প্রতীকী ছবি।
মাধ্যমিক পরীক্ষার দ্বিতীয় দিনে, বুধবার বেশ কিছু পরীক্ষার্থীর সাহায্যে এগিয়ে এল কলকাতা পুলিশের বিভিন্ন থানা এবং ট্র্যাফিক পুলিশ। মঙ্গলবার পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল আদর্শনগরের বাসিন্দা, বড়িশা শশিভূষণ জনকল্যাণ বিদ্যাপীঠের পড়ুয়া প্রিয়াংশু মণ্ডল। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। কিন্তু ওই ছাত্রের সিট পড়েছিল যে স্কুলে, সেখানে বিষয়টি জানানো হয়নি। এ দিন প্রিয়াংশুর পরিবার বেহালা থানার দ্বারস্থ হলে পুলিশ ওই স্কুলের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রশ্নপত্র এবং পরীক্ষক নিয়ে পৌঁছে যায় হাসপাতালে। দেরিতে পরীক্ষা দিতে বসায় প্রিয়াংশুকে আধ ঘণ্টা সময় বেশি দেওয়া হয়।
অন্য দিকে, দেরি হয়ে যাওয়ায় বাগবাজারের গোসাঁই লেন থেকে অন্তরা বাকুলিকে তার পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দেয় শ্যামপুকুর থানার পুলিশ। দেরি হয়ে যাওয়ায় ওই কিশোরী রাস্তায় দাঁড়িয়ে কাঁদছিল। আবার নিশা মাহাতো নামে এক পরীক্ষার্থী অ্যাডমিট কার্ড এবং রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট ছাড়াই পৌঁছে গিয়েছিল পরীক্ষা কেন্দ্রে। ঠাকুরপুকুর ট্র্যাফিক গার্ডের এক সার্জেন্ট সেগুলি পৌঁছে দেন।
পাশাপাশি, কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স এলাকার বাসিন্দা দীপিকা লোহরা এ দিন কসবা বালিকা বিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে দিতে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পুলিশের ট্রমা কেয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএমে। ওই কিশোরী সেখানেই ভর্তি। অন্য দিকে, ক্যালকাটা গার্লস অ্যাকাডেমিতে পরীক্ষা চলাকালীন এ দিন অসুস্থ হয়ে পড়ে সাইদা নুর ফতেমা নামে এক ছাত্রী। তাকে পুলিশের ট্রমা কেয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।