ফাইল চিত্র।
চিংড়িঘাটা মোড়ে, ই এম বাইপাসের উপরেই তৈরি হবে নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রোর স্তম্ভ। রাস্তার ঠিক মাঝখানে ওই স্তম্ভের কাজ শুরু হলে চিংড়িঘাটা মোড় সংলগ্ন বাইপাসে যানজটের আশঙ্কা করছে পুলিশের একাংশ। যানজট যাতে প্রবল দুর্ভোগ বয়ে না আনে, তা নিশ্চিত করতে এক দিকের রাস্তা চওড়া করার প্রস্তাবও দেওয়া হবে পুলিশের পক্ষ থেকে।
লালবাজার সূত্রের খবর, ওই নির্মাণের দায়িত্বে থাকা ‘রেলওয়ে বিকাশ নিগম লিমিটেড’ বা আরভিএনএল চিংড়িঘাটা মোড়ের মাঝখানে স্তম্ভ নির্মাণের কাজ শুরু করার জন্য পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছে। চিংড়িঘাটা মোড়ে বেলেঘাটা ট্র্যাফিক গার্ডের পুরনো অফিসের পাশে স্তম্ভ নির্মাণের কাজ প্রায় শেষের মুখে। আবার সেক্টর ফাইভের দিকের অংশে চিংড়িঘাটা খালের উপরেও স্তম্ভ নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, বাইপাসের মাঝখানে ওই স্তম্ভের কাজ কবে থেকে শুরু হবে, তা ঠিক হয়নি। এর জন্য বাইপাসের কতটা অংশ আটকে রাখা হবে, ঠিক হয়নি তা-ও। পুলিশের এক কর্তা জানান, এ সপ্তাহেই আরভিএনএল, কেএমডিএ এবং পুলিশের কর্তারা একসঙ্গে এলাকা পরিদর্শন করবেন। তার পরেই ঠিক হবে, কবে থেকে ওই কাজ শুরু হবে ও বাইপাসের কতটা অংশ ঘিরতে হবে।
পুলিশের বক্তব্য, অফিসের সময়ে এমনিতেই চিংড়িঘাটা মোড় সংলগ্ন বাইপাসে গাড়ির চাপ বেশি থাকে। ফলে, দিনের ব্যস্ত সময়ে সেখানে গাড়ির গতি কমই থাকে। বাইপাসের মাঝখানে স্তম্ভ নির্মাণের কাজ শুরু হলে গাড়ির গতি আরও কমতে পারে বলে আশঙ্কা। লালবাজার সূত্রের খবর, গড়িয়ামুখী রাস্তার একাংশ কিছু দিন আগেই চওড়া করা হয়েছে। স্তম্ভ নির্মাণের জেরে গাড়ির গতি যাতে বাধা না পায়, তার জন্য বেলেঘাটামুখী বা বাইপাসের পশ্চিম অংশের রাস্তা বাড়ানো হবে। বেলেঘাটা ট্র্যাফিক গার্ডের পুরনো অফিসের সামনে ফুটপাত কেটে ওই রাস্তা চওড়া করার জন্য ট্র্যাফিক পুলিশের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হবে। যাতে রাস্তার মাঝের অংশ বন্ধ থাকলেও গাড়ি চলাচলে কোনও অসুবিধা না হয়।