এই শিশুটিকেই মারার অভিযোগ উঠেছে দন্ত চিকিত্সকের বিরুদ্ধে। নিজস্ব চিত্র।
দাঁতে ব্যথা। চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতেই তিনি পরামর্শ দিয়েছিলেন, ইঞ্জেকশন দিয়ে মাড়ি অবশ করে দাঁত তুলতে হবে। এ কথা শোনামাত্রই কান্না জুড়ে দিয়েছিল ছ’বছরের জাহ্নবী।
এর পর আর দেরি করেননি চিকিৎসক। দাঁত তোলার প্রস্তুতি শুরু করেন। কিন্তু, শুরুতেই বিপত্তি। ঘাবড়ে যাওয়া শিশুটিকে বোঝানো তো দূরের কথা, রেগে চড় মেরে বসেন ডাক্তারবাবু! অভিযোগ, দাঁত তোলার সাঁড়াশি দিয়েও মারধরও করা হয় শিশুটিকে।
বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে রানিকুঠির এক ডেন্টাল ক্লিনিকে। ওই দন্তচিকিৎসকের আচরণে রীতিমতো হতবাক শিশুর মা ও দিদি। তাঁরা ডেন্টাল ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি জানান। খবর দেন নেতাজিনগর থানাতেও। পুলিশ শিশুটির অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি অভিযুক্ত চিকিৎসক রণদীপ সিন্হাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। শিশুটির মেডিক্যাল পরীক্ষাও করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। শেষ পর্যন্ত থানায় এফআইআর করেন নিগৃহীত শিশুর অভিভাবক। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ ওই চিকিৎসককে গ্রেফতার করে।
আরও পড়ুন: বিরাটির রাস্তায় চেয়ারম্যান ও ডেপুটির লড়াই, হেনস্থা সৌগতকে
আরও পড়ুন: মল্লিকবাজারে বহুতলে আগুন, আতঙ্ক
পূর্বপুটিয়ারির বাসিন্দা শিশুটির মা প্রতিমা সাহা বলেন, ‘‘এক্স-রে করিয়ে মেয়েকে ক্লিনিকে নিয়ে যাই। রিপোর্ট দেখে দাঁত তোলার পরামর্শ দেন চিকিৎসক রণদীপ সিংহ। কিন্তু দাঁত তুলতে গিয়ে যে এমন একটি ঘটনা ঘটে যাবে ভাবতে পারছিনা। ইঞ্জেকশন আমার মেয়ে ভয় পেয়ে যায়। কেঁদে ওঠে। আচমকা চড় মারেন ডাক্তারবাবু। এমন কী, হাতের কাছে থাকা ডাক্তারি যন্ত্রপাতি দিয়েও মারার চেষ্টা করেন তিনি। আমরা বিষয়টি লিখিতভাবেই ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশকে জানাই।’’
এই ঘটনার পর আতঙ্কিত দ্বিতীয় শ্রেণির ওই ছাত্রী। বিষয়টি জানানো হয় শিশু সুরক্ষা কমিশনেও। ঘটনাটি খতিয়ে দেখার পর, পুলিশকে যথাযথ ব্যবস্থাও নিতে বলে কমিশন। বৃহস্পতিবার ধৃত চিকিৎসককে আলিপুর আদালতে তোলা হবে।