কলকাতা পুলিশের এই দলটিই ৪০ মিনিটের মধ্যে চোর ধরেছে। ইনসেটে ধৃত শেখ রাকেশ। —নিজস্ব চিত্র।
পালানোর সময় ফেলে যাওয়া এক পাটি চপ্পলের সূত্র ধরে ৪০ মিনিটের মধ্যে বমাল চোর ধরল পুলিশ। মঙ্গলবার রাত আড়াইটেয় একটি চুরির অভিযোগ পায় পুলিশ। তার ৪০ মিনিট পরে অর্থাৎ ভোর তিনটে ১০ মিনিটে চোরকে হাতেনাতে পাকড়াও করল পুলিশ। ধৃতের নাম শেখ রাকেশ। বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার দলারহাটে।
নিউ আলিপুরের সাহাপুরের শীতলাতলা রোডের বাসিন্দা অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ির ঘটনা। অরিন্দমবাবু পুলিশকে জানিয়েছেন, ওই রাতে একটা আওয়াজে তাঁর ঘুম ভেঙে যায়। ঘুম থেকে উঠে দেখেন অন্ধকারের মধ্যে কেউ একজন তাঁর দোতলার বেডরুমে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বাড়িতে চোর ঢুকেছে বুঝতে পেরে তিনি ডাকাডাকি শুরু করলে চোর চম্পট দেয়। কিন্তু তাড়াহুড়োতে তার একপাটি চপ্পল পা থেকে খুলে যায়।
অরিন্দমবাবু ১০০ ডায়ালে ফোন করে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে ঘরে প্রাথমিক তদন্তে বুঝতে পারে, পাইপ বেয়ে উপরে উঠে দোতলার জানলার কাচ ভেঙে চোর ঘরে ঢুকেছিল। অরিন্দমবাবু অভিযোগ করেন, দুটো দামি মোবাইল ফোন এবং কয়েক হাজার নগদ টাকা খোওয়া গিয়েছে। পাঁচিলের কাছ থেকে একপাটি চপ্পল উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সরকারের পক্ষে ভোট, দুই বিধায়ককে ভাঙিয়ে বিজেপিকে পাল্টা ধাক্কা কমল নাথের
প্রায় সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে তল্লাশি শুরু করে। নিউ আলিপুর এবং মাঝেরহাট স্টেশনেও পুলিশের একটি দল পৌঁছয়।
পুলিশ জানিয়েছে, ভোরে নিউ আলিপুর স্টেশনে এক যুবককে এক পায়ে চপ্পল পরে থাকতে দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। তল্লাশি চালালে তার কাছ থেকে চুরি যাওয়া দুটো ফোন এবং নগদ টাকা উদ্ধার হয়।
আরও পড়ুন: চোখ কেমন আছে? অভিষেককে প্রশ্ন মোদীর, সৌজন্যে চমকে গেলেন তৃণমূল সাংসদরা
পুলিশের দাবি, ওই যুবক প্রথমে নিজের সম্বন্ধে নানা ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছিল। বুধবার প্রায় সারা দিন তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ জানতে পারে, তার বাড়ি দরালহাটে। তার বাড়ি থেকে ১৩টা মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে পুলিশ।