—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিল কলকাতা পুরসভা। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, বৃহস্পতিবার সকালে ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ হাজির হতে পারে। সোমবার দুপুরে পুর কমিশনার বিভিন্ন বিভাগীয় আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠক করেন। দুর্গাপুজো মিটে গেলেও শহরের বেশ কিছু জায়গায় এখনও ব্যানার, হোর্ডিং, বাঁশ রয়ে গিয়েছে। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আগামী ২৩ অক্টোবরের মধ্যে সে সব খুলে ফেলতে হবে। অল্প ঝড়বৃষ্টিতে ভেঙে পড়তে পারে, এমন দুর্বল গাছের ডালপালা দ্রুত ছাঁটাই করতে বলা হয়েছে।
শহরে জল জমা রুখতে পুরসভার সদর দফতরে ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম চালু থাকবে। সেখানে পর্যায়ক্রমে ডিউটি করবেন পুর আধিকারিকেরা। আগামী কাল, বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। পুরসভা সূত্রের খবর, দুর্যোগ মোকাবিলায় শহরের সমস্ত নিকাশি পাম্পিং স্টেশনে বাড়তি নজর রাখতে বলা হয়েছে। প্রতিটি নিকাশি পাম্পিং স্টেশনের সমস্ত পাম্প সচল রাখারও নির্দেশ এসেছে। বৃষ্টিতে নিচু জায়গা থেকে জমা জল সরাতে বাড়তি পোর্টেবল পাম্প মজুত করার কথা বল হয় বৈঠকে।জমা জল দ্রুত সরাতে শহরের রাস্তার বিভিন্ন গালিপিট পরিচ্ছন্ন রাখতে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
ঝড়ে গাছ পড়ে গেলে রাস্তা থেকে তা দ্রুত সরাতে প্রতিটি বরোয় উদ্যান বিভাগের বিশেষ দল মজুত থাকবে। গাছ ভেঙে পড়ার খবর পেলেই দ্রুত সেই দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাবে। বিপজ্জনক বাড়িগুলি থেকে বাসিন্দাদের সরাতে পুরসভার তরফে মাইকিং করে প্রচার করা হবে। যে সমস্ত বাড়ি অতি বিপজ্জনক বলে চিহ্নিত, সেখান থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে পার্শ্ববর্তী কোনও স্কুল বা কমিউনিটি হলে রাখা হবে।
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার ঘটনা রুখতে পুর বিদ্যুৎ দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে ইঞ্জিনিয়ারেরা বিভিন্ন বাতিস্তম্ভ পরীক্ষা করে দেখবেন, কোথাও খোলা তার রয়েছে কিনা বা ফিডার বক্সে কোনও ত্রুটি রয়েছে কিনা। ত্রুটি থাকলে তা দ্রুত সারিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। ঝড়বৃষ্টির সময়ে ১৬টি বরোর প্রতিটিতে পুরসভার বিদ্যুৎ দফতরের ইঞ্জিনিয়ারেরা সিইএসসি-র সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করবেন।