্তকরণ প্যারেডে গিয়ে চিহ্নিত করেন এবং গত শুক্রবার আদালতে বিচারকের সামনে গোপন জবানবন্দি দেন। তার পরেই চার্জশিট তৈরি করে পুলিশ। কলকাতা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘সাংসদ তাঁর কাজের চাপের মধ্যেও গোপন জবানবন্দি থেকে শুরু করে শনাক্তকরণ প্যারেডে গিয়ে সাহায্য করেছেন। তার ফলে দ্রুত এই মামলায় চার্জশিট দেওয়া সম্ভব হল।”
আরও পড়ুন: ‘সেনার জন্য’ আনা ফরাসি ড্রোন ঘিরে রহস্য কলকাতা বিমানবন্দরে
আরও পড়ুন: কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলিতে নতুন কৃষি আইন উপেক্ষা করার ডাক সনিয়ার
আদালত ওই চার্জশিট গ্রহণ করেছে এবং দ্রুত এই মামলার চার্জ গঠন প্রক্রিয়া শুরু হবে। সরকারি আইনজীবী এই মামলায় অভিযুক্তের জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে জেল হেফাজতে রেখে বিচার প্রক্রিয়া চালানোর আবেদন জানিয়েছিলেন। তবে বিচারক সেই আবেদন মঞ্জুর করেননি এবং অভিযুক্তকে জামিন দেন।