গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
বিহার থেকে কলকাতা এসেছিলেন ব্যবসার কাজে। মেটিয়াবুরুজ এলাকা থেকে জামাকাপড় কিনবেন বলে হাওড়া স্টেশন থেকে ট্যাক্সি ধরেছিলেন বৈশালীর বস্ত্র ব্যবসায়ী রামকুমার রায়। আক্রা রোডে ‘ন্যাশনাল আই কেয়ার’ হাসপাতালের সামনে ট্যাক্সি আসতেই পথ আগলে দাঁড়ায় চার জন। চলে হুমকি, ধমক। গাড়ি থেকে না-নামলে প্রাণে মেরে ফেলা হবে হুঁশিয়ারি দেয় এক জন। ওই অবস্থায় ট্যাক্সি থেকে নেমে দৌড়ে পালান রামকুমারের এক সঙ্গী। দুষ্কৃতীরা রামকুমারকে টেনেহিঁচড়ে তাঁর কাছ থেকে ২ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা ছিনতাই করে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তার পরেই চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। সেই অভিযোগ পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করল পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার বিকেলে হাওড়া থেকে ট্যাক্সি নিয়ে মেটিয়াবুরুজে ব্যবসার জিনিসপত্র গিয়েছিলেন। ৩৭ বছরের ব্যবসায়ীর সঙ্গে ছিলেন আরও চার জন। ওই ব্যবসায়ীর অভিযোগ, মেটিয়াবুরুজ হাটে যাওয়ার পথে তাঁদের ট্যাক্সি আটকায় অজ্ঞাতপরিচয় চার দুষ্কৃতী। তাঁদের হুমকি এবং ধমকিতে ভয় পেয়ে ব্যবসায়ীর এক সঙ্গী রণকুমার পালিয়ে যান। কিন্তু ব্যবসার টাকা ছিল তাঁর কাছে। রামের কাছ থেকে প্রায় তিন লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালায় চার জন। টাকা খুইয়ে মেটিয়াবুরুজ থানার দ্বারস্থ হন ভিন্রাজ্যের ওই ব্যবসায়ী। অভিযোগ পেয়েই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ দেখিয়ে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা হয়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তদের পাকড়াও করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের পরিচয় জোগাড় করে ফেলেছিল তারা। তাদের নাম ফারহান জমান আনসারি, ফরিজাম আহমেদ, মহম্মদ সহিল এবং বাদশা। বেশ কিছু ক্ষণের চেষ্টায় আলাদা আলাদা জায়গা থেকে অভিযুক্তদের পাকড়াও করে হয়েছে। এক জনের কাছ থেকে লুটের ১ লক্ষ ২ হাজার ৫০০ টাকা মেলে। সেটা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। রবিবারের মধ্যে অভিযুক্তদের ধরে ফেলা গিয়েছে জানিয়েছে পুলিশ। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। তাদের সঙ্গে কোনও চক্র জড়িত কি না, সেই খোঁজও চলছে। পাশাপাশি বিহারের ব্যবসায়ীর কাছ থেকে লুটের বাকি টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। রবিবারই ধৃতদের আলিপুর আদালত হাজির করানো হবে।