ছবি: এপি।
সেরিব্রাল অ্যাটাক হওয়ায় ৮০ বছরের এক বৃদ্ধের চিকিৎসা চলছিল এসএসকেএম হাসপাতালে। সোমবার তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তাঁর বাড়ি ফেরার খবর পেয়েই প্রতিবেশীদের একাংশ তা নিয়ে ফোন করে আপত্তি জানান। বৃদ্ধের পরিবার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এর পরে বাগুইআটি থানা এলাকায় বৃদ্ধের বাড়িতে আসে পুলিশ। তাদের উপস্থিতিতে ঘরে ঢুকতে পারেন ওই বৃদ্ধ। পুলিশের এই তৎপরতায় খুশি ওই ব্যক্তি ও তাঁর পরিবার।
বৃদ্ধের ছেলে পেশায় চিত্রশিল্পী। তিনি জানান, তাঁর বাবার সেরিব্রাল অ্যাটাক হয় গত ৭ এপ্রিল। তিনি প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে বাবাকে ভর্তি করান। পরের দিন তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এ দিন সকালে তাঁকে সেখান থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ছেলে জানান, তাঁর বাবার শরীরের এক দিকে কোনও সাড় নেই। অন্য অংশ আংশিক সাড়াপ্রবণ।
এ দিন ছেলে যখন অ্যাম্বুল্যান্সে করে বাবাকে বাড়ি আনার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তখনই স্থানীয় কয়েক জন বাসিন্দা ফোন করেন তাঁকে। বৃদ্ধের শরীরে সংক্রমণ রয়েছে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করে লাভ হয়নি। বৃদ্ধের বাড়ি ফেরা নিয়ে আপত্তি জানাতে থাকেন ওই প্রতিবেশীরা। উপায় না-দেখে ১০০ ডায়ালে ফোন করেন ছেলে। পুলিশ তাঁকে বাগুইআটি থানার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলে। ওই থানার ফোন ব্যস্ত থাকায় তিনি এসএসকেএমের পুলিশ আউটপোস্টে যোগাযোগ করেন। তখন অবশ্য বাগুইআটি থানা থেকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আশ্বাস দেওয়া হয়। এ দিন বিকেলে পুলিশ কার্যত এসকর্ট করে ওই বৃদ্ধকে ঘরে ঢোকায়। বৃদ্ধের ছেলে জানান, পুলিশ আসলে অবশ্য স্থানীয়দের কেউ সামনে এসে আপত্তির কথা জানাননি। পুলিশকর্মীদের সাধুবাদ জানিয়েছেন বৃদ্ধ ও তাঁর পরিজনেরা। পুলিশকর্মীদের একাংশ জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে মানুষ আতঙ্কিত। তার জেরেই সম্ভবত কেউ কেউ আপত্তি জানিয়েছিলেন। প্রতিবেশীদেরও বক্তব্য, আপত্তি নয়, নিজেদের উদ্বেগের কথাই জানিয়েছিলেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: অলিগলি, আবাসনেও চলবে নজরদারি
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)