এফবিআইয়ের তথ্য পেয়ে আট জনকে গ্রেফতার করলেন কলকাতা পুলিশ। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
আমেরিকায় হয়েছিল প্রতারণা। লক্ষাধিক আমেরিকান ডলার হারিয়েছিলেন এক মহিলা। ফেডেরাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) থেকে এসেছিল তথ্য। সেই প্রতারণা ধরে দিল কলকাতা পুলিশ। নিউ আলিপুর থেকে আট জনকে গ্রেফতার করল তারা। ধৃতদের শুক্রবার মুখ্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালের ২ মার্চ প্রতারণার শিকার হয়েছিলেন অ্যানি ফরবুশ নামে এক মহিলা। তিনি আমেরিকার নাগরিক। তাঁকে ওই দিন ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রোটোকল (ভিওআইপি) করা হয়েছিল। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে এই ফোন করা হয়। ফোন করে অভিযুক্তেরা জানান, তাঁরা সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার সিকিউরিটি এজেন্সি (সিআইএসএ)-র কর্মী। আমেরিকায় সাইবার স্পেস রক্ষার কাজ করে এই সংস্থা।
অভিযু্ক্তেরা দাবি করেন, তাঁরা অপরাধ ধরার জন্য স্টিং অপারেশন করছেন। সে কারণে ওই মহিলার কম্পিউটারে রিমোটের মাধ্যমে অ্যাকসেস পেতে চান। মহিলা রাজি হলে তাঁর কম্পিউটারের তথ্য হাতিয়ে অ্যাকাউন্ট থেকে এক লক্ষ ৪৪ হাজার আমেরিকান ডলার বার করে নেন। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় এক কোটি ১৯ লক্ষ টাকা। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে এফবিআই। তাদের থেকে ইন্টারপোল, সিবিআই, ভারতের ইন্টারন্যাশনাল পুলিশ কোঅপারেশন ইউনিটের মাধ্যমে তদন্তের তথ্য কলকাতা পুলিশের হাতে পৌঁছয়।
এর পরেই বৃহস্পতিবার মাঝরাতে নিউ আলিপুরের সাহাপুর কলোনির একটি বহুতলের পাঁচতলায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। দেখে, সেখানে চলছে একটি ‘ভুয়ো’ কলসেন্টার। সেখান থেকে আট জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের বয়স ২৩ থেকে ৩২ বছর। ধৃতেরা হলেন ৩২ বছরের অমিত গুপ্ত, ২৮ বছরের পবন শ্রীবাস্তব, ২৩ বছরের অভিষেক প্রসাদ, ২৮ বছরের স্বয়ম দে, ৩০ বছরের অন্নু রায়, ২৭ বছরের সুনি রজক, ৩০ বছরের উদয় কুমার, ৩০ বছরের রাকেশ কুমার। কল সেন্টার থেকে প্রচুর নথি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ, যা থেকে আমেরিকার ওই মহিলাকে প্রতারণার প্রমাণ মিলেছে। পাঁচটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, দু’টি হার্ডডিস্ক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।