সোনার দোকানে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে গুরুতর জখম হলেন এক মহিলা ক্রেতা-সহ পাঁচ জন। বৃহস্পতিবার দুপুরে, ঘটনাটি ঘটে দেগঙ্গা বাজারে। জখমদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বারাসত জেলা হাসপাতালে। বর্ণালী বিশ্বাস নামে ওই ক্রেতার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দোকানে এ দিন গয়না তৈরি করাতে এসেছিলেন বর্ণালীদেবী। দোকানের মালিক গোবিন্দ পাল ও তাঁর ভাই প্রশান্ত পাল বর্ণালীদেবীর সঙ্গে কথা বলছিলেন। বিশ্ব কর্মকার ও আব্দুল রহিম নামে দুই কর্মচারী কাজ করছিলেন। সেই সময়েই সিলিন্ডারটি তীব্র শব্দে ফেটে যায়।
ওই দোকানের উল্টো দিকেই বাড়ি কমলকৃষ্ণ দফাদারের। তিনি বলেন, ‘‘বিকট শব্দ শুনে এসে দেখি, দোকানের ভিতরে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। তার মধ্যে জলন্ত অবস্থায় এক মহিলা ও কয়েক জন পুরুষ ছটফট করছেন।’’ হাসপাতাল সূত্রের খবর, বর্ণালীদেবীর সারা শরীর পুড়ে যাওয়ায় তাঁকে স্থানান্তরিত করতে হয়। আগুনে বাকিদেরও শরীরের অনেকটাই পুড়ে গিয়েছে। এলাকার মানুষ জানান, সোনার দোকানে গয়না তৈরির কাজে আগে মোমবাতি ব্যবহার করা হত। এখন তার বদলে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করা হচ্ছে। ওই দোকানের অগ্নি-সুরক্ষা ব্যবস্থা ঠিকঠাক ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।