—ফাইল চিত্র
সামনের সারিতে থেকে কাজ করা মেট্রোকর্মীদের করোনার প্রতিষেধক দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু হল। বিভিন্ন স্টেশনের কর্মীরা ছাড়াও যাত্রীদের সংস্পর্শে আসতে হচ্ছে যে আরপিএফ কর্মীদের, অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে তাঁদের নাম নথিভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। সম্পূর্ণ তালিকা তৈরি হওয়ার পরে প্রতিষেধক দেওয়া শুরু হবে। রেল মন্ত্রকের পক্ষ থেকে কয়েক দিন আগে সব জ়োনাল রেলওয়েকে পাঠানো এক নির্দেশিকায় অতি তৎপরতার সঙ্গে ওই তালিকা তৈরির কথা বলা হয়েছে।
মেট্রো সূত্রের খবর, স্টেশন ছাড়াও ইয়ার্ড বা কারশেডের কর্মী এবং পার্ক স্ট্রিটের মেট্রো ভবনের কর্মীদেরও ওই প্রক্রিয়ার আওতায় আনা হয়েছে। কর্মীদের নাম, বয়স, কোন পদে কাজ করেন, তা জানানোর পাশাপাশি বাড়ির বিস্তারিত ঠিকানা জানাতে বলা হয়েছে। কোন ঠিকানায় তিনি প্রতিষেধক পেতে চান, তা-ও জানাতে বলা হয়েছে। উত্তর-দক্ষিণ মেট্রো ছাড়াও ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর সব স্টেশনের সুপারদের আগামী ১৮ জানুয়ারির মধ্যে কর্মীদের যাবতীয় তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছে।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর মেট্রো পরিষেবা ফের চালু হওয়ার পরে বেশ কিছু স্টেশনে মেট্রোকর্মীদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলে সূত্রের খবর। বেশ কয়েক জনের মৃত্যুর ঘটনাও প্রকাশ্যে এসেছে। আরপিএফ কর্মীদের বড় অংশও সংক্রমণের কবলে পড়েছেন। প্রতিষেধক দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ ছিল কর্মী মহলে। ফলে প্রতিষেধক দেওয়ার উদ্যোগ শুরু হওয়ায় কর্মীরা খুশি। কর্মী সংগঠনগুলিও বিষয়টি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে। তবে, কী ভাবে এবং কত দ্রুত ওই কাজ শুরু করা যাবে তা জানতে সকলেই আগ্রহী। এ প্রসঙ্গে মেট্রোর এক আধিকারিক বলেন, ‘‘রোজ ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। সংক্রমিত হওয়ার পরে বেশ কিছু কর্মীর স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে। ফলে প্রতিষেধক দেওয়ার প্রক্রিয়া যত দ্রুত শুরু করা যায় ততই ভাল। বয়স্ক এবং আনুষঙ্গিক অসুস্থতা আছে, এমন কর্মীদের কথা মাথায় রেখে ওই কাজ দ্রুত শুরু হওয়া জরুরি।’’