—ফাইল চিত্র।
আয়লার সময়ে শহরের রাস্তায় উপড়ে পড়া গাছের নিলাম হয়নি। শুধু তা-ই নয়, নিয়ম থাকলেও গত কয়েক বছর ধরেই পুরসভার এই প্রক্রিয়া স্থগিত রয়েছে। ফলে, উপড়ে যাওয়া বা মৃত গাছের কাঠ থেকে পুরসভার কোনও আয় হচ্ছে না বলেও অভিযোগ উঠেছে। এ বার আমপানে পড়ে যাওয়া সব রকমের গাছই নিলামের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পুর কর্তৃপক্ষ। আপাতত ঝড়ে পড়া গাছের গুঁড়ি নিলাম করেই পুরসভা প্রায় ১০ লক্ষ টাকা উপার্জন করতে পারে বলে সূত্রের খবর। এ ছাড়াও অন্যান্য গাছের কাঠ নিলাম করে সব মিলিয়ে ভাল দাম পাওয়ার আশা করছেন পুর কর্তৃপক্ষ।
কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য তথা উদ্যান দফতরের প্রাক্তন মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার বলেন, “ঝড়ে পড়ে যাওয়া গাছ অথবা যে সমস্ত গাছ নষ্ট হয়ে গিয়েছে, সেগুলি নিলাম করার নিয়ম থাকলেও পরিকাঠামোর জন্য তা করা যায়নি। এ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সেই কারণে স্বচ্ছতা বজায় রাখতেই বন দফতরের মাধ্যমে মেহগনি গাছের গুঁড়ি নিলাম করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বামফ্রন্টের আমলে আয়লার সময়ে গাছ কেন নিলাম করা হয়নি, তা তাঁরাই বলতে পারবেন।’’ তিনি জানান, করোনা পরিস্থিতিতে অনলাইনে নিলাম করে বন দফতর যে অর্থ পাবে, তা পুর কোষাগারে জমা পড়বে। আমপানে গাছ পড়ার সংখ্যা অনেক বেশি ছিল। পরিকাঠামোর অভাবের সমস্যা থাকলেও পুর কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
পুরসভার উদ্যান দফতর থেকেও জানানো হয়েছে, বড় গাছের গুঁড়ি ছাড়াও বিভিন্ন গাছের ডালপালা, যে গুলি থেকে কাঠ পাওয়া সম্ভব, সে সবও নিলাম করা হবে। তবে ডালপালা আলাদা করে তুলে এনে নিলাম করা সম্ভব নয়। তাই সেগুলি ঘটনাস্থলেই নিলাম করা হবে।
নিয়ম থাকা সত্ত্বেও এত দিন গাছের গুঁড়ি নিলাম করা হয়নি কেন?
পুরসভার উদ্যান দফতরের আধিকারিকেরা জানান, নিলামের প্রক্রিয়াটি কিছুটা সময়সাপেক্ষ। ঝড়ে পড়ে যাওয়া গাছ বেশি দিন রাখা নিয়ে সমস্যা হয়। পার্ক বা অন্য কোথাও রাখলে স্থানীয় বাসিন্দারা অনেক সময়েই আপত্তি জানান। ফলে নিলামের প্রক্রিয়াটি থমকে গিয়েছিল। এ বার পুরসভা তা ফের চালু করল।