দূষণ: সুভাষ সরোবরের জলে পরিত্যক্ত জিনিস ফেলছেন এক ব্যক্তি। ছবি: রণজিৎ নন্দী
জাতীয় পরিবেশ আদালতের নিষেধাজ্ঞাকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে গত দু’বছর রবীন্দ্র সরোবর ও সুভাষ সরোবরে ছটপুজো করেছেন পুণ্যার্থীরা। এ বার শুধু জাতীয় পরিবেশ আদালত নয়, কলকাতা হাইকোর্টও নির্দেশ দিয়েছে, রবীন্দ্র সরোবর ও সুভাষ সরোবরে ছটপুজো করা যাবে না। আদালতের সেই নির্দেশ কার্যকর করতে প্রতিটি থানাকে প্রস্তুত হতে বলল কলকাতা পুলিশ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো করার অনুমতি পেতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে কেএমডিএ। কাল, বৃহস্পতিবার, সেই মামলার শুনানি।
রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো আটকাতে কী কী করণীয়, তা খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার ওই সরোবর এলাকা পরিদর্শন করেন ডিসি (সাউথ-ইস্ট) সুদীপ সরকার। সরোবর চত্বরে ঢোকা ও বেরোনোর কতগুলি রাস্তা রয়েছে, থানার আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে তা ঘুরে দেখেন তিনি।
সূত্রের খবর, রবীন্দ্র সরোবর ও সুভাষ সরোবরে ছটপুজো আটকাতে তালা ঝোলানোর পরিকল্পনা করছে প্রশাসন। বিকল্প হিসেবে বিভিন্ন এলাকার কিছু ছোট জলাশয়কে চিহ্নিত করা হচ্ছে। কিন্তু পরিবেশকর্মীদের বক্তব্য, তালা তো গত বছরও ঝোলানো হয়েছিল। তা সত্ত্বেও গেট ভেঙে পুণ্যার্থীরা ঢুকে পড়েছিলেন। তাঁদের প্রশ্ন, তালা ঝোলালেও কি দুই সরোবরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে?
পুলিশ সূত্রের খবর, লালবাজারের নির্দেশ মেনে নিজের ডিভিশনের ওসি এবং এসি-দের প্রয়োজনীয় সমস্ত রকম ব্যবস্থা নিতে বলেছেন ডিসি-রা। প্রতিটি থানাকে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট এলাকায় যাঁরা ছটপুজো করবেন, তাঁদের হাইকোর্টের নির্দেশ সম্পর্কে বিশদে বোঝাতে হবে পুলিশকর্মীদের। প্রয়োজনে বার বার তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসে দূষণ না করে ছটপুজো করার সমস্ত বিধি-নিষেধের কথা বুঝিয়ে বলতে হবে। থানাগুলি জানিয়েছে, রোজই তারা আলোচনায় বসছে।