ফাইল চিত্র।
পুজোর মণ্ডপে দর্শকদের প্রবেশাধিকার মিলবে কি না, সেই অনিশ্চয়তা রয়েছে। কারণ, ইতিমধ্যেই এ নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। তবে রায় যা-ই আসুক, দর্শকদের সুরক্ষার কথা ভেবেই এগোতে চাইছে কলকাতা পুলিশ। মণ্ডপের বিদ্যুতের সংযোগ থেকে যাতে দুর্ঘটনা না ঘটে, সে বিষয়ে পুজো উদ্যোক্তাদের সতর্ক করা এবং ওই বিষয়ে তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে বলেও পুলিশ জানিয়েছে।
গত কয়েক দিনের লাগাতার বৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকায় জল জমে রয়েছে। তাতেই খোলা তারে হাত দিয়ে মৃত্যু হয়েছে একাধিক। পুজোয় বৃষ্টি হলে ওই ধরনের ঘটনা যাতে রুখে দেওয়া যায়, সে জন্যই এই উদ্যোগ বলে মনে করা হচ্ছে।
কলামন্দিরে পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে শুক্রবার সমন্বয় বৈঠক ছিল কলকাতা পুলিশের। উপস্থিত ছিল কলকাতা পুরসভা, দমকল, সিইএসসি। এক পুলিশকর্তা জানান, সিইএসসির তরফে উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়েছে। ওয়্যারিং কেমন হওয়া উচিত, কী ধরনের তার ব্যবহার করলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা কমে, তা থাকছে প্রশিক্ষণে। মণ্ডপে ঢোকা ও বেরোনোর পথে যাতে খোলা বিদ্যুৎবাহী তার বেরিয়ে না থাকে, প্রশিক্ষণে তা-ও থাকছে। বৈঠকে পুজো কমিটিগুলিকে জানানো হয়, বিসর্জনে শোভাযাত্রা করা যাবে না। মণ্ডপ থেকে সরাসরি ঘাটে নিয়ে প্রতিমা নিরঞ্জন করতে হবে। দূরত্ব বজায় রাখতে মণ্ডপে ঢোকা ও বেরোনোর পথ উন্মুক্ত রাখতে বলা হয়েছে।
এখনও কোভিড-বিধি বহাল আছে রাত এগারোটা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত। তাতে বিপাকে পড়ছেন মণ্ডপ তৈরিতে যুক্ত কর্মীরা। রাতে যাতায়াতে পুলিশ তাঁদের আটকাচ্ছে। এ দিন এমন অভিযোগ করেন কয়েক জন উদ্যোক্তা। হিন্দুস্থান পার্কের পুজো উদ্যোক্তা সুতপা দাস বলেন, ‘‘নাইট কার্ফুর জন্য মণ্ডপ তৈরির কাজে পুজো কমিটিগুলোর খুব সমস্যা হচ্ছে।’’ সব শুনে পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, এ জন্য স্থানীয় থানা যাতে বিশেষ পাস দেওয়ার ব্যবস্থা করে, তিনি সেই নির্দেশ দেবেন।
ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের সাধারণ সম্পাদক শাশ্বত বসু বলেন, ‘‘গত বছর পুজোর পরে আদালত জানিয়েছিল, পুজোর জন্য সে ভাবে করোনা বাড়েনি। এ বারেও দায়িত্বশীল থেকে সবটা করার পরিকল্পনা করেছি।’’