Kolkata Police

পাতিপুকুরে ব্যারাকের ছাদ থেকে ঝাঁপ পুলিশকর্মীর

প্রাথমিক তদন্তের পর কলকাতা পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, অপূর্ব মণ্ডল নামে ওই কর্মী ছাদ থেকে ঝাঁপ দেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০২০ ১৫:৩৩
Share:

ছাদ থেকে ঝাঁপ মেরে আত্মহত্যার চেষ্টা কলকাতা পুলিশের কনস্টেবলের। নিজস্ব চিত্র।

তিনতলার ছাদ থেকে ঝাঁপ মেরে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন কলকাতা পুলিশের এক কনস্টেবল। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনি আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শনিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতা পুলিশের পাতিপুকুর ব্যারাকে।

পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ ব্যারাকের অন্য পুলিশকর্মীরা হঠাৎ ভারী কিছু নীচে পড়ে যাওয়ার আওয়াজ পান। তার পরেই খুঁজতে গিয়ে তাঁদের চোখে পড়ে, তিনতলা ব্যারাকের ভিতর দিকে সিমেন্টে বাঁধানো মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন এক পুলিশকর্মী। তিনি ওই ব্যারাকেই থাকতেন। সহকর্মীরাই তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

প্রাথমিক তদন্তের পর কলকাতা পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, অপূর্ব মণ্ডল নামে ওই কর্মী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। ৩৮ বছর বয়সী অপূর্ব কলকাতা পুলিশের রিজার্ভ ফোর্সে কর্মরত। আদতে তিনি উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের বাসিন্দা। তদন্ত শুরু করে লেকটাউন থানার পুলিশের অনুমান, ব্যারাকের ছাদ থেকে ঝাঁপ দেন অপূর্ব। তিনি বর্তমানে রাজভবনে মোতায়েন কলকাতা পুলিশের বাহিনীর সদস্য ছিলেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘পুলিশ যা করেছে, বেশ করেছে’, বললেন বিকাশ দুবের বাবা​

তবে ঠিক কী কারণে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রাথমিক ভাবে তাঁর সহকর্মীরা তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন অপূর্ব। তবে সেই মানসিক অবসাদের কারণ এখনও জানতে পারেনি পুলিশ। তাঁরা ওই পুলিশকর্মীর বাড়ির লোকজনের সঙ্গেও যোগাযোগ করছেন। অবসাদের পিছনে ব্যক্তিগত কোনও সমস্যা রয়েছে, না কি কর্মক্ষেত্রের কোনও সমস্যা— তা তাঁরা জানার চেষ্টা করছেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: করোনা-যুদ্ধে নজির গড়েছে ধারাবী বস্তি: ভূয়সী প্রশংসায় হু

গত ৩ জুলাই মহাকরণে কর্মরত থাকা অবস্থায় নিজের সার্ভিস রাইফেল থেকে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হন কলকাতা পুলিশের পঞ্চম ব্যাটালিয়নের কনস্টেবল বিশ্বজিৎ কারক। তিনি পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা। বিশ্বজিৎও মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলে জানা গিয়েছে। যদিও এখনও স্পষ্ট নয় সেই অবসাদের কারণ কী ছিল। এক সপ্তাহের মধ্যে পর পর দু’টি ঘটনা চিন্তায় ফেলেছে লালবাজারের শীর্ষ কর্তাদের। এক পুলিশ কর্তা বলেন, ‘‘প্রয়োজনে মনোবিদদের সাহায্য নেওয়া হতে পারে। তবে তার আগে চিহ্নিত করা প্রয়োজন বাহিনীর কারা এ রকম মানসিক সমস্যায় ভুগছেন।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement