শহর কলকাতাকে দৃশ্যদূষণ থেকে মুক্তি দিতে চায় পুরসভা। —ফাইল চিত্র।
শহর কলকাতাকে দৃশ্যদূষণ থেকে মুক্তি দিতে চায় পুরসভা। তাই এ বার বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং লাগানোয় নতুন নীতি আনছে তারা। সম্প্রতি এই নতুন নীতির খসড়া প্রস্তাবও তৈরি হয়ে গিয়েছে। মেয়র পারিষদদের বৈঠকে সেই খসড়া অনুমোদন পেলেই তা কলকাতা পুরসভার নতুন হোর্ডিং নীতি হিসাবে কার্যকর হয়ে যাবে।
গত বছরই নতুন হোর্ডিং নীতি তৈরি করার কথা জানিয়েছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। মেয়রের ইচ্ছেকে মান্যতা দিয়েই কলকাতা পুরসভার বিজ্ঞাপন বিভাগের আধিকারিকেরা খসড়া প্রস্তাব তৈরির কাজ শুরু করেন। প্রায় এক বছর ধরে এই বিষয়ে কাজ করার পর বিষয়টি চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ার অপেক্ষায়। এই নতুন নীতি কেমন হবে? তা নিয়ে আগ্রহ প্রশাসনিক থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী মহলে। কারণ, এই দু’পক্ষকেই এই হোর্ডিং নীতি নিয়ে নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তবে কলকাতা পুরসভার একটি সূত্র জানাচ্ছে, সব পক্ষের কথা মাথায় রেখেই নতুন এই হোর্ডিং নীতি তৈরি করা হয়েছে।
কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, বিজ্ঞাপনের নিরিখে কলকাতা শহরকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে একটি ‘নো-অ্যাডভারটাইজ় জ়োন’। যেখানে কোনও রকম বিজ্ঞাপন লাগানো যাবে না। দ্বিতীয় একটি জ়োন তৈরি করা হবে, যাকে ‘প্রাইভেট হোর্ডিং ফ্রি জ়োন’ বলা হবে। এই জ়োনে কেবল মাত্র সরকারি বিজ্ঞাপন বা হোর্ডিং লাগানো হবে। আর তৃতীয়টি হল ‘গ্রিন জ়োন’। যেখানে কেবল মাত্র পুরসভার অনুমতি নিয়েই বিজ্ঞাপন বা হোর্ডিং লাগানো যাবে।
নতুন এই নীতিতে কলকাতা পুলিশের কিয়স্ক, ট্র্যাফিক সিগন্যালের খুঁটিতে কোনও বিজ্ঞাপন লাগানো যাবে না। কলকাতা মেট্রো বা ভারতীয় রেলের কোনও জ়োন, যা কলকাতা শহরের মধ্যে পড়ে, তেমন জায়গায় কোনও বিজ্ঞাপন লাগানো হলে পুরসভার তরফ থেকে অনুমতি নিতে হবে, সঙ্গে দিতে হবে নির্ধারিত কর। এ ছাড়াও নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে হোর্ডিং লাগানো যাবে। দূষণ রোধ করতে হোর্ডিং তৈরির ক্ষেত্রে পিভিসি ফ্লেক্স ব্যবহার করার কথা ওই খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে। কলকাতা পুরসভার এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘মেয়র চান, কলকাতা শহরের মুখ যাতে কোনও ভাবেই বিজ্ঞাপনে ঢেকে না যায়। তাই সেই কথা মাথায় রেখেই নতুন নীতিটি তৈরি করা হয়েছে। মেয়র পারিষদের বৈঠকে এই নতুন নীতি কার্যকর করার অনুমতি পাওয়া গেলেই কলকাতা জুড়ে পদক্ষেপ করতে শুরু করব আমরা।’’