প্রতীকী ছবি।
নতুন করে কলকাতা বিমানবন্দর চৌহদ্দির মধ্যে ৬ হাজার বর্গমিটার জায়গা চাইল মেট্রোরেল।
নকশা অনুযায়ী কৈখালির কাছে মাটির তলায় নেমে যেখান দিয়ে ডানদিকে মোচড় দিয়ে বিমানবন্দরে ঢোকার কথা ছিল মেট্রোর লাইনের, সেই জায়গা বদল করতে হবে বলে মেট্রো রেলের তরফে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ-কে জানানো হয়েছে। আশঙ্কা, এর ফলে গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রোর কাজ আরও পিছিয়ে যাবে।
এই নকশা পরিবর্তনের পিছনে রয়েছে রাজ্য সরকারের উড়ালপুল। নবান্ন সূত্রের খবর, বিমানবন্দরের ১ নম্বর মোড়ে নিয়মিত যানজট হয়। ওই যানজট এড়াতে ভিআইপি রোড থেকে বিরাটির দিকে যাওয়ার সময়ে কিংবা যশোর রোডের দিক থেকে ভিআইপি রোডের দিকে যাতায়াতের সময়ে অধিকাংশ গাড়িই বিমানবন্দরের একটি অংশের মধ্যে দিয়ে যাতায়াত করে। বিমানবন্দরের পাঁচিল ভেঙেই এক সময়ে ওই গেট বানানো হয়েছিল যশোর রোডে। অভিযোগ, তাতেও এক নম্বর মোড়ের যানজট এড়ানো যাচ্ছে না।
রাজ্য সরকারের পূর্ত দফতরের পরিকল্পনা অনুযায়ী, এ বার ভিআইপি রোডে কৈখালি মোড়ের একটু আগে হজ হাউজের সামনে থেকে একটি উড়ালপুল বানানো হবে। সেটি গিয়ে বিমানবন্দরের আড়াই নম্বর গেট ছাড়িয়ে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের কাছে নামবে। হজ হাউসের দিক থেকে যাওয়া উড়ালপুল নিয়ে সমস্যা নেই। কিন্তু, আড়াই নম্বরের দিক থেকে যে উড়ালপুল এসে কৈখালির কাছে নামার কথা, সেটি নিয়েই সমস্যা। মেট্রো রেল সূত্রের খবর, নকশা অনুযায়ী, ওই উড়ালপুল কৈখালির যেখানে নামার কথা, ঠিক সেখান দিয়েই গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রো রেলের মাটির নীচে নেমে ডান দিকে ঘোরার কথা।
বিমানবন্দর সূত্রের খবর, কৈখালির পরে দক্ষিণ দিকে বিমানবন্দরের যে পাঁচিল রয়েছে, তার ভিতরে এয়ার ইন্ডিয়ার পুরনো হ্যাঙ্গারের কাছে যে জমি, সেখানে এসে রাজ্যের উড়ালপুল নামার কথা। সেখান থেকে রাস্তা ঢুকে আসবে ভিআইপি রোডে। কিন্তু, এর জন্য রাজ্য সরকার সরাসরি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জমি চাইছে না। যেহেতু ওই জমির তলা দিয়েই মেট্রো রেলের লাইন যাওয়ার কথা, তাই রাজ্যের তরফে মেট্রো রেলকে বলা হয়েছে, সেখানে অতিরিক্ত ৬ হাজার বর্গমিটার জমি নিতে। যাতে উড়ালপুল এসে নির্বিঘ্নে সেখানে নামতে পারে। আবার উড়ালপুলের পিলার এড়িয়ে মাটির তলার মেট্রোর লাইনও কিছুটা ঘুরে ঢুকতে পারবে।
মেট্রো রেল সূত্রের খবর, অতিরিক্ত এই জমির দামের ৫০ শতাংশ টাকা মেট্রো, বাকি ৫০ শতাংশ রাজ্য সরকার দেবে বলে ঠিক হয়েছে।