Kolkata Police

নির্বাচনের দায়িত্ব বোঝাতে কলকাতা পুলিশে প্রশিক্ষণ শুরু

প্রথম দিন, অর্থাৎ মঙ্গলবার ওই প্রশিক্ষণে পুলিশ অফিসারদের বোঝানো হয়েছে কী ভাবে নির্বাচনের সময়ে প্রার্থী এবং রাজনৈতিক দলগুলির খরচে নজরদারি চালাতে হবে।

Advertisement

শিবাজী দে সরকার

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৫:৩২
Share:

প্রতীকী ছবি।

আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের জন্য প্রশিক্ষণ শুরু হয়ে গেল কলকাতা পুলিশে। এক দিকে নির্বাচনী খরচের উপরে নজরদারি এবং অন্য দিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাঠ দেওয়া হচ্ছে লালবাজারে। নির্বাচনের বিভিন্ন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত অফিসারদের মঙ্গলবার প্রশিক্ষণ দিয়েছেন কলকাতা পুলিশের প্রতিনিধিরা। আজ, বুধবারও সেই প্রশিক্ষণ চলবে। লালবাজারের কনফারেন্স রুমে ওই দু’দিন তিন দফায় বিভিন্ন থানা, গোয়েন্দা বিভাগ ও এসটিএফ অফিসারেরা প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।

Advertisement

সূত্রের খবর, ডিস্ট্রিক্ট ইলেকশন অফিসার (ডিইও) কলকাতা দক্ষিণ, কলকাতা উত্তর এবং কলকাতা দক্ষিণ ২৪ পরগনার অধীনে কলকাতা পুলিশের যে সব ডিভিশন রয়েছে, তার এক জন করে প্রতিনিধি ছিলেন মঙ্গলবারের প্রশিক্ষণে। এ ছাড়াও থানাগুলির এক জন করে প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

প্রথম দিন, অর্থাৎ মঙ্গলবার ওই প্রশিক্ষণে পুলিশ অফিসারদের বোঝানো হয়েছে কী ভাবে নির্বাচনের সময়ে প্রার্থী এবং রাজনৈতিক দলগুলির খরচে নজরদারি চালাতে হবে। ভোটের দিন ঘোষণা হলেই ওই খরচে নজরদারি চালাতে এক জন পর্যবেক্ষক এ রাজ্যে উপস্থিত হবেন। তাঁর সঙ্গে কী ভাবে যোগাযোগ রক্ষা করা হবে, তা-ও শেখানো হয়েছে ওই প্রশিক্ষণে। সেই সঙ্গে কী কী বিষয়ে প্রার্থী কত খরচ করতে পারবেন এবং তা কী ভাবে নির্ধারিত হবে, সে সবও প্রশিক্ষণে জানানো হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় বাহিনী শহরে এলে তাদের নিয়ে এলাকায় এলাকায় কী ভাবে কাজ হবে বা কার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলবে থানাগুলি, সেই পাঠ দেওয়া হতে পারে বুধবার। পাশাপাশি, প্রতিদিনের আইনশৃঙ্খলা রিপোর্ট, আদর্শ আচরণবিধি ও ভোটকেন্দ্রিক কোনও অভিযোগ এলে কী ভাবে তা সামাল দিতে হবে, তা নিয়ে বিভিন্ন থানার অফিসারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে আজ। প্রতি থানার এক জন করে অফিসার, যাঁরা মূলত
নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয় দেখভাল করেন, তাঁরাই ওই প্রশিক্ষণ নেবেন।

এক পুলিশকর্তা জানাচ্ছেন, ভোটের আগে নির্বাচন কমিশন বেশ কিছু বিধি চালু করে থাকে। কমিশনের ওই বিধি মানতে পুলিশ অফিসারদের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তা বোঝানো হচ্ছে। তা ছাড়া, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের বিরুদ্ধে যাতে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ না ওঠে, সে জন্য কী কী পদক্ষেপ করা
যেতে পারে, সে সব জানাতে এই প্রশিক্ষণ।

যে কোনও দিন নির্বাচন কমিশন ভোটের তারিখ ঘোষণা করতে পারে। তখন দ্রুত আদর্শ আচরণবিধি চালু হয়ে যাবে। সেই সময়ে নির্বাচন কমিশনের নিয়মাবলী মেনে চলতে পুলিশ অফিসারদের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্যই দু’দিনের এই প্রশিক্ষণ হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement