Kolkata Police

শব্দদৈত্যকে রুখতে সচেতনাই অস্ত্র, মনে করছে পুলিশ

এ রাজ্যে ৯০ ডেসিবেল-এর উপর শব্দবাজি ফাটানোয় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু  প্রতি বছরই কালীপুজো এবং দেওয়ালির দিন দেদার শব্দবাজি ফাটতে দেখা যার। তার জেরে এক দিকে যেমন শব্দ দূষণ হয়, তেমনই বাজির ধোঁয়ায় বাতাসেও দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০১৯ ২০:৪৮
Share:

শব্দবাজির প্রকোপ কমাতে নাগরিক সচেতনতাতে জোর কলকাতা পুলিশের। নিজস্ব ছবি

শব্দদৈত্যকে জব্দ করতে সচেতনতার উপরেই জোর দিতে চাইছে কলকাতা পুলিশ। নাগরিকরা সচেতন হলে তবেই শব্দবাজির তাণ্ডব আটকানো যাবে বলে মনে করছেন পুলিশ কর্তারা। সে কারণে এ বছর নাগরিকদের সই সংগ্রহের মাধ্যমে সচেতনতা প্রচার শুরু করেছে কলকাতা পুলিশ। এর পাশাপাশি কালীপুজো এবং দেওয়ালির দিন নিরাপত্তার কারণে অতিরিক্ত পাঁচ হাজার পুলিশ শহরের বিভিন্ন প্রান্তে নজরদারি চালাবে। নিষিদ্ধ শব্দবাজি ফাটাতে দেখলেই আইন অনুযায়ী গ্রেফতারও করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশকর্তারা।

Advertisement

এ রাজ্যে ৯০ ডেসিবেল-এর উপর শব্দবাজি ফাটানোয় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু প্রতি বছরই কালীপুজো এবং দেওয়ালির দিন দেদার শব্দবাজি ফাটতে দেখা যার। তার জেরে এক দিকে যেমন শব্দ দূষণ হয়, তেমনই বাজির ধোঁয়ায় বাতাসেও দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।

বেহালা থেকে তপসিয়া, গড়িয়া থেকে বেলেঘাটা— শহরের বিভিন্ন প্রান্তে কালীপুজোর দিন থেকেই শুরু হয়ে যায় শব্দের তাণ্ডব। এই তালিকায় হাসপাতাল চত্বরও বাদ যায় না। কলকাতার বিভিন্ন জায়গা চিহ্নিত করে ইতিমধ্যে শব্দবাজির বিরুদ্ধে প্রচার শুরু করেছে পুলিশ। কেন শব্দবাজি ক্ষতিকর, তা বোঝানো হচ্ছে। পাশাপাশি নাগরিকদের সচেতন করে সই সংগ্রহের কাজও চলছে।

Advertisement

আরও পড়ুন:কলকাতায় অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, নোবেলজয়ীকে শুভেচ্ছা জানাল শহর
আরও পড়ুন:অভিজিতের কৃতিত্বে গর্বিত ভারত, নোবেলজয়ীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর বললেন মোদী

ডেপুটি কমিশনার (এসইডি) অজয়প্রসাদ জানিয়েছেন, “রবীন্দ্র সরaবরের সিআরসি এবং সাফারি গেটে বোর্ড লাগানো হয়েছে। সেখানে নাগরিকরা নিজেদের মতো করে শব্দবাজির বিষয়ে তাঁদের মতামত দিচ্ছেন। প্রবীণ নাগরিকদের মাধ্যমে এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সচেতনতার উপরে জোর দেওয়া হচ্ছে।”

নাগরিক সচেতনতা বাড়াতে চলছে লাগাতার প্রচার।

লালবাজার সূত্রে খবর, বহুতল আবাসনের বাসিন্দাদের নিয়েও বৈঠক করা হবে। কালীপুজোর ভাসানে ডিজে বাজানোতেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কালীপুজোর বৈঠকে পুজো কর্তাদের এ বিষয়ে জানিয়েও দেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত পাঁচ হাজার কেজির ওপর নিষিদ্ধ বাজি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। পুলিশের দাবি উদ্ধার হওয়া বাজির পরিমাণ গত বছরের তুলনায়ও বেশি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement