গত মাসে পাম্প ফেটে এ ভাবেই ঘটেছিল বিপত্তি। ফাইল চিত্র
গার্ডেনরিচ-কাণ্ড থেকে শিক্ষা নিয়ে তড়িঘড়ি দু’টি নতুন পাম্প মজুত করে রাখতে চাইছে কলকাতা পুরসভা।
নতুন পাম্প এসে গেলেও তা কাজে লাগাতে পুরসভা নারাজ। সেগুলিকে ‘স্ট্যান্ডবাই’ হিসেবে ব্যবহার করা হবে, যাতে ভবিষ্যতে পাম্প বিকল হওয়ার মতো ঘটনা ঘটলে মজুত পাম্পগুলি ব্যবহার করে জরুরি ভিত্তিতে পরিস্থিতির মোকাবিলা করা যায়।
মাসখানেক আগেই গার্ডেনরিচ পাম্পিং স্টেশনের এক নম্বর ফেজের একটি পাম্প ফেটে যাওয়ায় প্রায় ৪০ ফুট জলের নীচে চলে গিয়েছিল স্টেশনটি। শোধনের জন্য রাখা জলাধারের জল অনিয়ন্ত্রিত ভাবে পাম্পিং স্টেশনে ঢুকে গিয়েছিল। উল্টো পথে ঢুকেছিল পরিস্রুত জলও। তারই জেরে জল সরবরাহ ব্যাহত হয়েছিল। বেহালা, মহেশতলা, গার্ডেনরিচ-সহ একাধিক এলাকায় রীতিমতো জল সঙ্কট তৈরি হয়েছিল।
পুর আধিকারিকেরা জানিয়েছিলেন, বিকল হয়ে যাওয়া পাম্পটি বসানো হয়েছিল ১৯৮০ সাল নাগাদ। তবে শুধুমাত্র পুরনো হয়ে যাওয়ার কারণেই ওই বিপর্যয় কি না, তা নিয়ে এখনও নিশ্চিত নন তাঁরা। তাঁদের বক্তব্য, পলতা জল প্রকল্পে ৫০ বছরের পুরনো পাম্পও চলছে বহাল তবিয়তে। ফলে শুধু পুরনো হওয়ার কারণে বিস্ফোরণ হয়েছে, তেমনটা ভাবা ঠিক নয়। যা ঘটেছিল তা নিছকই দুর্ঘটনা। গত ৪০ বছরের মধ্যে এমন ঘটনা ঘটেনি।
অন্য ফেজ থেকে দু’টি পুরনো পাম্প এনে পরিস্থিতি সামলানো হয়। আপাতত সেই দু’টি পাম্পই কাজ করছে, জানাচ্ছেন পুরসভার জল দফতরের আধিকারিকেরা। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা ঘটলে যাতে জল সরবরাহ বিপর্যস্ত না হয়ে পড়ে, সে কারণে তখনই নতুন দু’টি পাম্প কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পুর কর্তৃপক্ষ। সেই মতোই সম্প্রতি পুর প্রশাসনের বৈঠকে দেড় কোটি টাকার দু’টি পাম্প কেনার প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে পাম্প দু’টি কেনার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে বলে জানাচ্ছেন আধিকারিকদের একাংশ।
জল সরবরাহ দফতরের এক পদস্থ কর্তার কথায়, ‘‘পুরনো দু’টি পাম্প যেমন চলছে চলুক। নতুন পাম্পগুলি আমরা স্ট্যান্ডবাই হিসেবে রাখতে চাই। পাম্পে বিস্ফোরণ ঘটে জল সরবরাহ বিপর্যস্ত হওয়ার অভিজ্ঞতা আমাদের নেই। তাই আগাম সাবধানতা নিতে নতুন পাম্প কেনা হচ্ছে।’’