যাত্রী-স্বাচ্ছন্দ্যে জোর দিচ্ছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। আর মাস দুয়েকের মধ্যেই চেন্নাইয়ের ‘ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি’ থেকে আসবে আরও দু’টি নতুন এসি রেক। তখন মেট্রোয় বাতানুকূল রেকের সংখ্যা দাঁড়াবে তিরিশ। সপ্তাহ দেড়েক আগেই, বিশ্বকর্মা পুজোর দিন ‘মেধা’ সিরিজের ১৫ নম্বর রেকটি যাত্রী পরিবহণের জন্য চালু করা হয়েছিল। অক্টোবর মাসে ‘মেধা’র ১৬ নম্বর এবং নভেম্বরে ১৭ নম্বর রেক এসে পৌঁছবে।
কলকাতা মেট্রোর কবি সুভাষ-দক্ষিণেশ্বর পথে চালানোর জন্য এখন ১৩টি পুরনো ও ১৫টি নতুন এসি রেক রয়েছে। নতুন রেকগুলি ভবিষ্যতের প্রয়োজন মেটাতে আধুনিক সিগন্যালিং প্রযুক্তি ব্যবহারের উপযোগী করে তৈরি করা হয়েছে। ওই সব রেক নোয়াপাড়া-বিমানবন্দর মেট্রোপথেও চালানো হতে পারে বলে খবর।
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর ধাঁচে নোয়াপাড়া-বিমানবন্দর, জোকা-বি বা দী বাগ এবং নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রোপথেও আধুনিক সিগন্যালিং ব্যবস্থা বসার কথা। ওই নতুন প্রযুক্তিতে খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে ট্রেন চালানো সম্ভব হবে। দু’-তিন মিনিট অন্তর চলতে পারবে ট্রেন। সোমবার এক বৈঠকে শহরের নির্মীয়মাণ প্রকল্পগুলির হাল-হকিকতের খোঁজ নেন মেট্রো রেলের জেনারেল ম্যানেজার মনোজ জোশী। ওই বৈঠকেই নতুন রেক আসার বিষয়টি আলোচিত হয় বলে খবর। গত ১৫ অগস্ট মেট্রোয় আর পুরনো নন-এসি রেক চলবে না বলে জানিয়েছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
বৈঠকে নোয়াপাড়া-বিমানবন্দর, জোকা-বি বা দী বাগ এবং নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রো প্রকল্পের কাজ কত দূর এগিয়েছে, সে সম্পর্কে বিশদে খোঁজ নেন জিএম। নোয়াপাড়া-বিমানবন্দর মেট্রোর কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। দীর্ঘ দিন থমকে থাকার পরে ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনের কাজও সম্পূর্ণ। বিমানবন্দর ডিপোর কাজ সম্পূর্ণ হলেই ওই পথে পরীক্ষামূলক ভাবে মেট্রো চালানো সম্ভব হবে।
মেট্রোয় যাত্রী-সংখ্যা এখন আগের মতো না হলেও, ভবিষ্যতে তা বাড়বে বলেই আশাবাদী মেট্রো কর্তৃপক্ষ। পুজো এগিয়ে আসায় যাত্রী-সংখ্যা গত দু’মাসে অনেকটাই বেড়েছে। ওই সংখ্যা এখন তিন লক্ষ ছুঁইছুঁই। মেট্রোর এক কর্তা বলেন, ‘‘চাহিদা সামাল দিয়ে পরিষেবা উন্নত করার স্বার্থেই নতুন রেকের উপরে জোর দেওয়া হচ্ছে।’’