মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে কলকাতায় শুরু হয়ে গেল হকার সমীক্ষার কাজ। সোমবার সকাল থেকে পুরসভার একাধিক দলকে এই কাজে নামানো হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার নবান্নে বৈঠক করে কলকাতা পুরসভাকে সমীক্ষার কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পর শনিবার কলকাতা পুরসভার তরফে কর্মীদের হকার সমীক্ষার কাজের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ১৫০ জন কর্মীকে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ঠিক, হয়েছে, সমীক্ষা করতে এক একটি হকার জ়োনে কমবেশি ১০টি করে দল নামবে। প্রতিটি দলে থাকবেন চার-পাঁচ জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মী। শহরের বিভিন্ন এলাকায় ৪০টি এমন টিম নামানো হচ্ছে। কোন রাস্তায় কত হকার বসছেন, তাঁদের নাম, ঠিকানা-সহ যাবতীয় তথ্য অ্যাপে নথিভুক্ত করা হবে। ১৫ দিনের মধ্যে এই সমীক্ষা শেষ করা হবে। কলকাতার পাঁচটি হকার জ়োনে হবে এই সমীক্ষা।
এই সমীক্ষার কাজে কর্মীদের অ্যাপে ‘লগ ইন’ করার জন্য একটি ‘ইউজ়ার আইডি’ দেওয়া হবে। ইউজ়ার আইডি দিয়ে অ্যাপে প্রবেশ করতে হবে। সমীক্ষা করার কাজ শুরুর আগে ‘লগ ইন’ করে প্রবেশ করলে অ্যাপে একটি আবেদনপত্র পাওয়া যাবে। সেই আবেদনপত্রে হকারের নাম, ঠিকানা, আধার কার্ড নম্বর, আধারের সঙ্গে সংযুক্ত মোবাইল নম্বর, প্যান কার্ড নম্বর, স্টলের পরিমাপ, কিসের দোকান— সব কিছু নথিভুক্ত করতে হবে ওই অ্যাপে। পাশাপাশি, হকারদের দোকানের সামনে দাঁড় করিয়ে দোকান-সহ তাঁদের ছবি তুলে তা আপলোড করা হবে। যে মোবাইল নম্বরের সঙ্গে আধার লিঙ্ক রয়েছে, সেই নম্বর নথিভুক্ত করার পর তাতে একটি ওটিপি আসবে। সেই ওটিপি দিলেই আবেদন পুরসভার অ্যাপে আপলোড করা হয়ে যাবে। হকারদের যাবতীয় তথ্য ও নথি সংগ্রহ করার পর সেই রাস্তা ধরে দোকানের লোকেশনের জিপিএস ট্র্যাক করা হবে।
বেহালা, শিয়ালদহ, গড়িয়াহাট, নিউ মার্কেট, হাতিবাগানের মতো এলাকায় এই সমীক্ষার কাজ হবে। তার পর কলকাতা পুরসভায় নথি যাচাই করে চলতি মাসের শেষে কিংবা অগস্ট মাসের শুরুর দিকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট জমা দেবেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তার পর সমীক্ষার রিপোর্ট খতিয়ে দেখে মুখ্যমন্ত্রী যা নির্দেশ দেবেন, সেই নির্দেশ মেনে কাজ করবে কলকাতা পুরসভা।