JMB

এসটিএফের জালে সালাউদ্দিন ঘনিষ্ঠ জেএমবি নেতা

খাগড়াগড়ে যখন হাতকাটা নাসিরুল্লা থেকে শুরু করে কওসর-এর মতো নেতারা যখন সংগঠন তৈরি করছিল, সেই সময়ই জেএমবি-র সংগঠনে যোগ দেয় রেজাউল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০২০ ১৪:২৯
Share:

ধৃত রেজাউল। —নিজস্ব চিত্র।

বড় করিমের পর ফের সালাউদ্দিন সালেহিনের ঘনিষ্ঠ জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) এক সদস্যকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, শেখ রেজাউল ওরফে কিরণ নামে ওই সক্রিয় জেএমবি সদস্যকে ডানকুনি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Advertisement

গোয়েন্দাদের দাবি, মূলত বীরভূমের বাসিন্দা সেখ রেজাউল দীর্ঘদিন ধরে জেএমবি-র সদস্য। খাগড়াগড়ে যখন হাতকাটা নাসিরুল্লা থেকে শুরু করে কওসর-এর মতো নেতারা যখন সংগঠন তৈরি করছিল, সেই সময়ই জেএমবি-র সংগঠনে যোগ দেয় রেজাউল। গোয়েন্দাদের একাংশের দাবি, শিমুলিয়া মাদ্রাসাতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত রেজাউল গা ঢাকা দেয় খাগড়াগড় কাণ্ডে ধরপাকড় শুরু হওয়ার পর। বেশ কিছু দিন ভিন রাজ্যে চুপচাপ বসে থাকার পর ফের সে কওসরের সংস্পর্শে আসে। কওসর তখন দক্ষিণ ভারতে ঘাঁটি তৈরি করে ধীরে ধীরে ভারতে সংগঠন পুনর্গঠনের কাজ করছে। সূত্রের খবর, এই সময়েই জেএমবি-র অন্যতম শীর্ষ নেতা সালাউদ্দিন সালেহিন বা বড়ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি হয় রেজাউলের। এসটিএফ-এর গোয়েন্দাদের দাবি, এই মুহূর্তে জেএমবি-র ভারতের সংগঠনের জন্য অর্থ জোগাড়ের দায়িত্ব যাদের ছিল, তাদের মধ্যে অন্যতম এই রেজাউল।

পরবর্তীকালে আদর্শগত কারণে কওসর এবং বড়ভাই সাংগঠনিক ভাবে আলাদা হয়ে যায়। রেজাউল সালাউদ্দিনের গোষ্ঠীতে যোগ দেয়। এসটিএফের তদন্তকারীদের দাবি, সালাউদ্দিনকে গ্রেফতার করা সম্ভব হলে জেএমবি-র প্রায় সব শীর্ষ নেতাকে ধরার কাজ সম্পূ্র্ণ হবে। তা হলে এ দেশে জেএমবি-র সংগঠন পুরো ভেঙে দেওয়া সম্ভব হবে।

Advertisement

আরও পড়ুন: শহরে যাত্রী ভোগান্তি, বাসে বেশি ভাড়ার লাগাম টানতে নজরদারি

আরও পড়ুন: লকডাউন শিথিল পর্বের দ্বিতীয় দফা শুরু, বেশি ভয় নিয়েই আজ বেশি কাজে​

কিন্তু গত দেড় বছর ধরে বার বার পুলিশের চোখে ধূলো দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে সালাউ্দ্দিন। তাই বড় ভাই সালাউদ্দিন ঘনিষ্ঠদের একে একে পাকড়াও করে সালাউদ্দিন পর্যন্ত পৌঁছনোর চেষ্টায় পুলিশ। মুর্শিদাবাদের ধূলিয়ান মডিউলের মাথা আব্দুল করিমের গ্রেফতারির পর রেজাউলের গ্রেফতার সেই কারণেই গুরুত্বপূর্ণ। গোয়েন্দাদের দাবি, রেজাউল সাম্প্রতিক সময়ে সালাউদ্দিনের বার্তা এবং খবরাখবর সালাউ্দ্দিন ঘনিষ্ঠদের কাছে পৌঁছে দিয়েছে। সালাউদ্দিনের সঙ্গে দলের সদস্যদের বৈঠকের আয়োজনও করে দিয়েছে। তাই রেজাউলের মাধ্যমে সালাউদ্দিন এবং জেএমবি-র আরও এক নেতা মিন্টু খানের হদিশ পেতে চাইছে এসটিএফ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement