—ফাইল চিত্র।
মিউটেশনের জন্য দরখাস্ত জমা দেওয়ার পরেও তা সময়মতো না হওয়ায় সম্প্রতি ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম। এই বিষয়ে স্বচ্ছতা আনতে যাবতীয় তথ্য পুরসভার ওয়েবসাইটে নথিভুক্ত করতে পুর কমিশনারকে নির্দেশও দেন তিনি। শনিবার ‘টক টু কর্পোরেশন’ অনুষ্ঠানে ফের অ্যাসেসমেন্ট ও মিউটেশন সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে কয়েক জন নাগরিক বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে অভিযোগ জানিয়ে ফোন করেন। এ দিন এই দেরির ব্যাখ্যা দেন ফিরহাদ।
পুর প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যানের বক্তব্য, “জমি সংক্রান্ত কাগজের সমস্যা ছাড়াও জমির চরিত্রগত অনেক ত্রুটি থাকে। কোথাও হয়তো জলাজমি ভরাট করে বিক্রি হয়েছে। সেখানে জমির অ্যাসেসমেন্ট বা মিউটেশন কখনও সম্ভব নয়। অথচ নাগরিকদের অনেকেই জমির চরিত্র না জেনে কেনার ফলে প্রতারিত হন।” তিনি জানান, পুকুর বা জলাজমিতে বাড়ি তৈরির আবেদন-সহ অনেক নথি পুরসভায় রয়েছে। স্বাভাবিক ভাবে অ্যাসেসমেন্ট করা সম্ভব হয়নি, এমন জমির তালিকাও পুরসভায় রয়েছে।
পুর ওয়েবসাইটে কোথায় কোন জমির অ্যাসেসমেন্ট ও মিউটেশন কী কারণে হচ্ছে না, তা জানানো ছাড়াও যেগুলির অনুমতি দেওয়া হচ্ছে তা-ও ওয়েবসাইটে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। ফলে দরখাস্ত করলেও জমির অ্যাসেসমেন্ট এবং মিউটেশনে দেরি হচ্ছে কেন, সেটা ওই ওয়েবসাইট থেকে নাগরিকেরা জানতে পারবেন। অন্য পরিষেবাতেও স্বচ্ছতা আনতে কর্তৃপক্ষ ওয়েবসাইটটিকে সে ভাবে তথ্যসমৃদ্ধ করার কথা ভাবছেন। যাতে নির্দিষ্ট জমি কেনার আগে নাগরিকেরা তার অবস্থান ও চরিত্র বিষয়ে জানতে পারেন। এতে এই ধরনের সমস্যাও কমবে।