বেহাল: মরচে ধরেছে অরবিন্দ সেতুর বিভিন্ন অংশে। —ফাইল চিত্র
উত্তর কলকাতার অরবিন্দ সেতুর সব ক’টি বেয়ারিং মরচে পড়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এই সেতুর উপর দিয়েই গৌড়ি বাড়ির দিক থেকে উল্টোডাভা স্টেশনের দিকে যেতে হয়। প্রচুর গাড়ি এই সেতুর উপর দিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে। তাই দ্রুত বিয়ারিংগুলি বদল করা জরুরি বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
কেএমডিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, অরবিন্দ সেতু ষাটের দশকে তৈরি করা হয়। তখন কেআইটির অধীনে ছিল সেতুটি। বর্তমানে কলকাতার কেআইটি-র অধীনে থাকা সব ক’টি সেতুর দেখভালের দায়িত্ব কেএমডিএ-র হাতে গিয়েছে।
কেএমডিএ-র এক কর্তা জানান, সম্প্রতি অরবিন্দ সেতুর মেরামত করা হয়। তখন দেখা যায়, কংক্রিটের বিমের নীচে থাকা লোহার বিয়ারিংগুলি জং পড়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এই বিয়ারিং-এর কাজ হল সেতুর উপর দিয়ে যাওয়া ভারের ভারসাম্য বজায় রাখা। সেই বিয়ারিং কাজ না করায় আস্তে আস্তে সেতুর ক্ষতি আরও বড় হতে পারে বলে মনে করছেন ইঞ্জিনিয়াররা। কেএমডিএ-র কর্তারা কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থা রাইটসের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গিয়ে সেতুর বিয়ারিংগুলির অবস্থা কী তা ঘুরে ঘুরে দেখান। অবিলম্বে নতুন বিয়ারিং লাগানোর জন্য সুপারিশ করেছেন রাইটসের বিশেষজ্ঞেরা।
রাইটসের গ্রুপ জেনারেল ম্যানেজার তরুণ সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘অরবিন্দ সেতুর কংক্রিটের বিমের নীচে ৪০ থেকে ৪৫টি বিয়ারিং আছে। সব ক’টিই নষ্ট হয়ে গিয়েছে।’’ ওই কর্তা জানান, এই ধরনের সেতুর বিয়ারিং ১৫ থেকে ২০ বছর অন্তর বদল করা উচিত। কিন্তু তা হয়নি বলেই মনে হচ্ছে। সব ক’টি বিয়ারিং বদলাতে ৪ থেকে ৫ কোটি টাকা লাগবে।
কেএমডিএ-র এক কর্তা জানান, রাইটসকে দিয়ে শহরের বিভিন্ন সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট দেখে কাজ করা হচ্ছে। অরবিন্দ সেতুর বিষয়েও রাইটস মতামত দিয়েছে। সেই মতো কাজ করা হবে। দ্রুত কাজ শুরু হবে।