Kolakta Police

নিজের গুলিতে জখম পুলিশকর্মী ভর্তি হাসপাতালে

কিন্তু কী ভাবে ওই গুলি চলল, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০২০ ০৩:৩৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হল এক পুলিশকর্মীকে। ওই পুলিশকর্মী নিজের রিভলভারের গুলিতেই জখম হয়েছেন বলে খবর। কিন্তু কী ভাবে ওই গুলি চলল, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালের ওই ঘটনা নিয়ে অবশ্য লালবাজারের কোনও কর্তাই মুখ খুলতে চাননি।

Advertisement

পুলিশের একটি সূত্রের খবর, এ দিন সকাল ৮টা নাগাদ হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের কাছে একটি কিয়স্কের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক কনস্টেবল রিভলভারে গুলি ভরছিলেন। এমন সময়ে আচমকা গুলি বেরিয়ে গেলে তাতে জখম হন তিনি। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বলে খবর। পুলিশের কোনও কর্তা এই ঘটনার কথা স্বীকার না করলেও এসএসকেএম হাসপাতাল সূত্রের খবর, সেখানে ট্রমা কেয়ার সেন্টারে এ দিন সকালে সাড়ে ৮টা নাগাদ পায়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক পুলিশকর্মীকে ভর্তি করানো হয়। পরে তাঁকে সার্জারি বিভাগে স্থানান্তরিত করা হয়। জখম ওই পুলিশকর্মীর নাম বিপ্লব মণ্ডল। হাসপাতাল সূত্রের খবর, তাঁর অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল।

এই পুলিশকর্মীই হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের ওই কিয়স্কে ডিউটি করছিলেন কি না, তা অবশ্য এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ জানেন না বলে দাবি করেছেন। এসএসকেএম হাসপাতালের ভর্তির খাতায় ওই পুলিশকর্মীর বাড়ির ঠিকানা হিসেবে পশ্চিমাঞ্চলের একটি জেলার নাম লেখা হয়েছে। আবার পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, হাসপাতালের নথিতে আলিপুর থানা এলাকার ঘটনা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

Advertisement

যদিও আলিপুর থানার তরফে এই ঘটনার বিষয়টি স্বীকার করা হয়নি। তবে অসাবধানতার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে বলে অনুমান পুলিশকর্তাদের।

এই ঘটনা নিয়ে কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ইন্টেলিজেন্স) দিলীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এরকম কোনও খবর আমার জানা নেই।’’ বৃহস্পতিবার দুপুরে কালীঘাট থানার সামনে দাঁড়িয়ে কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (দক্ষিণ) মিরাজ খালিদও এই ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন।

সূত্রের খবর, ওই পুলিশকর্মীর রিভলভারে গুলি লোডিং এবং আনলোডিং-এর সময়ে তা ছিটকে যায় বলে প্রাথমিক অনুমান। অসতর্ক থাকার কারণেই গুলি চলেছে বলে মনে করা হলেও আগ্নেয়াস্ত্রে গুলি ভরা এবং বার করার প্রশিক্ষণ কর্মীদের ঠিক ভাবে দেওয়া হয় কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

সূত্রের দাবি, গত বছরে রাজ্য পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের বন্দুকের নিশানা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ ঠিক সময়ে হয়নি। ফলে আগ্নেয়াস্ত্রে গুলি ভরার প্রশিক্ষণও ঠিক মতো হয়েছে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন রাজ্য পুলিশের কর্তারা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement