ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরির অস্ত্র পাচার মামলায় আর এক দুষ্কৃতীকে পাকড়াও করল কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। গোয়েন্দাদের দাবি, গণেশ পাসোয়ান ওরফে ভগবানজিকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে কুলটি থানা এলাকার বরাকর থেকে। ধানবাদ যাওয়ার পথে তার গাড়ি আটকায় পুলিশ। পরে তাকে কলকাতায় নিয়ে আসেন তদন্তকারীরা। ধৃতকে শুক্রবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাকে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরির অভিযুক্ত কর্মীদের সঙ্গে বিহারের অস্ত্র কারবারিদের মধ্যে যোগাযোগ রাখত ধৃত ভগবানজি।
পুলিশ জানায়, ৬ মে বাবুঘাটের বাস স্ট্যান্ডের কাছ থেকে অস্ত্র পাচারের সময়ে অজয়কুমার পাণ্ডে ওরফে গুড্ডু পণ্ডিত, জয়শঙ্কর পাণ্ডে, উমেশ রায়, কার্তিক সাউকে গ্রেফতার করে এসটিএফের গোয়েন্দারা। তাদের কাছে মেলে ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরির সাতটি রিভলভার, কার্বাইনের মতো বাতিল অস্ত্র ও অস্ত্র তৈরির যন্ত্রাংশ। ওই কারখানার দুই জুনিয়র ওয়ার্কস ম্যানেজার সুখদা মুর্মু ও সুশান্ত বসুকেও গ্রেফতার করা হয়। পরে বিহার থেকে গ্রেফতার হয় রাজেশ কুমার ওরফে মুন্না। গত সেপ্টেম্বরে অস্ত্র পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিল শম্ভু ভট্টাচার্য ও দীপক সাউ। দীপক ওই কারখানার ঠিকাদার। শম্ভু ছিল ওয়ার্কস ম্যানেজার।
পুলিশের দাবি, বরাকর থেকে গ্রেফতার হওয়া ভগবানজি আসলে গুড্ডু পণ্ডিত এবং মুন্নার সহযোগী। বছর দশেক আগে জেলের ভিতরে আলাপ হয় ওই তিন জনের। সেখান থেকেই অস্ত্র কারবারে হাতেখড়ি ভগবানজির। জেলে যাওয়ার আগে বিহারের নালন্দা জেলার গাজিপুরে চাষ করত ভগবানজি। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে প্রথম দিকে একটি কারখানায় কাজ নেয় সে। পরে সে ওই কারবারে জড়িয়ে পড়ে।
এক তদন্তকারী জানান, ভগবানজি মূলত গুড্ডু পণ্ডিতের নির্দেশ মতো শহরে এসে উমেশের কাছ থেকে অস্ত্রের যন্ত্রাংশ নিয়ে তা বিহারে পৌঁছে দিত মুন্নাকে। যা পরে মাওবাদী ও বিহারের বাহুবলীদের হাতে পৌঁছত। পুলিশের দাবি, প্রায় ২৫ বার শহরে এসে ওই কারখানার বাতিল যন্ত্রাংশ বিহার নিয়ে গিয়েছে ভগবানজি।