গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।
একবালপুরে নাবালিকা গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযোগ নথিভুক্ত হওয়ার সাত দিনের মধ্যে শুক্রবার আদালতে চার্জশিট জমা দিল কলকাতা পুলিশ। গত শুক্রবার ৭ ফেব্রুয়ারি সকালে পর্ণশ্রী থানা এলাকার বাসিন্দা বছর বারোর এক কিশোরী থানায় গিয়ে অভিযোগ জানায় যে, তাঁকে মদ খাইয়ে বেঁহুশ করে গণধর্ষণ করা হয়েছে।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে ঘটনাটি ঘটেছে একবালপুর থানা এলাকার ভূকৈলাস রোডের একটি বাড়িতে। শুক্রবার অভিযোগ পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পর্ণশ্রী, একবালপুর এবং দক্ষিণ বন্দর থানার যৌথ বাহিনী মূল চার অভিযুক্ত অমরজিৎ চৌপাল, মনোজ শর্মা, বিকাশ মল্লিক এবং ঋত্ত্বিক রামকে গ্রেফতার করে। তাদের জেরা করে পরের দিন গ্রেফতার করা হয় বাড়ির মালিক সঞ্জয় মৃধাকেও।
ওই কিশোরী প্রথমে অভিযোগ করে পর্ণশ্রী থানায়। কিন্তু ঘটনাস্থল একবালপুর থানা এলাকার হওয়ায় পুলিশ প্রথমে পর্ণশ্রী থানায় একটি ‘জিরো’ এফআইআর দায়ের করে। পরে ওই মামলাটি একাবালপুর থানায় স্থানান্তরিত করা হয়। একবালপুর থানার তদন্তকারীরা গত কয়েক দিনে নির্যাতিতার শারীরিক পরীক্ষা থেকে শুরু করে অভিযুক্তদেরও মেডিক্যাল টেস্ট করিয়েছেন। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থল পরীক্ষা করে নমুনা সংগ্রহ করেছেন। ফরেন্সিক পরীক্ষা করা হয়েছে অভিযুক্তদের এবং নির্যাতিতার পোশাকের। ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে নির্যাতিতা গোপন জবানবন্দিও দিয়েছেন। তদন্তকারীরা গোটা তদন্তে বেশ কিছু সিসি ক্যামেরার ফুটেজও সংগ্রহ করেছেন যা ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রথম যাত্রীই ডিজিটাল, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর সূচনাতেই ইতিহাস
আরও পড়ুন: আমার আনা প্রকল্প, উদ্বোধনে এক বার জানালও না! মেট্রো নিয়ে উষ্মা মমতার
তদন্তকারীরা আলিপুর আদালতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪২ (বলপূর্বক আটকে রাখা) ৩৬৬, ৩৬৬এ (নাবালিকাকে ধর্ষণ করতে অপহরণ), ৫০৬ (হুমকি), ৩৭৬ডি (গণধর্ষণ), ৩৪ (যড়যন্ত্র) এবং পকসো আইনের ৬ নম্বর ধারায় ধৃত পাঁচ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।