ফাইল চিত্র।
আগামী অক্টোবরে, দুর্গাপুজোর সময়েই করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞ মহল। তাই গত বছরের দুর্গাপুজোর মতো বিধিনিষেধ এ বারেও থাকবে, না কি অন্য বছরের মতো স্বাভাবিক ভাবে পুজো করা যাবে, তা এখনও পরিষ্কার নয়। তাই পুজোর প্রায় এক মাস আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। গত বারের মতো বিধিনিষেধ না থাকলে কী ভাবে ভিড় সামলানো হবে, সেই বিষয়টি বিভিন্ন ট্র্যাফিক গার্ডের কাছে বিস্তারিত জানতে চেয়েছে লালবাজার। পুলিশের একাংশ জানিয়েছে, গত সপ্তাহে কলকাতা পুলিশের ট্র্যাফিক গার্ডগুলি ওই রিপোর্ট লালবাজারের কাছে জমা দিয়েছে।
ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রের খবর, করোনার কারণে গত বছর পুজোমণ্ডপে দর্শনার্থীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কলকাতা হাই কোর্ট। যার ফলে গত বছরে পুজোর দিনে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন ছিল। এ বার কী হবে, তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে অন্যান্য বছরের মতোই পুজো হলে সে ক্ষেত্রে পরিস্থিতি কী হতে পারে তা আগাম আঁচ করে ট্র্যাফিক পুলিশের কাছে বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছিল লালবাজার।
পুজোর সময়ে শহরের পার্কিং জ়োনগুলি কী ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে, সে ব্যাপারে ট্র্যাফিক গার্ডগুলির কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছিল। কোন কোন রাস্তায় পুজোর সময়ে গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখা যায় বা যায় না, কোথায় দর্শনার্থীদের গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকে— সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট পাঠিয়েছে ট্র্যাফিক গার্ডগুলি। একই সঙ্গে ভিড়ের জন্য কোন কোন রাস্তা বন্ধ থাকে, গত বছরের থেকে শিক্ষা নিয়ে কোন কোন পথে বিধিনিষেধ আরোপ করতে হবে— তা-ও উল্লেখ করা হয়েছে ওই রিপোর্টে। রাস্তার দিক নির্দেশক বোর্ডগুলিতে পুজোর সময়ে কোনও কিছু বদল করার প্রয়োজন রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখেছেন বিভিন্ন ট্র্যাফিক গার্ডের আধিকারিকেরা। পুলিশ সূত্রের দাবি, ট্র্যাফিক পুলিশের ওই রিপোর্ট দেখে পুজোর ভিড় নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে নতুন কিছু করার প্রয়োজন রয়েছে মনে হলে তার পরিকল্পনাও করা হবে।
ট্র্যাফিক পুলিশের এক আধিকারিক জানান, ‘নো এন্ট্রি, নো পার্কিং’-এর সঙ্গেই কোন কোন রাস্তায় ভিড় সামলানোর জন্য ব্যারিকেড দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে, তা-ও জানানো হয়েছে। করোনা-বিধি মাথায় রেখেই কী ভাবে পুজোর ভিড় সামলানো সম্ভব, তা বিস্তারিত ভাবে বলা হয়েছে ওই রিপোর্টে। এ ছাড়া পুজোর আগে শহরের বিভিন্ন রাস্তা কী অবস্থায় রয়েছে বা কোনও রাস্তা মেরামতির প্রয়োজন রয়েছে কি না, তাও লালবাজারকে ওই রিপোর্টে জানানো হয়েছে।
ট্র্যাফিক পুলিশের এক কর্তার কথায়, ‘‘গত বার পুজোর ক’দিন পণ্যবাহী গাড়ি চলাচলের উপরে নিষেধাজ্ঞা ছিল। কিন্তু ভিড় কম থাকায় তা পরে তুলে নেওয়া হয়েছিল। এ বার কী হবে তা বোঝা না গেলেও কোন কোন রাস্তায় পুজোর দিনে পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখলে যানজট হবে না, তা-ও ওই রিপোর্টে জানানো হয়েছে।’’