—প্রতীকী চিত্র।
চোখ ধাঁধিয়ে যাওয়া লেজ়ার আলো এসে পড়েছিল ককপিটে। বৃহস্পতিবার রাতে প্রায় শতাধিক যাত্রী নিয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার উড়ানটি তখন আগরতলা থেকে কলকাতায় নামছিল। মাটি থেকে প্রায় চার হাজার ফুট উপরে সেই লেজ়ার আলো তাঁর মনঃসংযোগে ব্যাঘাত ঘটিয়েছে বলে কলকাতায় নেমে রাতেই অভিযোগ জানিয়েছিলেন পাইলট।
কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রের খবর, ওই পাইলট প্রথমে এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল (এটিসি)-কে বিষয়টি জানান। পরে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে স্থানীয় থানায় তা জানানো হয়। খবর যায় বিধাননগর পুলিশের কন্ট্রোল রুমে। রাতে তখনও নিউ টাউনে সেই লেজ়ার আলো ঝলমলিয়ে জ্বলছিল। জায়গাটি চিহ্নিত করে রাতেই পুলিশ সেখানে পৌঁছয় এবং বন্ধ করে দেয় লেজ়ার শো।
অভিযোগ, বিমানবন্দরের আশপাশে লেজ়ার আলোর ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মাঝেমধ্যেই এই আলোর ঝলকানি গিয়ে পড়ে শহরে নামতে আসা উড়ানের পাইলটদের চোখে। বিমান পরিবহণের সঙ্গে যুক্ত বিশেষজ্ঞদের কথায়, মাটিতে ঠিক মতো নামাটাই (ল্যান্ডিং) পাইলটদের কাছে সব চেয়ে কঠিন কাজ। বিশ্বের বেশির ভাগ বিমান দুর্ঘটনাই ঘটেছে ওই সময়ে। নামার সময়ে পাইলটদের মনঃসংযোগ সব চেয়ে বেশি রাখতে হয়। সামান্য বিচ্যুতি বা হিসাবের গোলমালে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
বিমানবন্দরের অফিসারদের অভিযোগ, কলকাতা শহরে নামতে এসে লেজ়ারের উপদ্রবের মুখে প্রায়ই পড়তে হচ্ছে পাইলটদের। বছর দুয়েক আগে শ্রীভূমিতে তৃণমূল নেতা সুজিত বসু আয়োজিত দুর্গাপুজোয় লেজ়ার শো-এর ব্যবস্থা হয়েছিল। ওই পুজোর প্রথম দু’দিনেই লেজ়ার আলো নিয়ে একাধিক পাইলট বিমানবন্দরে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। পরে ওই শো বন্ধ করা হয়।