চোখের অবস্থা ভাল নয় মনীষার

সাত দিন ভেন্টিলেশনে থাকার পরে এখন চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছে রিয়ান। ওই দুই শিশুর বাবা-মা কথা বলার অবস্থায় নেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০১৮ ০২:১৮
Share:

সেই দুর্ঘটনার ছবি।

ইকো পার্কে রাইড দুর্ঘটনায় জখম সাত বছরের শিশু মনীষা নায়েকের ডান চোখের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বুধবার মনীষার পরিজনেরা জানান, চিকিৎসকেরা একটি রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছেন। সেটি পাওয়ার পরে জানা যাবে, মনীষার ডান চোখ সারানো যাবে কি না।

Advertisement

গত ১ এপ্রিল স্ত্রী কল্পনা, মেয়ে মনীষা এবং ছেলে রিয়ানকে নিয়ে ইকো পার্কে ঘুরতে গিয়েছিলেন ওড়িশার বাসিন্দা সুব্রত নায়েক। সেখানেই ‘ট্রাম্পোলিন মিকি মাউস’ রাইডে চড়ে ভাই-বোন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ আচমকা ঝড়ে জয় রাই়ডের বেলুন ফেটে রিয়ান, মনীষা-সহ পাঁচ জন শিশু গুরুতর জখম হয়। বাকি তিন জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও, রিয়ান ও মনীষা সল্টলেকে দত্তাবাদের কাছে বাইপাস সংলগ্ন একটি হাসপাতালে এখনও চিকিৎসাধীন।

সাত দিন ভেন্টিলেশনে থাকার পরে এখন চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছে রিয়ান। ওই দুই শিশুর বাবা-মা কথা বলার অবস্থায় নেই। এই পরিস্থিতিতে সুব্রতর তরফে তাঁর আত্মীয় সৌরভ মুখোপাধ্যায় জানান, রিয়ানকে এখন রাতের দিকে ভেন্টিলেশনে রাখা হচ্ছে। ওর দিদির ডান চোখের অবস্থা ভাল নয়। সৌরভের কথায়, ‘‘মনীষা ডান চোখে কিছু দেখতে পাচ্ছে না। চোখের স্নায়ু ভীষণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একটি বিশেষ পরীক্ষা করাতে বলেছেন চিকিৎসকেরা। তার পরেই তাঁরা জানাবেন, ওর ডান চোখের দৃষ্টি ফেরানো যাবে কি না।’’

Advertisement

চক্ষু চিকিৎসক হিমাদ্রি দত্ত জানান, কারও চোখের ‘অপটিক নার্ভ’ ক্ষতিগ্রস্ত হলে দৃষ্টিশক্তি হারানোর আশঙ্কা থাকে। সেই স্নায়ু কতখানি ক্ষতিগ্রস্ত, তা জানার জন্য ‘ভিসুয়ালি ইভোকড পোটেনসিয়াল’ (ভিইপি) পরীক্ষা করানোর কথা বলেন চক্ষু বিশেষজ্ঞেরা। হিমাদ্রিবাবু বলেন, ‘‘আমাদের রেটিনা যে সকল দৃশ্য দেখে, তা অপটিক নার্ভের মাধ্যমে মস্তিষ্কে পৌঁছয়। চোখের মণির পিছনে থাকে এই স্নায়ু।’’ ওই রিপোর্টের দিকে তাকিয়ে চিকিৎসকেরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement