চার বছর আগে, ২০১৪ সালের ২৫ নভেম্বর পথ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিল উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরের বাসিন্দা, স্কুলপড়ুয়া সুহানা ইয়াসমিন মণ্ডল। তাকে প্রথমে বসিরহাট মহকুমা হাসপাতাল, পরে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শেষমেশ সুহানাকে ভর্তি করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। কিন্তু তার পরিবারের অভিযোগ, সময়ের মধ্যে রক্ত জোগাড় করে দেওয়া হলেও চিকিৎসকেরা তা দেওয়ার সময় পাননি। যার জেরে ওই ছাত্রীর মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় অভিযুক্ত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। কাউন্সিল সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার তাদের এথিক্স কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, এসএসকেএম হাসপাতালের পাঁচ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হবে।
প্রসঙ্গত, ওই হাসপাতালেরই প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে চিকিৎসা হয়েছিল সুহানার। ডাক্তারেরা জানিয়েছিলেন, চার ইউনিট রক্তের প্রয়োজন। কয়েক ঘণ্টা পরেই পরিবার প্রয়োজনীয় রক্ত জোগাড় করে দেয়। কিন্তু অভিযোগ, ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও চিকিৎসকেরা তা দেওয়ার সময় পাননি। সুহানার মৃত্যুর পরে এসএসকেএমের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে অভিযোগ করে পরিবার।
স্বাস্থ্য দফতরের শীর্ষ কর্তারা অবশ্য অভিযোগ খতিয়ে দেখে এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে শুধুই সতর্ক করেছিলেন। রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের এক সদস্য জানিয়েছেন, ওই ছাত্রীর চিকিৎসার দায়িত্বে ছিলেন এসএসকেএমের স্নাতকোত্তর স্তরের পাঁচ চিকিৎসক। তাঁদের প্রত্যেকের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হয়েছে। এক সহকারী প্রফেসরের বিরুদ্ধেও চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ দায়ের করেছিল রোগিণীর পরিবার। তাঁর ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হয়েছে। তার পরেই চার্জ গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কাউন্সিল।