Sandip Ghosh

সন্দীপ ঘোষের বাড়ির একাংশ কি বেআইনি ভাবে নির্মিত? বেলেঘাটায় গেল কলকাতা পুরসভার নোটিস

বেলেঘাটার বদন রায় লেনে সন্দীপের যে চার তলা বাড়িটি রয়েছে, তার কিছু অংশ বেআইনি ভাবে নির্মিত বলে অভিযোগ। পুরসভার কাছে সেই মর্মে অভিযোগ জমা পড়েছে। তার পরেই ওই বাড়িতে নোটিস গিয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪:০৪
Share:

সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে নোটিস পাঠাল কলকাতা পুরসভা। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বেলেঘাটার বাড়িতে গেল কলকাতা পুরসভার নোটিস। ওই বাড়ির একাংশ বেআইনি ভাবে নির্মিত বলে অভিযোগ উঠেছে। তার ভিত্তিতেই বাড়িটি খতিয়ে দেখতে যাবে পুরসভার একটি দল। সেই মর্মে সন্দীপের বাড়িতে নোটিস পাঠানো হয়েছে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পুরসভার আধিকারিকেরা তাঁর বাড়িতে যাবেন।

Advertisement

সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে নোটিস পাঠিয়েছে কলকাতা পুরসভা। —নিজস্ব চিত্র।

কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, বেলেঘাটার বদন রায় লেনে সন্দীপের যে চার তলা বাড়িটি রয়েছে, তার কিছু অংশ বেআইনি ভাবে নির্মিত বলে অভিযোগ উঠেছে। পুরসভার কাছে সেই মর্মে অভিযোগ জমা পড়েছে। তার পরেই তারা নড়েচড়ে বসেছে। গত ২৬ সেপ্টেম্বর কলকাতা পুরসভার তরফে সন্দীপের বাড়িতে নোটিস পাঠানো হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার জীবন দাস এবং কিরণ মণ্ডল ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে সন্দীপের বাড়িতে যাবেন। তাঁরা সঙ্গে অন্য সহকারী এবং কর্মচারীদেরও নিয়ে যাবেন। ওই চার তলা বাড়িটি খুঁটিয়ে পরীক্ষা করে দেখবেন পুরসভার আধিকারিকেরা। বাড়ির কোনও অংশ বেআইনি ভাবে নির্মিত কি না, তা দেখা হবে। তার পর এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবেন কর্তৃপক্ষ।

আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর অধ্যক্ষ হিসাবে সন্দীপের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে পড়ে। জুনিয়র ডাক্তারেরা সন্দীপের অপসারণের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছিলেন। তাঁদের অভিযোগ ছিল, সন্দীপ অত্যন্ত প্রভাবশালী। ফলে তদন্ত প্রক্রিয়াকেও তিনি প্রভাবিত করতে পারেন। আন্দোলনের চাপে পড়ে তিনি পদত্যাগ করেন। তাঁর বিরুদ্ধে আরজি করে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগও উঠেছে।

Advertisement

প্রথমে ধর্ষণ-খুন এবং পরে আর্থিক দুর্নীতির মামলায় সন্দীপকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। তাঁর বেলেঘাটার বাড়িতেও সিবিআইয়ের দল পৌঁছে গিয়েছিল। সন্দীপের বাড়িতে হানা দিয়ে দীর্ঘ ক্ষণ বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছিল সিবিআইয়ের আধিকারিকদের। অনেক পরে তিনি দরজা খুলেছিলেন। তার পর ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলেছে তল্লাশি। পরে দু’টি মামলাতেই সিবিআই সন্দীপকে গ্রেফতার করে। ধর্ষণ-খুনের মামলায় সিবিআইয়ের প্রথম গ্রেফতারি সন্দীপই। পরে ওই মামলায় টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকেও গ্রেফতার করা হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement