প্রতীকী ছবি।
মাছের ভেড়ি থেকে এক তরুণীর মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল শাসনে। মৃতার কাটা মাথাটি এখনও উদ্ধার হয়নি। তবে দেহাবশেষ ও ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ব্যাগের সূত্র ধরে তাঁর পরিচয় জানতে পেরেছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানান, ওই তরুণীর বাড়ি হাড়োয়া থানার শালিপুর এলাকায়।
মৃতার পরিবার দেহটি শনাক্ত করেছে। অভিযোগ, ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। তবে ময়না-তদন্তের রিপোর্ট এখনও না আসায় এ ব্যাপারে নিশ্চিত ভাবে কিছু বলতে পারছে না পুলিশ। সোমবার শাসন থানার পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত চলছে। কয়েক জন সন্দেহভাজনকে জেরা করা হচ্ছে। তবে কাউকে ধরা হয়নি।
গত ১ ফেব্রুয়ারি বারাসত সংলগ্ন শাসনের ৬ নম্বর মাছের ভেড়িতে স্থানীয় লোকজন দেখতে পান, এক তরুণীর মুণ্ডহীন ধড় জলে ভাসছে। শরীরে কোনও পোশাক নেই। কিন্তু রয়েছে বেশ কিছু ক্ষতচিহ্ন। পরে ভেড়ির পাশ থেকে একটি ব্যাগ উদ্ধার করে পুলিশ।
ওই তরুণীর পরিবার সূত্রে খবর, স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় কিছু দিন ধরে শালিপুরে বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকছিলেন তিনি। বছর চারেকের একটি ছেলে আছে তাঁর। ৩১ জানুয়ারি ব্যাঙ্কে যাচ্ছেন বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। তার পর থেকেই তাঁর খোঁজ ছিল না। মোবাইলে ফোন করেও তরুণীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে ওই দিনই হাড়োয়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে তাঁর পরিবার।
মুণ্ডহীন দেহটি কার, এক দিকে সেই খোঁজে তদন্ত শুরু করেছিল শাসন থানা। অন্য দিকে, নিখোঁজ তরুণীর খোঁজ চালাচ্ছিল হাড়োয়া থানা। এই ঘটনার সূত্রে দুই থানা পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ করতেই বেরিয়ে পড়ে মৃতার পরিচয়। খবর দেওয়া হয় পরিবারকে। রবিবার তাঁরা এসে দেহটি শনাক্ত করেন। তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগও দায়ের করেন।
কাটা মাথার খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। তবে প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশেরও ধারণা, শারীরিক নির্যাতনের পরেই ওই তরুণীকে খুন করে দেহ জলে ফেলে দেয় দুষ্কৃতীরা। তবে ময়না-তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।