—প্রতীকী চিত্র।
শহরের নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে বার বারই সিসি ক্যামেরার গুরুত্বের কথা উঠে এসেছে কলকাতা পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের আলোচনায়। এ বার প্রায় ৫৮ কোটি টাকা খরচ করে অত্যাধুনিক নতুন সিসি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুলিশ। ভাঙড়-সহ গোটা শহরের নিরাপত্তা আরও আঁটোসাঁটো করতেই ওই সমস্ত ক্যামেরা বসানো হবে বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশি সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন করে আরও ৬৭০০টি সিসি ক্যামেরা লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর জন্য খরচ ধরা হয়েছে ৫৮ কোটি ২০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। প্রতিটি ক্যামেরাই ৪কে রেজ়োলিউশনের ভিডিয়ো তুলতে পারবে এবং সেগুলিতে ২৫৬ জিবি ইন্টারনাল মেমরি রয়েছে। ‘নির্ভয়া’ প্রকল্পের আওতায় এই ক্যামেরা লাগানোর জন্য ইতিমধ্যে দরপত্রও ডাকা হয়েছে পুলিশের তরফে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ভাঙড়-সহ গোটা কলকাতাতেই নতুন এই ক্যামেরাগুলি লাগানো হবে। মূলত জনবহুল বিভিন্ন এলাকায় মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতেই এই উদ্যোগ। তবে, কোথায় কোথায় ক্যামেরাগুলি লাগানো হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি। দরপত্র পাওয়া সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করে এ বিষয়ে জানানো হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে সিসি ক্যামেরা নিয়ে অবশ্য একাধিক বার প্রশ্নের মুখেও পড়তে হয়েছে কলকাতা পুলিশের কর্তাদের। এমনও ঘটেছে যে, অপরাধের তদন্তে গিয়ে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করার সময়ে পুলিশ জানতে পেরেছে, রাস্তার ওই অংশের ক্যামেরা দীর্ঘ দিন ধরে খারাপ হয়ে পড়ে আছে। তাই নতুন এই ক্যামেরাগুলির ক্ষেত্রে রক্ষণাবেক্ষণে যাতে কোনও খামতি না থাকে, তা-ও নিশ্চিত করতে চাইছেন পুলিশকর্তারা। সূত্রের খবর, দরপত্র পাওয়া সংস্থাকেই পাঁচ বছরের জন্য ক্যামেরাগুলি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হবে।
‘নির্ভয়া’ প্রকল্পের অধীনে এর আগেও শহরে একাধিক সিসি ক্যামেরা লাগিয়েছে কলকাতা পুলিশ। চলতি বছরের শুরুতেই প্রায় দু’হাজার সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়। বিভিন্ন স্কুলের সামনে ক্যামেরা লাগানোর ক্ষেত্রেও জোর দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ভাঙড়কে কলকাতা পুলিশের আওতায় নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ভাঙড়ে নতুন ন’টি থানা তৈরি করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে লালবাজারের তরফে। সেখানে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা যে অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ, তা মানছেন পুলিশকর্তারা। সেই অপরাধে লাগাম টানতেই সেখানে নতুন বেশ কিছু সিসি ক্যামেরা বসানো হবে।
এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘এখন অপরাধ দমনে ক্যামেরা অন্যতম বড় হাতিয়ার। তাই শহরের বড় রাস্তা থেকে অলিগলি, সর্বত্র ক্যামেরা বসানোয় জোর দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই স্থানীয় থানা ও ট্র্যাফিক গার্ডের সঙ্গে কথা বলে কোথায় কোথায় ক্যামেরা প্রয়োজন, তার একটি তালিকা তৈরির প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।’’