প্রতীকী চিত্র।
সপ্তাহ দুয়েক আগে বিহারের সমস্তিপুর থেকে পাচার হয়ে আসা ২১ জন নাবালককে উদ্ধার করেছিল ময়দান থানার পুলিশ। গ্রেফতার হয়েছিল তাদের সঙ্গে থাকা তিন যুবক, যারা ওই নাবালকদের সমস্তিপুর থেকে কলকাতায় নিয়ে আসে। কিন্তু চতুর্থ জনকে পুলিশ ধরতে পারেনি। এমনকি, সমস্তিপুরে কলকাতা পুলিশের একটি দল গিয়েও খালি হাতে ফিরে আসে বলে সূত্রের খবর। ফলে ওই নাবালকদের কাজের জন্য ঠিক কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তা এখনও জানা যায়নি।
পুলিশ সূত্রের খবর, গত ৭ সেপ্টেম্বর ওই নাবালকদের উদ্ধার ও তিন যুবককে গ্রেফতার করার পরে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছিল, হাওড়ার গোলাবাড়ি থানা এলাকার পিলখানায় একটি চুড়ির কারখানায় কাজ করানোর জন্য মোট ৩১ জনকে বাস ভাড়া করে নিয়ে আসা হয়েছিল, যাদের মধ্যে ২১ জনেরই বয়স ছিল ১২ থেকে ১৭-র মধ্যে। কিন্তু পুলিশ এখনও পর্যন্ত পিলখানার ওই কারখানার হদিস করে উঠতে পারেনি।
পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, যে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা কারখানার রাস্তা চেনে বলে জেরায় দাবি করেছে। কিন্তু কোনও ঠিকানা বলতে পারেনি। চাঁদ নামের অধরা চতুর্থ জনই পাচারকারীদের পাণ্ডা বলে ওই তিন জনকে জেরা করে জেনেছে পুলিশ। কিন্তু চাঁদ পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
তবে পুলিশের সঙ্গে এই উদ্ধারের কাজে থাকা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সূত্রের খবর, উদ্ধার হওয়া ২১ জন নাবালকের বাড়ির খোঁজখবর করা হচ্ছে। খোঁজ মিললেই তাদের বাড়ি পাঠানো হবে। বর্তমানে তারা কলকাতা শিশু কল্যাণ সমিতির নির্দেশে সরকারি হোমে রয়েছে।